'খিলঞ্জিয়া' হবার অর্থ এই নয় যে অসমিয়া ভাষা সংস্কৃতিকেই সম্মান করতে হবে। প্রতিবেশী আর সব ভাষা-ধর্মের মানুষকে সম্মান কেন করতে হবে না? কেন নিজের ভাষা সংস্কৃতিকে নয়। অসমিয়া যারা আশা করেন, বাঙালি খিলঞ্জিয়ার মতো আচরণ করুক, তারা কি জানেন না যে বাঙালি নিজের ভাষা-সংস্কৃতি সমাজ-ইতিহাস সম্পর্কেও বিশেষ জানে না কিছুই। সেদিন থেকে অসমের কথা অসমিয়ারাও যে খুব বেশি জানেন বোঝেন, তা কিন্তু নয়। তাই বাঙালি ছাত্র নেতাদের যখন মন্ত্রী বলেন, চাব তে অসমক ত্রিপুরা হ'বলৈ নিদিবো, সেই নেতারা মাথা পেতে সেসব মেনে নেন। কারণ, সুভাষ বসু মারা যান নি---এই তথ্যের বাইরে এই বাঙালি নেতাদের বিদ্যাবুদ্ধি বিশেষ নেই। অসমের বাঙালি হিন্দুদেরও তথৈবচ। যারা জানেন, যারা আসামে চিন্তন মনন সৃজনে থাকেন---সেই সব বাঙালি ব্যক্তি তাই অসমে একরকম সমাজ চ্যুত মানুষ। চাইলেও বৃহত্তর বাঙালি সমাজে বিশেষ কোনো প্রভাব বিস্তারে অসমর্থ। কারণ, সেই সমাজ পুজোপার্বন নিয়ে পরলোক চিন্তাতে নিমগ্ন। তাদের চিন্তনে ভারতমাতাও তাই দেবী, সেই মায়ের বন্ধনাও করেন---যাতে পরলোকে সুবন্দোবস্ত হয়ে যায় আর কি।
No comments:
Post a Comment