সেরকম কাকোবাড়ি গ্রামেও বহু মানুষের মৃত্যু হয়। আক্রমণ কারীদের হাতে ৬২ বছরের নরেন ঘোষ, ৩৫ বছরের নরেশ ঘোষ এবং নরেশের বৃদ্ধা মা আশি বছরের ফালো মণ্ডলের মৃত্যু হয়েছিল। বৃদ্ধা ফালো মণ্ডল ঘরের থেকে নড়াচড়া করতে পারতেন না। সেই অসহায় বৃদ্ধা মহিলাকে হত্যা করেছিল অসমিয়া জাতির অস্তিত্ব রক্ষার নামে। এদিকে কাকোবাড়ি গ্রামে আক্রমণ করতে এসে আন্দোলনকারীরাও বাঙালি প্রত্যাক্রমণকারীদের হাতে অনেকে প্রাণ দিয়েছে। এই সম্পর্কে কাকোবাড়ি অঞ্চলের পরমা মণ্ডল বলেছিলেন, “ আমাদের গ্রামে আক্রমণ হবে বলে আমরা আগে থেকেই অনুমান করতে পেরেছিলাম। একাংশ মানুষ আমাদের খবর দিয়েছিলেন যে আন্দোলনকারীরা আন্দোলনকারীরা বাঙালিদের গ্রামগুলোকে আক্রমণ করবার পরিকল্পনা করছে। অনেকে অস্ত্র-শস্ত্র সংগ্রহ করছেন। আক্রমণ করতে লখিমপুর জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে আন্দোলনের সমর্থক এসে শিলাপাথারে সমবেত হয়েছে। ফলে আমরাও আত্মরক্ষার জন্যে প্রস্তুত হচ্ছিলাম। বন্দুক –বারুদ কই পাই, তাই বর্শা-বল্লম, দা –লাঠি সেসবই ছিল। কিন্তু ঐ হাজার হাজার মানুষকে আমরা বাধা দিই কী করে? তবুও আমি, সুচল মণ্ডল এমন অনেকে মিলে লড়ে গেছি। আমরা লড়াইটা করেছিলাম বলেই গ্রামের অনেকেই বিশেষ করে মহিলারা, ছোট ছোট ছেলে-মেয়েরা অনেকেই প্রাণ বাঁচাতে পালিয়ে যেতে সুবিধে পেল। আমাদের প্রত্যাক্রমণে যদি কারো মৃত্যু হয়েছিল জানি না। কিন্তু অনেক মিসিং সম্প্রদায়ের মানুষকে আক্রমণকারীদের দলে দেখেছিলাম। সেদিন আমার পা ওরা কুপিয়ে ভেঙ্গেছিল। যে আমাকে আঘাত করেছিল সে মিসিং সম্প্রদায়ের ছিল। আমাদেরই কিছু মানুষের প্রত্যাক্রমণে সেই মানুষটির মৃত্যু হয়েছিল। ...” ...আমার অনুবাদের দিগন্ত শর্মার লেখার তৃতীয় পর্ব... এখানে পড়ুন....
No comments:
Post a Comment