রকেট ক্যাপসুল, জাপানী তেল নিবেদিত শারদোত্সবে গণতন্ত্র!
পলাশ বিশ্বাস
যাহা দ্যাকতাচি,বিশ্বেস হতিচে না সাংবাদিকরা এমনি ক্যালানি খাইলো,জাপানী তেল রকেট ক্যাপসুল নিবেদিত শারদাত্সবে গণতন্ত্রের এইস্যা বাহার,এইস্যা জোর বাহেস,চ্যানেলে প্যানেলে,কতই না খাট ভাঙ্গবো দুষ্টু সোনারা,আহা!
পুজোর আগেই সাংবাদিক ক্যালানো জমে দই,প্যানালে প্যানেলে জোর বাহেস চলিতেছে,শাসকের সব চাই!
সাংবাদিক না ক্যালাইলে গণতন্ত্র উত্সব হয় না,কেহ কহিছেনা!
ক্যালানির চোটে রকেট ক্যাপসুল তত্সহ জাপানী তেলের মম গন্ধে শারদোত্সবে মা দুগ্গার আ মরি আবাহন,যতেক অসুর বেটা আছেক মা এই বঙ্গে,এি ভারতবর্ষে,এই মহাদেশে,রকেচ ক্যাপসুল দিতাছি যত চাই,জাপানী তেল দিয়া যন্ত্র পাতি মাজিয়া ঘসিয়া,সব ব্যাটারে নিকেশ করহ মা!
পিতৃপক্ষ সবে শুরু হল!
শরতের গন্ধ বাতাস কিছুই নাই!
কাশফুল ফুটেছে কি ফোটে নাই,দেখি নাই!
গরমে হাসফাঁস প্রাণ!
সকাল হতে না হতেই গ্রীষ্মের দাবদাহ!
কেন্দ্র সরকারের কর্মচারিদের সপ্তম বেতনমান লাঘু হওয়ার কথা!
সমান সমান বেতন রাজ্য সরকারের কর্মচারিদেরও জুটিবে,বড় আশা!
বাজারে টাকা কম পড়িতেছে না!
উপরন্তু রিজার্ভ ব্যান্ক সদয়,সুদের হার কমিয়াছে!
কেনা কাটার ঠ্যলায় আত্মারাম খাঁচা ছাড়া হোক বা না হোক,ভিড়ের গুঁতোয় রাস্তায় চলা দায়!
পকেটমারের পোয়া বারো উপরন্তু ঠ্যাঙাড়ে বাহিনীর আয় কম হইতেছে না!
এই বঙ্গে একন বড় রঙ্গ,বঙ্গ ভঙ্গের পর থেকেই রঙ্গ তরঙ্গ!
রাজনীতির ঠ্যালায় জীবন জীবিকার বারোটা অলরেডি বাজিয়াছে,কল কারখানা লাটে!
ব্যবসা বাণিজ্য সারা বছর পুজো মত্সব সর্বস্ব,পুজোর বিরাম নেই!
সংবাদ মাধ্যম বাজার বাজার কইরা পিত্তি জ্বালানোয় কম যায় না!
তাহার উপর এই জাপানী তেল তত্সহ সংবাদ শিরোনামের আগে জাপানী তেল!
সবকিছু ফুলিয়া ফাঁপিয়া ঢোল!
দুগ্গা বিশ্বের সব চেয়ে বড় প্রতিমা!
এখন রকেট ক্যাপসুল জাপানী তেল নিবেদিত শারদোত্সব!
প্যান্ডেলে প্যান্ডেলে ঘইরা ফিইরা যদি কেহ শুধাইতে লাগে মা দুগ্গারে যে এত্তো কাল মহিষাসুর বধ ত হইলো,কটা খাট ভাঙ্গা হইলো,বল দিকিনি, দোষ ধরা যাবে না!
Let Me Speak Human!My Heart Pierced but I may not sing like a nightingale!
Diwali Dhamaka: Strategic Sale of PSUs may Kickstart Soon
Violence Mars Bengal Civic Polls
অশান্তির আবহে ভোট
আজকালের প্রতিবেদনঃঅশান্তির আবহেই হল শনিবারের ভোট। রাজে্য ৩ পুরসভা, শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদ থেকে শুরু করে পঞ্চায়েত উপনির্বাচনে কমবেশি অশান্তি হয়েছে। চলেছে গুলি, পড়েছে বোমা। মৃতু্য হয়েছে ২ জনের। গুলিবিদ্ধ ৫ জন। সাংবাদিক–সহ আহত বহু। বিরোধীদের অভিযোগ, বহিরাগতদের দিয়ে ভোট লুট করেছে শাসকদল। তৃণমূলের পাল্টা জবাব, ওদের সঙ্গে মানুষ নেই। পুনরায় ভোটের দাবিতে বাম, বি জে পি, কংগ্রেস নেতৃত্ব এদিন দুপুর থেকে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের অফিসে ধর্নায় বসে পড়ে। নির্বাচন কমিশনার সুশান্তরঞ্জন উপাধ্যায় জানিয়েছেন, বিকেল ৫টা পর্যন্ত বিধাননগরে ৭০, বালিতে ৬৯.৩, আসানসোলে ৭১, শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদে ৭৮ শতাংশ ভোট পড়েছে। এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। ভোট লুট, সন্ত্রাসের অভিযোগ এনে সোমবার বিধাননগর–রাজারহাট এলাকায় ১২ ঘণ্টার বনধের ডাক দিয়েছে জেলা বামফ্রন্ট। ওই দিনই রাজ্যপালের কাছে গিয়ে অভিযোগ জানাবে তারা। আজ, রবিবার উত্তর ২৪ পরগনা জুড়ে প্রতিবাদ, ধিক্কার দিবস পালন করবে বামেরা। শনিবারের বিধাননগর, আসানসোল, বালি এবং শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের ভোট যে শান্তিপূর্ণ হবে না তা আশঙ্কা করেছিলেন অনেকেই। তবে পঞ্চায়েতের উপনির্বাচনে যে গোলমাল ঘটবে, তা ভাবা যায়নি। কিন্তু সেখানেও গোলমালের ঘটনা ঘটেছে। কোথাও পুলিস তেমন ভাবে সক্রিয় ছিল না বলে অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার মুর্শিদাবাদের হরিহরপাড়ায় বোমা ফেটে মৃতু্য হয়েছে ইমদাদুল শেখ ও মুক্তার আলি নামে দুই কংগ্রেস কর্মীর। কংগ্রেস প্রার্থী জয়ন্তী ঘোষের স্বামী রণদেব ঘোষকে অপহরণের অভিযোগ ওঠে। প্রতিবাদে সালার থানার সামনে অবস্থান, বিক্ষোভ শুরু হয়। অবস্থানে বসেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরি। পরে রণদেবকে উদ্ধার করলে অবস্থান ওঠে। শনিবার আসানসোলে ভোট চলাকালীন ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূল, সি পি এম সঙ্ঘর্ষ বাধে। ৩ ভোটার গুলিবিদ্ধ হয়। অভিযোগের তীর তৃণমূলের দিকে। রানীগঞ্জেও তৃণমূল, সি পি এম সঙ্ঘর্ষের সময় ব্যাপক বোমা পড়ে, গুলি চলে। জামুড়িয়ায় বি জে পি তরোয়াল নিয়ে মিছিল করেছে বলে পুলিস জানায়। বি জে পি–র অভিযোগ ওরা তৃণমূলের। এখানে ইটবৃষ্টি, পুলিসের সঙ্গে ভোটারদের খণ্ডযুদ্ধ হয়। কুলটিতে ভোট দিতে এসে এক তৃণমূল সমর্থকের কান কেটে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। হাওড়ার বালির ভোটে দাপট দেখায় তৃণমূল। বিরোধীদের প্রতিরোধ চোখেই পড়েনি। এক কংগ্রেস প্রার্থীর মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়। তবে সব থেকে বেশি গন্ডগোলের ঘটনা ঘটেেছ বিধাননগর–রাজারহাটে। বহিরাগতরা দাপটের সঙ্গে ঘুরে বেরিেয়ছে, ভোট করিয়েছে। দু–একটি ওয়ার্ড ছাড়া তাদের খুব একটা প্রতিরোধের মুখে পড়তে হয়নি। প্রতিরোধ করতে গিয়ে মার খেয়েছেন বিধাননগর এলাকার একদা তৃণমূুলের দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা, এবারের নির্দল প্রার্থী অনুপম দত্ত। শ্রমমন্ত্রীর প্রাক্তন আপ্ত সহায়ক, এবারে ৭ নম্বর ওয়ার্ডে কংগ্রেস প্রার্থী দেবরাজ চক্রবর্তী বহিরাগতদের বাধা দেন। কৈখালিতে ভি আই পি রোডে দু’দলের সঙ্ঘর্ষ বাধে। চলে গুলি, বোমা। গুলিবিদ্ধ হন দুই কংগ্রেস কর্মী। পুড়িয়ে দেওয়া হয় ৬টি বাইক। তৃণমূলের দাবি তাদের ১৭ কর্মী আহত হয়েছে। সারাদিনই উত্তেজনা ছিল বিধাননগর–রাজারহাট চত্বরে। গোলমালের জন্য অনেক ভোটার যেমন ভোট দিতে পারেননি। অনেকে বুথমুখোও হননি। শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের ভোট সকালের দিকে শান্তিপূর্ণ থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে গোলমাল শুরু হয়। বোমাবাজি হয় মাটিগাড়ায়। চম্পাসারির সমরনগরে ই ভি এম ভাঙচুর হয়।
বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু বলেছেন, বেপরোয়া লুটের ভোট হয়েছে। একই অভিযোগ বি জে পি, কংগ্রেসেরও। তারা পুনরায় ভোট চেয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশন অফিসের সামনে অবস্থান শুরু করে। নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত নিতে দু’ঘণ্টা সময় চেয়ে নেয়। এস ইউ সি আই–এর রাজ্য সম্পাদক সৌমেন বসু জানিয়েছেন, তাঁদের উত্তর ২৪ পরগনা জেলা কমিটি বামফ্রন্টের ডাকা সোমবারের বিধাননগর–রাজারহাটের বনধকে সমর্থন করছে।
পুনর্নির্বাচনের দাবি কংগ্রেসের
বিধাননগর, আসানসোল, বালি ও শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের নির্বাচনে প্রহসন হয়েছে বলে মনে করে রাজ্য কংগ্রেস। তাই এসব জায়গায় দলের পক্ষ থেকে পুনর্নির্বাচনের দাবি করা হয়েছে। রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কাছে প্রদীপ ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে এক প্রতিনিধি দল রিগিং ও সন্ত্রাসের প্রতিবাদ জানিয়ে স্মারকলিপি দেয়। দলের পক্ষ থেকে অভিযোগ জানানো হয়েছে, তৃণমূলের কর্মীরা সর্বত্র রিগিং করেছে। গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছে। দলের পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে পুনর্নির্বাচনের দাবি জানানো হয়েছে।
তৃণমূলের বেধড়ক মারে
রক্তাক্ত ১৮সাংবাদিক
নিজস্ব প্রতিনিধি : কলকাতা, ৩রা অক্টোবর— অবাধ ভোট লুটের ছবি তুলতে গিয়ে রক্তাক্ত হতে হলো সাংবাদিকদের।
বিধাননগরেরই তৃণমূল কংগ্রেসের দুষ্কৃতীদের হাতে এদিন সাংবাদিক ও চিত্র সাংবাদিক মিলিয়ে আক্রান্ত হয়েছেন ১৭জন। বালিতেও শাসকদলের ভোট লুটের ছবি তুলতে গিয়ে আক্রান্ত হতে হয়েছে আরও এক সাংবাদিক।
দিনভর তৃণমূল সন্ত্রাসে জখম ১৮জন সাংবাদিক। রাত পর্যন্ত সাংবাদিকদের ওপর আক্রমণের ঘটনায় একজনকেও পুলিশ গ্রেপ্তার করেনি।
যুদ্ধবিধ্বস্ত মধ্যপ্রাচ্যে প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করার অভিজ্ঞতাকেও এদিন হার মানিয়ে দিয়েছে বিধাননগরে পৌর নির্বাচনের প্রতিবেদন পাঠাতে যাওয়া এরাজ্যের সাংবাদিকদের নির্মম অভিজ্ঞতা। এমন আক্রমণ কখনও এ রাজ্যে দেখেছেন বলে মনে করতে পারছেন না বর্ষীয়ান সাংবাদিকরাও।
অবাধে দাপিয়ে বেড়িয়েছে তৃণমূল দুষ্কৃতীরা। একের পর এক বুথে ভোট লুট করে গেছে বহিরাগত তৃণমূলীরা। যখনই সেই ছবি ক্যামেরাবন্দি করেছেন চিত্র সাংবাদিকরা তখনই নেমে এসেছে আক্রমণ।
বাঁশ দিয়ে, লাঠি চালিয়ে সরাসরি আঘাত করা হয়েছে মাথায়। রাস্তায় ফেলে পিটিয়ে সংজ্ঞাহীন করে দেওয়া পর্যন্ত থামেনি আক্রমণ। মহিলা সাংবাদিকদের পুলিশের সামনে ধর্ষণের হুমকি দেওয়া হয়েছে। খবর করতে আসা মহিলা সাংবাদিককে বুথের সামনে তুলে নিয়ে গিয়ে আটকে রাখা হয়েছে। সবই হয়েছে পুলিশের সামনে।
তাঁর প্রতি কথাতে শুরু ও শেষ হয় ‘গণতন্ত্র’ শব্দ উচ্চারণে। ‘‘আইন আইনের পথে চলবে।’’ এমন উক্তি কার প্রশ্ন করলে একবাক্য সবাই বলবে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির নাম। গণতন্ত্রের এমন প্রহসনের দিনে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির মুখ থেকে একটি কথাও শোনা যায়নি। তেমনই তাঁর ফেসবুক বা ট্যুইট বার্তায় নেই সাংবাদিকদের ওপর প্রাণঘাতী হামলার নিন্দা করে একটি কথাও।
সাংবাদিকদের ওপর এই নৃশংস হামলার তীব্র নিন্দা করেছেন বিধাননগর কর্পোরেশনের বামফ্রন্ট প্রার্থী রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী ড. অসীম দাশগুপ্ত। তিনি বলেছেন,‘‘ জীবিকার জন্য সংবাদমাধ্যমে সাংবাদিকতার কাজ করেন যাঁরা তাঁদের ওপর এই নারকীয় হিংস্রতা কেন? সত্য খবর তাঁরা পৌঁছে দিচ্ছেন বলে এত ভয়। তাই এই আক্রমণ।’’ তীব্র ধিক্কার জানিয়েছেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু। সাংবদিকদের ওপর শাসকদলের দুষ্কৃতীদের এই নৃশংস হামলার তীব্র নিন্দা করে অবিলম্বে অপরাধীদের গ্রেপ্তারের দাবি করেছেন ক্যালকাটা প্রেস ক্লাবের সম্পাদক অনিন্দ্য সেনগুপ্ত। হামলার নিন্দা করেছেন ক্যালকাটা জার্নালিস্টস্ ক্লাবের সভাপতি হিমাংশু চট্টোপাধ্যায় ও সাধারণ সম্পাদক রাহুল গোস্বামী। দিল্লি ইউনিয়ন অফ জার্নালিস্টস্ কঠোর নিন্দা করেছে এই আক্রমণের।
সংবাদমাধ্যমের ওপর হামলার দায়সারা নিন্দা করে শাসকদলের মহাসচিব পার্থ চ্যাটার্জি সাংবাদিক নিগ্রহের ঘটনায় তৃণমূল কংগ্রেসের যুক্ত থাকার অভিযোগ এড়িয়ে গেছেন। তাঁর প্রতিক্রিয়া,‘‘আর্থিক অনটন থাকা সত্ত্বেও রাজ্যের সার্বিক উন্নয়নে মমতা ব্যানার্জি ঐতিহাসিক কাজ করছেন। জনগণের তাঁর প্রতি আস্থা আছে। কেন এই ধরনের ঘটনা ঘটলো, কাদের প্ররোচনায় এই ঘটনা ঘটলো, কোন রাজনৈতিক দলের প্ররোচনায় এই ঘটনা ঘটলো তা আমরা খুঁজে বের করবো।’’ অথচ এদিন সকাল থেকে বিধাননগরে দাপিয়ে বেড়িয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের দুষ্কৃতীরা। রাজ্যবাসী তা সংবাদমাধ্যমেই চোখে দেখেছেন। তাদের আড়াল করে দলের মহাসচিব বিশেষ রাজনৈতিক দলের প্ররোচনা খোঁজার কথা বলেছেন।
অথচ এদিন তৃণমূল কংগ্রেসের দুষ্কৃতীদের হামলায় বিধাননগর থেকে কার্যত মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে আসতে হয়েছে সাংবাদিকদের। নাক, মুখ থেকে বেরিয়ে আসছে রক্ত। কথা বলতে কষ্ট হচ্ছে। তবু খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে আক্রান্ত এ বি পি আনন্দের সাংবাদিক অরিত্রিক ভট্টাচার্য ঘটনার পরপরই বলছিলেন,‘‘ওখানে অনেকক্ষণ ধরে বুথ জ্যাম ছিলো। আমি আর আমার ক্যামেরাপার্সন পার্থসারথি চক্রবর্তী ছবি করছিলাম। ছবি তুলে পার্থ আমার সঙ্গে কথা বলছিলো। পার্থর হাত থেকে ক্যামেরাটা নিয়ে একজন দৌড়ে পালায়। আমরা পিছনে দৌড়াই ক্যামেরাটার জন্য। তিন-চারজন আমাকে আটকে মারধর করে। মাথায় মেরেছে। মুখ ফাটিয়ে দিয়েছে। পার্থ সেন্সলেস হয়ে রয়েছে।’’
বাঁশের বাড়ি খেয়েছেন কলকাতা টিভি ও নিউজ টাইমের প্রতিনিধি। শনিবার সকাল থেকে এফ ডি’র অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ইনস্টিটিউটে(এ টি আই) ছাপ্পা ভোটে ব্যপক চলতে থাকায় সেখানে ছবি তুলতে গেলেই শুরু হয় তৃণমূলী দুষ্কৃতীদের আক্রমণ। এ টি আই’তে ছবি তুলতে যান সৌভিক দে। তার সঙ্গে ছিলেন এ বি পি আনন্দের অরিত্রিক ভট্টাচার্য এবং চিত্র সাংবাদিক পার্থসারথি চক্রবর্তী। সঙ্গে অন্যান্য মাধ্যমের প্রতিনিধিরাও ছিলেন। আচমকাই তৃণমূলের ক্যাম্প অফিস থেকে এক যুবক ছুটে এসে পার্থসারথি চক্রবর্তীর হাত থেকে ক্যামেরা ছিনিয়ে পালায়।
ক্যামেরা উদ্ধার করতে তিনি ওই যুবকের পিছনে তাড়া করতেই বাইক বাহিনী নিজেদের মূর্তি ধারণ করে। তারা সাংবাদিকদের নির্বিচারে মারধর শুরু করে। আশেপাশের গলি থেকে বাঁশ, লাঠি হাতে বেরিয়ে আসে অনেকে। লাঠির আঘাতে গুরুতর আহত হন সৌভিক দে। তৃণমূলের ঐ দুষ্কৃতী দলটি এরপরে মারধর শুরু করে অন্য সাংবাদিকদের। সশস্ত্র ঐ আক্রমণে আহত হয়েছেন ২৪ ঘণ্টার সাংবাদিক বিক্রম দাস, দেবারতি ঘোষ ও চিত্র সাংবাদিক মিন্টু বসাক। মাথায় হেলমেটের আঘাতে গুরুতর চোট পেয়ে হাসপাতালে ভর্তি মিন্টু বসাক। কলকাতার এক বেসরকারী হাসপাতালে আই সি ইউ তে ভর্তি মিন্টু বসাক। ওই একই হাসপাতালে ভর্তি অরিত্রিক ভট্টাচার্য ও পার্থ সারথি চক্রবর্তী। অরিত্রিক ভট্টাচার্যের নাকের হাড়ে বড়সড় চিড় ধরা পড়েছে। তাঁদের ক্যামেরাও ভেঙ্গে দেওয়া হয়। তৃণমূলীরা ছাড়েননি ই টি ভি নিউজ বাংলার প্রতিনিধি অভিরথ ঘোষ ও সুরজ প্রসাদকে। ভোট লুটের ছবি,খবর করতে গিয়ে বেধড়ক মার খেয়েছেন এ বি পি আনন্দের সাংবাদিক প্রকাশ সিংহ।
সেখানে দুষ্কৃতীরা রেয়াত করেনি এ বি পি আনন্দের আরেক সাংবাদিক ময়ূখ ঠাকুরচক্রবর্তীকেও। দ্য টেলিগ্রাফ-এর চিত্র সাংবাদিক সঞ্জয় চট্টোপাধ্যায়কে একা পেয়ে রাস্তায় মধ্যে বেধড়ক মারধর করা হয়। ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডে সি পি আই(এম) প্রার্থী রমলা চক্রবর্তী বাড়িতে আক্রমণের খবর করতে গিয়ে কলকাতা টিভির সাংবাদিক ও চিত্র সাংবাদিক শারমিন বেগম এবং তন্ময় দত্ত বিশ্বাস মার খেয়েছেন। বাঁশ দিয়ে রাস্তার ওপর ফেলে মারা হয়েছে কলকাতা টিভির চিত্রগ্রাহক প্রতিনিধিকে। আক্রান্ত হয়েছেন ‘এই সময়’ পত্রিকার সাংবাদিক মৈত্রেয়ী ভট্টাচার্য ও তথাগত সেনগুপ্ত। এদিন সন্ধ্যায় আক্রান্ত সাংবাদিকদের হাসপাতালে দেখতে যান সি পি আই (এম) নেতা অসীম দাশগুপ্ত, রমলা চক্রবর্তী ও পলাশ দাস।
অন্যদিকে, বালিতে শাসকদলের ছাপ্পা ভোটের ছবি তুলে ফেরার পথে এদিন আক্রান্ত হয়েছেন ই টি ভি-র সাংবাদিক তুহিন দাস চন্দ্র। বুথের সামনে থেকে কলার ধরে টেনে তুহিন দাসচন্দ্রকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছিলো একটি বাড়িতে। এরপর বন্ধ ঘরে তাঁর ওপর ব্যাপক মারধর করে শাসকদলের দুষ্কৃতীরা। বুকে পেটে চোট এমনই মারাত্মক যে শ্বাসকষ্ট হচ্ছে তাঁর।
- See more at: http://ganashakti.com/bengali/breaking_news_details.php?newsid=2732#sthash.O93igeWQ.dpuf
কী খেলা খেললে গুরু । মাঠ একাই ফাঁকা করে দিলে ।বিহার ইউপির মাফিয়ারাও তোমাদের দেখে আতংকিত হয়ে পড়বে ।
বিধাননগর পুরভোটে সাংবাদিক নিগ্রহের ঘটনায় এবিপি আনন্দের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ এডিটর সুমন দে-র প্রতিক্রিয়া http://abpananda.abplive.in/…/Bidhannagar-Municipal-PollJou…
টিভি ক্যামেরা, পুলিসকর্তা, তাবড় নেতাদের সামনে সাংবাদিক পেটালেও এখনও বহাল তবিয়তে অভিযুক্তরা। ঘটনার একদিন পরও পুলিস অভিযুক্তদের গ্রেফতার করতে পারেনি। গতকাল সল্টলেকে…
ZEENEWS.INDIA.COM
একটি বিশেষ ঘোষণা । দয়া করে পড়বেন। শেয়ার করবেন । পশ্চিমবঙ্গের থানা গুলো থেকে পুলিশ নামক দর্শক ভাড়া পাওয়া যাচ্ছে । এরা দর্শকদের ভূমিকায় অভিনয় করতে বিশেষ পারদর্শী । [##তৃনমুল পাটি অফিসের থেকেও পুলিশ নামক দর্শকের ভাড়া পাওয়া যাচ্ছে ।##]
ebela
Debasish Banerjee
ছবি তুললে রেপ করে দেব.........
মহান নেতা ও অভিনেতা তাপস পালের সেই বিখ্যাত ডায়লগের প্রতিদ্ধনি শোনা গেল তূনমুল বিধায়ক সুজিত বোসের গলায়. . . . . . . . . . . . . .
কাল সল্টলেকে ভোট কভার করতে যাওয়া ২৪ ঘন্টার এক মহিলা সাংবাদিক কে ধর্ষন করার হুমকি দিলেন তিনি. . . . .
চুপ উন্ননয়ন চলছে. . . . . . . . . .
Eysob mohan netader koto gulo jutor bari hobe...?
Arindam Mukherjee
Raju Raju
সোনাগাছির মাসীদের ভাড়া করে এনে ভোট করিয়েছেন বিধাননগরে তৃণমূল । দলটাই তো মাসিদের ?
'সল্টলেকের গেস্ট' রানা দাস কল্যাণী রোডের বারের বাউন্সার অথচ পুলিসের কাছে খোঁজ নেই
VIDEOS
KOLKATA
NATION
http://www.epaper.eisamay.com/epaperimages/4102015/4102015-md-em-7l.jpg
No comments:
Post a Comment