Shreyami Chaudhuri
প্রিয়, ফুল খেলবার দিন নয় অদ্যধ্বংসের মুখোমুখি আমরা,
চোখে আর স্বপ্নের নেই নীল মদ্য
কাঠফাটা রোদ সেঁকে চামড়া।
চিমনির মুখে শোনো সাইরেন-শঙ্খ,
গান গায় হাতুড়ি ও কাস্তে,
তিল তিল মরণেও জীবন অসংখ্য
জীবনকে চায় ভালবাসতে।
প্রণয়ের যৌতুক দাও প্রতিবন্ধে,
মারণের পণ নখদন্তে;
বন্ধন ঘুচে যাবে জাগবার ছন্দে,
উজ্জ্বল দিন দিক্-অন্তে।
শতাব্দীলাঞ্ছিত আর্তের কান্না
প্রতি নিঃশ্বাসে আনে লজ্জা;
মৃত্যুর ভয়ে ভীরু বসে থাকা, আর না -
পরো পরো যুদ্ধের সজ্জা।
প্রিয়, ফুল খেলবার দিন নয় অদ্য
এসে গেছে ধ্বংসের বার্তা,
দুর্যোগে পথ হয় হোক দুর্বোধ্য
চিনে নেবে যৌবন-আত্মা।।
.............মে-দিনের-কবিতা/সুভাষ মুখোপাধ্যায়
আজ ঐতিহাসিক মে দিবস। কারো কারো কাছে শুনি যে মে দিবসের নাকি এখন আর কোন প্রাসঙ্গিকতা নেই। ভুল, খুব ভুল। এখনো শ্রমিকশ্রেণী একইরকম শোষিত, নিপীড়িত। ঠিক একইরকম ভাবে একটা সেক্টর এখনো জানেনা তার অধিকার ঠিক কি বা কতটা।
তথ্যপ্রযুক্তি শ্রমিকদের কথা বলছি। আমাদের একটা বড় সেক্টর নিজেদের শ্রমিক বলে মানেনা, কিছু সংখ্যক মানে অথচ লজ্জা পায় নিজেদের শ্রমিক পরিচয় দিতে আর বাকিরা নিজেদের জগতে খুশী। আমাদের ৮ ঘন্টা কাজ বলে কিছু হয়না। বেশীরভাগ কোম্পানীতেই ৯ ঘন্টা মিনিমাম থাকতে হয়। এর ওপরে আছে পীয়ার প্রেসার, অন্যকে ছাপিয়ে ম্যানেজারের চোখে নিজেকে বেটার প্রতিপন্ন করার চেষ্টা আর বেশীরভাগ সময়েই অত্যধিক বেশী কাজ এলোকেট হওয়া যেটা কিনা হাজার চেষ্টাতেও ৮ ঘন্টায় শেষ করা সম্ভব না।বছরের পর বছর শুধুমাত্র এপ্রেইজালের গাজর দেখিয়ে সপ্তাহে ৭ দিন খাটিয়ে নিতেও দেখেছি অনেক ম্যানেজারকে।
নিজের প্রাপ্য ছুটিটুকুও মোস্ট অফ দা টাইম চাইলেও পাওয়া যায়না।
তবু আমাদের সংঘবদ্ধ হওয়ার অধিকার নেই।
এমনকি, নেই মে দিবসের ছুটিটুকুও।
এরকম তো হওয়ার কথা ছিলনা। হে মার্কেটের সেদিনের সেই বিদ্রোহ সে তো আমার অধিকার সুনিশ্চিত করার জন্যই ছিল। ৮ ঘন্টা কাজ, ৮ ঘন্টা ঘুম আর ৮ ঘন্টা যেমন খুশি।
আজ মে দিবসের সকালে তাই বেশী কিছু না, একটা খুব ছোট আর্জি রাখলাম। পুরোটা একদিনে বদলাবেনা। অন্তত আমরা সবাই নিজেদের শ্রমিক বলে মানতে শুরু করি। ভাবের ঘরে চুরি বন্ধ হোক। বদল আসবেই। আজ, না হয় কাল, না হয় একশ বছর বাদে।
আজ ঐতিহাসিক মে দিবস। কারো কারো কাছে শুনি যে মে দিবসের নাকি এখন আর কোন প্রাসঙ্গিকতা নেই। ভুল, খুব ভুল। এখনো শ্রমিকশ্রেণী একইরকম শোষিত, নিপীড়িত। ঠিক একইরকম ভাবে একটা সেক্টর এখনো জানেনা তার অধিকার ঠিক কি বা কতটা।
তথ্যপ্রযুক্তি শ্রমিকদের কথা বলছি। আমাদের একটা বড় সেক্টর নিজেদের শ্রমিক বলে মানেনা, কিছু সংখ্যক মানে অথচ লজ্জা পায় নিজেদের শ্রমিক পরিচয় দিতে আর বাকিরা নিজেদের জগতে খুশী। আমাদের ৮ ঘন্টা কাজ বলে কিছু হয়না। বেশীরভাগ কোম্পানীতেই ৯ ঘন্টা মিনিমাম থাকতে হয়। এর ওপরে আছে পীয়ার প্রেসার, অন্যকে ছাপিয়ে ম্যানেজারের চোখে নিজেকে বেটার প্রতিপন্ন করার চেষ্টা আর বেশীরভাগ সময়েই অত্যধিক বেশী কাজ এলোকেট হওয়া যেটা কিনা হাজার চেষ্টাতেও ৮ ঘন্টায় শেষ করা সম্ভব না।বছরের পর বছর শুধুমাত্র এপ্রেইজালের গাজর দেখিয়ে সপ্তাহে ৭ দিন খাটিয়ে নিতেও দেখেছি অনেক ম্যানেজারকে।
নিজের প্রাপ্য ছুটিটুকুও মোস্ট অফ দা টাইম চাইলেও পাওয়া যায়না।
তবু আমাদের সংঘবদ্ধ হওয়ার অধিকার নেই।
এমনকি, নেই মে দিবসের ছুটিটুকুও।
এরকম তো হওয়ার কথা ছিলনা। হে মার্কেটের সেদিনের সেই বিদ্রোহ সে তো আমার অধিকার সুনিশ্চিত করার জন্যই ছিল। ৮ ঘন্টা কাজ, ৮ ঘন্টা ঘুম আর ৮ ঘন্টা যেমন খুশি।
আজ মে দিবসের সকালে তাই বেশী কিছু না, একটা খুব ছোট আর্জি রাখলাম। পুরোটা একদিনে বদলাবেনা। অন্তত আমরা সবাই নিজেদের শ্রমিক বলে মানতে শুরু করি। ভাবের ঘরে চুরি বন্ধ হোক। বদল আসবেই। আজ, না হয় কাল, না হয় একশ বছর বাদে।
No comments:
Post a Comment