Srirupa
পাতলা ঠোঁট, কুতুকুতে চোখ... কি যেন বলে না ওদের! ‘চিনকি’... ও হ্যাঁ খোদ কলকাতার বুকেই সল্টলেকে এরকমই এক ২৫ বছরের নেপাল থেকে কর্মসূত্রে কলকাতায় আসা মেয়েকে গণধর্ষণ করলো কিছু উনমানুষ। মেয়েটি জানতো না রাস্তা হারালে মেয়েদের কাউকে সাহায্যের জন্য জিজ্ঞেস করতে নেই, কোন পুরুষ মধ্যরাত্রে কোন মেয়েকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলে তাকে বিশ্বাস করতে নেই... এই অবিশ্বাসের শিক্ষা হয়তো সে মেয়েবেলায় পায়নি যা আমরা সেই ভ্রূণ অবস্থা থেকেই পেয়ে আসি। তাই মেয়েটিকে উচিৎ শিক্ষা দেওয়াই যায়... ধর্ষণ করে, তার যোনি ছিন্নভিন্ন করে। একবার পৌরুষের নখ দাঁতে ক্ষত বিক্ষত হলেই এরপর থেকেই মেয়েটি শিখে যাবে বেশী রাত্রে কফিশপে যেতে নেই, রাস্তায় একা হাঁটতে নেই, ছোট পোশাক পরতে নেই, অচেনা কাউকে লিফট চাইতে নেই, খোলা আকাশের তলায় বৃষ্টিতে ভিজতে নেই... কাউকে বিশ্বাস করতে নেই কাউকে... বাবা কাকা বন্ধু এমনকি ভালোবাসার একান্ত মানুষটিকেও না। চিন্তা নেই বিদগ্ধজন, চিন্তা নেই মেয়েটি শিখে যাবে। কেননা এরপর অনেক অনেক কথা উঠবে, আঙুল উঠবে... কেউ ‘সাজানো ঘটনা’ বলবে... কেউ ‘বেশ্যা’ বলবে (যেন দেহোপজীবিনীদের নিজের শরীরের ওপর কোন অধিকার রাখতে নেই)... বড়বাবু তদন্তের ভার দেবে মেজোবাবুবে... মেজোবাবু ছোটবাবুকে... বাড়ির লোক হা-হুতাশ করবে... পাড়ার লোক সামনে আহা করবে... আর আমরা রোজকার রুটিনে ভুলে যাবো... যেমন ভুলে গেছি জ্যোতির কথা, সুজেটের কথা, কাকদ্বীপের সেই ষোল বছরের মেয়েটার কথা...কিন্তু রোজ খবরের কাগজ হাতে নিয়ে মুচড়ে যখন দেখি ফোঁটা ফোঁটা রক্ত টপকে পড়ে এক একটা খবর থেকে... ধর্ষণ খুন বুক পিষে দেওয়ার... মনে মনে এক আকাশ কুসুম স্বপ্ন দেখে হয়তো আমার মতো অনেক অনেক মেয়ে... একদিন তারা সকলে মিলে ঐ ফাঁকা রাস্তায় গিয়ে দাঁড়াবে... চীৎকার করে গান গাইবে... অকারনে হেসে লুটোপুটি খাবে এ ওর গায়ে... সব মেয়েলি শিক্ষার শেকল গুলো পেরিয়ে বাইরে বেরিয়ে আসবে! তখন? কি হবে সমাজাবতার? পারবে তো আটকাতে?
পাতলা ঠোঁট, কুতুকুতে চোখ... কি যেন বলে না ওদের! ‘চিনকি’... ও হ্যাঁ খোদ কলকাতার বুকেই সল্টলেকে এরকমই এক ২৫ বছরের নেপাল থেকে কর্মসূত্রে কলকাতায় আসা মেয়েকে গণধর্ষণ করলো কিছু উনমানুষ। মেয়েটি জানতো না রাস্তা হারালে মেয়েদের কাউকে সাহায্যের জন্য জিজ্ঞেস করতে নেই, কোন পুরুষ মধ্যরাত্রে কোন মেয়েকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলে তাকে বিশ্বাস করতে নেই... এই অবিশ্বাসের শিক্ষা হয়তো সে মেয়েবেলায় পায়নি যা আমরা সেই ভ্রূণ অবস্থা থেকেই পেয়ে আসি। তাই মেয়েটিকে উচিৎ শিক্ষা দেওয়াই যায়... ধর্ষণ করে, তার যোনি ছিন্নভিন্ন করে। একবার পৌরুষের নখ দাঁতে ক্ষত বিক্ষত হলেই এরপর থেকেই মেয়েটি শিখে যাবে বেশী রাত্রে কফিশপে যেতে নেই, রাস্তায় একা হাঁটতে নেই, ছোট পোশাক পরতে নেই, অচেনা কাউকে লিফট চাইতে নেই, খোলা আকাশের তলায় বৃষ্টিতে ভিজতে নেই... কাউকে বিশ্বাস করতে নেই কাউকে... বাবা কাকা বন্ধু এমনকি ভালোবাসার একান্ত মানুষটিকেও না। চিন্তা নেই বিদগ্ধজন, চিন্তা নেই মেয়েটি শিখে যাবে। কেননা এরপর অনেক অনেক কথা উঠবে, আঙুল উঠবে... কেউ ‘সাজানো ঘটনা’ বলবে... কেউ ‘বেশ্যা’ বলবে (যেন দেহোপজীবিনীদের নিজের শরীরের ওপর কোন অধিকার রাখতে নেই)... বড়বাবু তদন্তের ভার দেবে মেজোবাবুবে... মেজোবাবু ছোটবাবুকে... বাড়ির লোক হা-হুতাশ করবে... পাড়ার লোক সামনে আহা করবে... আর আমরা রোজকার রুটিনে ভুলে যাবো... যেমন ভুলে গেছি জ্যোতির কথা, সুজেটের কথা, কাকদ্বীপের সেই ষোল বছরের মেয়েটার কথা...কিন্তু রোজ খবরের কাগজ হাতে নিয়ে মুচড়ে যখন দেখি ফোঁটা ফোঁটা রক্ত টপকে পড়ে এক একটা খবর থেকে... ধর্ষণ খুন বুক পিষে দেওয়ার... মনে মনে এক আকাশ কুসুম স্বপ্ন দেখে হয়তো আমার মতো অনেক অনেক মেয়ে... একদিন তারা সকলে মিলে ঐ ফাঁকা রাস্তায় গিয়ে দাঁড়াবে... চীৎকার করে গান গাইবে... অকারনে হেসে লুটোপুটি খাবে এ ওর গায়ে... সব মেয়েলি শিক্ষার শেকল গুলো পেরিয়ে বাইরে বেরিয়ে আসবে! তখন? কি হবে সমাজাবতার? পারবে তো আটকাতে?
No comments:
Post a Comment