প্রতিটি গায়কের মধ্যে ডিলান আছেন।
এমন একটা জায়গায় বসে খবরটা পেলাম, যেখানে সম্ভবত কেউই ব্লোয়িং ইন দ্য উইন্ড বা লাভ মাইনাস জিরো শোনেন নি। কারণ আমার চারপাশে একটা পাহাড়ি গ্রাম আর দূরে মেষপালকদের আগুন জ্বলছে। সবাই গোল হয়ে বসে আছেন আর একজন একটা সারেঙ্গির মত কিছু একটা বাজাচ্ছেন। অদ্ভুত সুন্দর সেই সুর। এর কিছু আগে বাঁশি বাজাচ্ছিলেন এক গদ্দি। কী সুন্দর দেখতে আর কী কঠিন তাঁদের জীবন। যাই হোক বসে আছি পালমপুর থেকে ২২ কিলোমিটার ভিতরে, এক গ্রামে। এই গ্রামের নাম মণ্ডলা। কাংড়া উপত্যকায় এই গ্রাম, খুব ছোট। আমাদের ড্রাইভার কাম গাইড তেজেন্দ্রজির পরিচিত এই গ্রাম। এখানে আসার আগে ঘুরে এসেছি বৈজনাথ মন্দির। এই মন্দিরের বয়স হাজার বছরের বেশি। আর স্থাপত্য নাগর শৈলীর। এই মন্দির দ্বাদশ জ্যোতির্লিঙ্গের একটি।
কানেকশন না থাকার জন্য মাঝেমাঝেই যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাচ্ছে। তার মধ্যে খবর পেলাম আমার চিরকালের প্রিয় কবি, গায়ক, গীতিকার বব ডিলান নোবেল পেয়েছেন সাহিত্যে। এই খবর এই মুহূর্তে আমার চারপাশে ভাগ করে নেওয়ার লোক কম। কিন্তু ডিলানের গান ভাষা, আঙ্গিক, কথা নির্বিশেষে সারা পৃথিবীর মানুষের আত্মার গান সন্দেহ নেই। কবি হিসেবে ডিলানের এই পুরস্কার অনেক আগেই পাওয়া উচিত ছিল। যেমন উচিত কোহেনের নোবেল প্রাইজ পাওয়া।
এই মুহূর্তে আমার সামনে হিমাচলী লোক গানের পরিবেশ। তার কথা আমি বুঝতে পারছি না। কিন্তু প্রতিটি গায়কের মধ্যে ডিলান আছেন।
কিছুক্ষণের মধ্যে হয়ত সব অন্ধকার হয়ে যাবে।
আমার মনের মধ্যে কথা বলে উঠবে সেই সব গান, যেগুলোর সাথে আমি অন্তত নব্বই দশক থেকে বুড়ো হয়েছি। তবে যে লোকটি না থাকলে ডিলানের সঙ্গে আমার পরিচয় হতই না, তার কথা খুব মনে পড়ছে। কবীর সুমন। ডিলান নোবেল প্রাইজ পেয়েছেন এ গর্বের কথা। বাংলা ভাষা কি সুমনদাকে উপযুক্ত সম্মান দিয়েছে এখনো?
মেষপালকটি অত সব জানেন না। কাল সকালেই আবার পশুচারণে বেরোতে হবে তাঁকে। তার মধ্যেই তিনি বলে যাচ্ছেন তাঁর কথা। এই নশ্বর জীবনের মানে শুধু তোমাকেই চাওয়া।
Hindol Bhattacharjee
এমন একটা জায়গায় বসে খবরটা পেলাম, যেখানে সম্ভবত কেউই ব্লোয়িং ইন দ্য উইন্ড বা লাভ মাইনাস জিরো শোনেন নি। কারণ আমার চারপাশে একটা পাহাড়ি গ্রাম আর দূরে মেষপালকদের আগুন জ্বলছে। সবাই গোল হয়ে বসে আছেন আর একজন একটা সারেঙ্গির মত কিছু একটা বাজাচ্ছেন। অদ্ভুত সুন্দর সেই সুর। এর কিছু আগে বাঁশি বাজাচ্ছিলেন এক গদ্দি। কী সুন্দর দেখতে আর কী কঠিন তাঁদের জীবন। যাই হোক বসে আছি পালমপুর থেকে ২২ কিলোমিটার ভিতরে, এক গ্রামে। এই গ্রামের নাম মণ্ডলা। কাংড়া উপত্যকায় এই গ্রাম, খুব ছোট। আমাদের ড্রাইভার কাম গাইড তেজেন্দ্রজির পরিচিত এই গ্রাম। এখানে আসার আগে ঘুরে এসেছি বৈজনাথ মন্দির। এই মন্দিরের বয়স হাজার বছরের বেশি। আর স্থাপত্য নাগর শৈলীর। এই মন্দির দ্বাদশ জ্যোতির্লিঙ্গের একটি।
কানেকশন না থাকার জন্য মাঝেমাঝেই যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাচ্ছে। তার মধ্যে খবর পেলাম আমার চিরকালের প্রিয় কবি, গায়ক, গীতিকার বব ডিলান নোবেল পেয়েছেন সাহিত্যে। এই খবর এই মুহূর্তে আমার চারপাশে ভাগ করে নেওয়ার লোক কম। কিন্তু ডিলানের গান ভাষা, আঙ্গিক, কথা নির্বিশেষে সারা পৃথিবীর মানুষের আত্মার গান সন্দেহ নেই। কবি হিসেবে ডিলানের এই পুরস্কার অনেক আগেই পাওয়া উচিত ছিল। যেমন উচিত কোহেনের নোবেল প্রাইজ পাওয়া।
এই মুহূর্তে আমার সামনে হিমাচলী লোক গানের পরিবেশ। তার কথা আমি বুঝতে পারছি না। কিন্তু প্রতিটি গায়কের মধ্যে ডিলান আছেন।
কিছুক্ষণের মধ্যে হয়ত সব অন্ধকার হয়ে যাবে।
আমার মনের মধ্যে কথা বলে উঠবে সেই সব গান, যেগুলোর সাথে আমি অন্তত নব্বই দশক থেকে বুড়ো হয়েছি। তবে যে লোকটি না থাকলে ডিলানের সঙ্গে আমার পরিচয় হতই না, তার কথা খুব মনে পড়ছে। কবীর সুমন। ডিলান নোবেল প্রাইজ পেয়েছেন এ গর্বের কথা। বাংলা ভাষা কি সুমনদাকে উপযুক্ত সম্মান দিয়েছে এখনো?
মেষপালকটি অত সব জানেন না। কাল সকালেই আবার পশুচারণে বেরোতে হবে তাঁকে। তার মধ্যেই তিনি বলে যাচ্ছেন তাঁর কথা। এই নশ্বর জীবনের মানে শুধু তোমাকেই চাওয়া।
No comments:
Post a Comment