মহিলা থানা। একটা পুরো থানা, যা বরাদ্দ শুধুমাত্র নারীদের বিভিন্ন সমস্যা ও বিভিন্ন পরিস্থিতিতে সাহায্য করার জন্য।না, ইউটোপিয়া নয়। আমাদের কাছেই আছে, পাশেই আছে, উলুবেড়িয়াতেই আছে। যেই থানার অধীনেই পড়ে মিতাদির শ্বশুরবাড়ি। ভালো লাগে এই ভেবে, যে হয়তো কোনোভাবে, কোনো নারী সেখানে সাহায্য পাচ্ছে।
গতকাল আমরা বেশ কিছুজন সেই থানায় গিয়েছিলাম ডেপুটেশন জমা দিতে। তা নেওয়াও হয়েছে। থানার যিনি সর্বেসর্বা, তাঁর সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ কথাও হল। তবে, তিনি যেই পিতৃতান্ত্রিক মানসিকতার পরিচয় দিলেন, তারপর আর ''মহিলা থানার'' অর্থটা বুঝে উঠলাম না। কিছু ঘটনা তুলে ধরলাম এখানে।
এক- তার মতে মিতাদির ঘটনা সঠিক হলেও ''নিরানব্বই'' শতাংশ domestic violence-এর ঘটনাই হয় 'সাজানো'।
দুই- একটি ঘটনার উদাহরণে বললেন - একটি মেয়ে তার স্বামীর বিরুদ্ধে বলতে এসেছে যে সে শারীরিক অত্যাচারের শিকার। এদিকে তার পাঁচটি সন্তান।
এক্ষেত্রে তার মত, 'তাহলে পাঁচটি সন্তান হল কি করে? এই সমস্ত ঘটনা কিছুতেই বাস্তবসম্মত নয়, তাই এই কেস বেশী দূর এগোনো মানে সময় অপচয়।'
ওনার আরও মত এই যে- ''বৈবাহিক সম্পর্কে ধর্ষণ'' concept টি আমাদের মত 'জিন্স' পরা 'শহুরে' মেয়েরাই বলে থাকি। বাকীরা নয়।
অপ্রত্যাশিত কিছু কথাই শুনলাম। 'মহিলা থানা' তাহলে কি হল? সেই তো পিতৃতন্ত্রেরই ঘেরাটোপ। যেখানে ''বৈবাহিক সম্পর্কে ধর্ষণ'' বাতুলতা মাত্র। বা যেখানে সন্তানের মায়ের শারীরিক অত্যাচারের শিকার হওয়া 'সাজানো'।
তবে হ্যাঁ, এই মহিলা থানাই সোচ্চার হয়েছে girls school এবং college গুলিতে awareness camp এর মাধ্যমে। এই মহিলা থানাই এগিয়ে এসেছে বেশ কিছু নারীর পাশে। পিতৃতন্ত্রের নিদর্শণ যদিও বা সুস্পষ্ট, তবুও কোথাও আশার আলো এরই মধ্যে হয়তো লুকিয়ে।
গতকাল আমরা বেশ কিছুজন সেই থানায় গিয়েছিলাম ডেপুটেশন জমা দিতে। তা নেওয়াও হয়েছে। থানার যিনি সর্বেসর্বা, তাঁর সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ কথাও হল। তবে, তিনি যেই পিতৃতান্ত্রিক মানসিকতার পরিচয় দিলেন, তারপর আর ''মহিলা থানার'' অর্থটা বুঝে উঠলাম না। কিছু ঘটনা তুলে ধরলাম এখানে।
এক- তার মতে মিতাদির ঘটনা সঠিক হলেও ''নিরানব্বই'' শতাংশ domestic violence-এর ঘটনাই হয় 'সাজানো'।
দুই- একটি ঘটনার উদাহরণে বললেন - একটি মেয়ে তার স্বামীর বিরুদ্ধে বলতে এসেছে যে সে শারীরিক অত্যাচারের শিকার। এদিকে তার পাঁচটি সন্তান।
এক্ষেত্রে তার মত, 'তাহলে পাঁচটি সন্তান হল কি করে? এই সমস্ত ঘটনা কিছুতেই বাস্তবসম্মত নয়, তাই এই কেস বেশী দূর এগোনো মানে সময় অপচয়।'
ওনার আরও মত এই যে- ''বৈবাহিক সম্পর্কে ধর্ষণ'' concept টি আমাদের মত 'জিন্স' পরা 'শহুরে' মেয়েরাই বলে থাকি। বাকীরা নয়।
অপ্রত্যাশিত কিছু কথাই শুনলাম। 'মহিলা থানা' তাহলে কি হল? সেই তো পিতৃতন্ত্রেরই ঘেরাটোপ। যেখানে ''বৈবাহিক সম্পর্কে ধর্ষণ'' বাতুলতা মাত্র। বা যেখানে সন্তানের মায়ের শারীরিক অত্যাচারের শিকার হওয়া 'সাজানো'।
তবে হ্যাঁ, এই মহিলা থানাই সোচ্চার হয়েছে girls school এবং college গুলিতে awareness camp এর মাধ্যমে। এই মহিলা থানাই এগিয়ে এসেছে বেশ কিছু নারীর পাশে। পিতৃতন্ত্রের নিদর্শণ যদিও বা সুস্পষ্ট, তবুও কোথাও আশার আলো এরই মধ্যে হয়তো লুকিয়ে।
lekha :- Piyan Sengupta
No comments:
Post a Comment