Saradindu Uddipan
আমরা আজ বিকে ৪টার সময় একটি প্রতিনিধি দল কলকাতার বেলভিউ নারসিং হোমে বড়মা বীণাপাণি ঠাকুরের সাথে দেখা করতে যাই। এই প্রতিনিধি দলে আমার সঙ্গে ছিলেন বিশিষ্ট লোককবি উত্তম সরকার, সান্তনু মণ্ডল ও ঠাকুর নগর নিবাসী মৃত্যুঞ্জয় রায়। মেট্রন অফিস থেকে আমরা জানতে পারি যে বীণাপাণি ঠাকুর ITU ডিপার্টমেন্টের ২০৮ নাম্বার কেবিনে ভর্তি আছেন। বিকেল ৫টার সময় আমরা মেট্রন অফিসের সহযোগিতায় তাঁর সঙ্গে দেখা করার সুযোগ পাই।
কেবিনে ঢুকে দেখতে পাই বিশিষ্ট সমাজ সেবি কল্যাণী ঠাকুর বড়মার সেবায় নিযুক্ত আছেন। আমরা আশ্বস্ত হই। সেবায় নিযুক্ত আছেন আরো দুজন সেবিকা। আমরা বীণাপাণি ঠাকুরের শরীর checkup করি। তাঁর হাত পা, পিঠ বা মাথায় কোন জায়গায়ই আঘাতের চিহ্ন নেই। নেই কোন সেঁকা দেওয়ার দাগ।
তিনি আমাদের কাছে জানান যে তাঁর মুখ এবং মাথায় খুব ব্যথা। কপালের বাঁদিকে একটি জায়গায় কালো হয়ে আছে এবং অস্বাভাবিক ফুলে আছে।
যে সেবিকা বড়মা বীণাপাণি ঠাকুরের সাথে সর্বক্ষণ থাকেন তিনি জানান যে ঐ দিন তিনি শোয়ার আগে কিছুক্ষন বাইরে গেলে বড়মা দুই খাটের মাঝকানে পড়ে যান। খাটের পায়ার নিচে পাতা ইটের কানায় তাঁর কপালে চোট লাগে। প্রথম দিকে বোঝা না গেলেও দুদিন পর তাঁর অবস্থার অবনতি ঘটলে তাকে বেলভিউ নারসিং হোমে ভর্তি করা হয়।
কল্যাণী ঠাকুরও জানান যে বড়মা নিজে পুলিশকে যে বয়ান দিয়েছেন তাতে কেউ তাঁর উপর অত্যাচার করেছে বলে জানান নি। আসলে ঐদিনে যে সবিকা তাঁর সাথে থাকেন তিনি বাইরে গেল বড়মা বীণাপাণি ঠাকুর কিছু খুচরা টাকা গুছিয়ে রাখার জন্য আলমারির দিকে যান। তাড়াহুড়া করে উঠতে গিয়ে দুই খাটের নিচে পড়ে যান এবং এই বিপত্তি ঘটে।
বড়মা এখন অনেকটাই সুস্থ্য। মেডিক্যাল রিপোর্টেও তেমন বলা হয়েছে।
প্রতিনিধি দলের পক্ষ থেকে আমি সমস্ত মতুয়া ভক্তদের জানাচ্ছি যে, এই ঘটনা নেহাতই একটি দুর্ঘটনা। এর পিছনে ষড়যন্ত্র বা বড়মার প্রতি কোন রকমের শারীরিক নির্যাতনের সম্পর্ক নেই।
No comments:
Post a Comment