#shutdownjnu বা #india first এর নিয়তি সব বিশ্ববিদ্যালয়ে ভবিতব্য ভবিষত্ !
সহিংস ঘৃণা,অখন্ড বর্ণ বৈষম্য,অস্পৃশ্যতা,সন্তাস ও মুক্তবাজারি পিপিপি উন্নয়ণে গণসংহার যাহাদের সংস্কৃতি ন্তি সৌহার্দ্র ও প্রেম তাহারা বাংলায় বাঁচতে দিব কি দিব না,কহনা হ্যায় মুশ্কিল,যতই না তুমি কাট ভাঙতাছো।
বলদে পাটি গণিত বুঝে বেশ,অন্ক গণিত ছাই বুঝতাছে না,কাহার সহিত কাহার জোটে এই মেরুকরণ তাহাও মর্মে যায় নাই - যথার্থই দিল্লীতে সিপিএমের অফিসও যদি গোল্লায় যায়, বাংলার কমরেডদের কিচ্ছু যায আসে না।
জেএনউ নিয়া মাথাব্যথার কারণ দ্যাখি না।বাংলা দখল হইলেই হইল।পোড়া দ্যাশ কোন্ কাজে লাগে?
অখন্ড বিদ্যাধরী মনুস্মৃতি ইতিমধ্যে দুর্গা ভক্তদের অসুর নিধনের আহ্বান রোহিত আন্দোলনকে তামাশা ঠাওরাইয়া এই বাংলার মাটিতেই করছেন।
এহন তিনি সরস্বতী বন্দনা কইরা কাহাদের মুন্ডুপাতের আয়োজন করতাছেন,যাহাদের মুন্ডু যাইব যাইব,সারা দ্যাশে যাইতাছে,তাহাদের বোঝনোর দায়ও কমরেডদের নাই।
রোহিত ভেমুলার হত্যাকারী ফ্যাসিস্ট মনুস্মৃতি মুক্তবাজারী ধর্মোন্মাদের বিরুদ্ধে দেশব্যাপী যে লাল নীল জনগণের জোট হইতাছিল,বামপন্থীদের সেই জোট থেকে বিচ্ছিন্ন করতেই জেএনউ ও বামপন্থীদের বিরুদ্ধ এই ফতোয়া,লালু বুঝতাছেন,বাংলার কমরেড ত নয়ই,ছাত্র যুব সমাজও বোঝতাছে না।আম্বেডকর ব্যবসাওয়ারিরা না।
পলাশ বিশ্বাস
অবিদ্যাময়ী
আরএসএস-এর সহিত সম্পর্কিত একটি সংগঠন আয়োজিত এক শিক্ষা-বিষয়ক অনুষ্ঠানে স্মৃতি ইরানি কহিলেন, ‘আজ সরস্বতী পূজা। সরস্বতী প্রতিটি পরিবারকে আশীর্বাদ করেন যে, তাহারা যাহা বলিবে তাহা প্রগতির পক্ষে যাইবে এবং জাতিকে শক্তিশালী করিবে। ভারতমাতার প্রশস্তি করা হউক। জাতি কখনওই ভারত মা’র প্রতি অপমান সহ্য করিবে না।
সম্পাদকীয় আনন্দবাজারের
সিপিএমের সদর দফতরে হামলা
24 ঘন্টা ওয়েব ডেস্ক: জেএন ইউ কাণ্ডের আঁচ এবার সিপিএমের সদর দফতর এ কে গোপালন ভবনে। আজ দুপুরে সিপিএম অফিস লক্ষ্য করে হামলা হয়। সিপিএমের অভিযোগ, হামলার পিছনে রয়েছে আরএসএস বিজেপির মদত। পুলিস জানিয়েছে, হামলাকারীরা আম আদমি সেনার সদস্য।
জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়ে জাতীয় রাজনীতিতে তরজা তুঙ্গে। আর সেই বিতর্কের আঁচ এবার সিপিএমের সদর দফতর একে গোপালন ভবনে। রবিবার দুপুরে হঠাত্ই কিছু যুবক সিপিএম অফিস লক্ষ্য করে পাথর ছুড়তে থাকে। কালি লেপে দেওয়া হয় দফতরের সাইন বোর্ডে।
সিপিএম নেতৃত্বের দাবি হামলার পিছনে রয়েছে আর এস এস-বিজেপির মদত। অভিযোগ, সীতারাম ইয়েচুরির। রবিবার দুপুরে হামলা চলাকালীনই ধরে ফেলা হয় এক যুবককে। ধৃত যুবক আম আদমি সেনার সদস্য বলে জানিয়েছে পুলিস। জেএনইউর ছাত্র সংসদ সভাপতি কানহাইয়া কুমারের মুক্তির দাবিতে সরব হয়েছে সিপিএম। তার জেরেই কী এই হামলা? উঠছে প্রশ্ন।
বাংলায় এহন আর সেই কাব্যময়,রাবীন্দ্রিক সঙ্গীতবদ্ধ প্রেম বাঁইচা আছে কি নাই,বুঝা মুশ্কিল।
আজ কোথাকার কে ভ্যালান্টাইন,তাহার স্মৃতিতে দিক্ দিগন্তে গোলাপের সুগন্ধি।প্রেম ত যৌবনের ধর্ম,আপত্তির কিছুই নাই।আমাদের আপত্তি নাই,কিন্তু বাংলায় পদ্ম ফসলে যে বিষধর সর্পকুলের আমদানি,তাহাদের দংশনে প্রেম শেষ পর্যন্ত বাঁচলেই হয়।
সহিংস ঘৃণা,অখন্ড বর্ণ বৈষম্য,অস্পৃশ্যতা,সন্তাস ও মুক্তবাজারি পিপিপি উন্নয়ণে গণসংহার যাহাদের সংস্কৃতি সান্তি সৌহার্দ্র ও প্রেম তাহারা বাংলায় বাঁচতে দিব কি দিব না,কহনা হ্যায় মুশ্কিল,যতই না তুমি কাট ভাঙতাছো।
বাংলায় এককালে বিপ্লবও ধর্ম কর্ম ছিল এককালে।
সেই বিপ্লব নাকি মতাদর্শের মৃত্যুর পর দিবাস্বপ্নে কি দুঃস্বপ্নেও ফিরিয়া আসে না ।না আসারই কথা।
সেই নক্সী কাঁথার মাঠ ওপারে জলান্জলি যা হইল তাহা এহন জঙ্গল মহল কিংবা পাহাড়ের হাসি।
প্রেম প্রেম খেলায় ধর্ষণ সংস্কৃতির জাপানী তেল বা রকেট ক্যাপসুল ঠিক কতখানি,সে রিসার্চ কিংবা সার্ভে সংবাদ শিরোনামে হইতাছেই দিবারাত্র।
মোদ্দা কথা হইল সারা দ্যাশে যে হাযদ্রাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো এক রোহিত ভেমুলাকে আত্মহত্যা কইরতে হইল এবং সেই আন্দোলনে যারা নেতৃত্ব দিতাছিল,যারা সব ইস্যুতেই রাস্তায় নামে,তাহারা এহন দেশদ্রোহী।
বাংলায় সেই দিনও যাদবপুর প্রেসীডেন্সীর ছাত্র ছাত্রীরা এক ভাইস চ্যাসলারের ইস্তীপার দাবিতে রাস্তায় নামিয়াছিল এবং পরে ইস্তীফা হওনের পর তাহাদের বিব্লব ক্লান্ত পরিশ্রান্ত।
বাকী দ্যাশে কিংবা এই বাংলাতেও কি হইল না হইল,তাহার চাইতে মহার্ঘ গোলাপের সন্ধ্যান যোবনের লক্ষ্মণ।
তবে ঔ রোহিত ভেমুলার আত্মহত্যার প্রতিবাদে যাদবপুরে ও প্রেসীডেন্সীতে অনশন হইয়াছে।আইআইটি খড়গপুরের শিক্ষক ও ছাত্রেরাও প্রতিবাদ কইরাছে।
এমনকি প্রতিবাদে আরএসএসের দুর্গ কেশব ভবনে গেরুয়া বজরঙ্গবলিদের হাতে রীতি মত ক্যালানিও খাইছে।
কিন্তি বেবাক একখানি ইউনিভার্সিটি দেশদ্রোহী হইয়া গেল,ছাত্রসঁঘের নেতাকে ক্যাম্পাসে ঢুইকা পুলিশ গ্রেপ্তার করল তারপর কেন্দ্রের একাধিক মন্ত্রী ও সারা দ্যাশে রোহিত ভেমুলার আত্মহত্যায় যাহারা যাহারা অভিযুক্ত,তাহারা ত বটেই সমস্ত হিন্দুত্ব বাহিনী প্রতিবাদী হক্কলকেই পাকিস্তানের দালাল ও রাষ্ট্রদ্রোহী ফতোযা দিযা সারা দ্যাশে মুন্ডি হাতে কাটিবার অশ্বমেধ শুরু কইরাছে,অথচ বাংলার ভ্যালান্টাইনরা প্রেম মগ্ন,হুঁশ নাই।
কমরেডদের কেরামতি কহতব্য নয়।
হক্কল বামপন্থী ছাত্রেরাএ এক চোটে দেশদ্রোহী,এমনকি সিপিএমের দিল্লীর সদর দপ্তরেও হনু হানা এবং লিখিত ফতোয়াও জারি হইল,সিপিএম সদর দপ্তরই পাকিস্তান।
রোহিত ভেমুলার হত্যাকারী ফ্যাসিস্ট মনুস্মৃতি মুক্তবাজারী ধর্মোন্মাদের বিরুদ্ধে দেশব্যাপী যে লাল নীল জনগণের জোট হইতাছিল,বামপন্থীদের সেই জোট থেকে বিচ্ছিন্ন করতেই জেএনউ ও বামপন্থীদের বিরুদ্ধ এই ফতোয়া,লালু বুঝতাছেন,বাংলার কমরেড ত নয়ই,ছাত্র যুব সমাজও বোঝতাছে না।
সেদিন পর্যন্তও দুর্জেয় লাল দুর্গ তবু নিরুত্তাপ।
বাংলার বাম ছাত্রেরা কি সবাই পটল তুলতে ব্যাস্ত,যে এখানি যুতসই প্রতিবাদ মিছিলও বাহির হইল না।
স্মরণ করানো দরকার এই গেরুয়া ফাজলামিতে রোহিত শম্বুক বলির বিরুদ্ধে নাগপুরে বাবাসাহেবের দীক্ষা ভূমি হইতে আরএসএস অফিস পর্যন্ত পাঁচ কিমী মিছিলও বাহির হইছে।জাত পাত ধর্ম নির্বিশেষ ছাত্র যুবদের সঙ্গে বহুজন জনতাও রাস্তায় লাল নীল ঝান্ডা নিয়া একযোগে প্রতিবাদে নামছে,মুম্বাই ও জেএনউতেও সেই লাল নীল একাকার।
বাংলার কুলীন কমরেডদের মনে লয় লাল নীলের এই মহামিলনে কিচ্ছু যায় আসে না যেহেতু বাংলার বহুজন সমাজ ত আর কম্যুনিস্ট নাই।
বরং ভোটের পাটিগণিতেই নিমগ্ন কমরেডকুল,যদিবা কংগ্রেস দয়া কইরা জোট করে তাহলে আবার ঘুইরা দাঁড়ানো হইব,শিরদাঁড়া থাক বা না থাক,ঘুরলেই হইল।
ভিক্টোরিয়ার পরিও বহুকাল ঘুরতাছে না।কংগ্রেস সিপিএম জোট হইলে হয়ত সেও ঘুইরবে।
কোন্ আস্ত বলদ গুলানের পাল্লায় পড়ল জনগণ,বোঝা দায়।
তাহারা ইহাও বুঝতে পারতাছে না যে এই ধর্মান্ধ মেরুকরণের ফলেই তাহাদের বারোটা বাইজছে।
তাহার জোট করুন বা না করুন,ধর্মোন্মাদি মেরুকরমের জোট চুড়ান্ত।
যিনি নিজের ঘরেই নির্গাত হারতে বসেছিলেন,তাহার গলায় যে ব্যাঘ্র গর্জন ও বাংলার মাঠে ঘাটে যে সর্বনাশা বর্গী হানা,তাহা না থামাইলে এই ধর্মান্ধ মেরুকরণেই জোট হইলেও জাতের নামে বজ্জাতিতে যুদ্ধ জেতা আর হইতাছে না।
বলদে পাটি গণিত বুঝে বেশ,অন্ক গণিত ছাই বুঝতাছে না,কাহার সহিত কাহার জোটে এই মেরুকরণ তাহাও মর্মে যায় নাই -যথার্থই দিল্লীতে সিপিএমের অফিসও যদি গোল্লায় যায় বাংলার কমরেডদের কিচ্ছু যায আসে না।
জেএনউ নিয়া মাথাব্যথার কারণ দ্যাখি না।বাংলা দখল হইলেই হইল।পোড়া দ্যাশ কোন্ কাজে লাগে।
#shutdonjnu বা #india first এর নিয়তি সব বিশ্ববিদ্যালয়ে ভবিতব্য ভবিষত্ বাংলার ছাত্র যুব সমাজকে বুঝাইবে কে।
অখন্ড বিদ্যাধরী মনুস্মৃতি ইতিমধ্যে দুর্গাভক্তদের অসুর নিধনের আহ্বান রোহিত আন্দোলনকে তামাশা ঠাওরাইয়া এই বাংলার মাটিতেই করছেন।
এহন তিনি সরস্বতী বন্দনা কইরা কাহাদের মুন্ডুপাতের আয়োজন করতাছেন,যাহাদের মুন্ডু যাইব যাইব,সারা দ্যাসে যাইতাছে,তাহাদের বোজানোর দায়ও কমরেডদের নাই।
Saradindu Uddipan
10 hrs ·
ধীরে ধীরে সামনে আসছে বিজেপি, আরএসএস এবং ABVP'র আসল ষড়যন্ত্র। তারাই ভিড়ের মধ্য থেকে পাকিস্তান জিন্দাবাদ জিগির তুলে কানহাইয়ার উপর দোষ চাপিয়ে দিয়েছে।
Saradindu Uddipan ভিডিওতে দেখুন কারা পাকিস্তান জিন্দাবাদ ধ্বনি দিয়েছিল !!http://www.indiaresists.com/it-was-abvp-activist.../
INDIARESISTS.COM|BY INDIA RESISTS
Saradindu Uddipan ১৮৬০ সালের দেশদ্রোহী আইনের ধারার গ্রেপ্তার হওয়ার আগে কানাইয়ার ভাষণ ঃ https://www.youtube.com/watch?v=21qExVVuhhk&feature=youtu.be
YOUTUBE.COM
“In JNU the dirty and anti national face of ABVP is exposed #ABVPExposed”
TWITTER.COM|BY NANDA #WITHRG
আমরা স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছি যে মোদিকে সামনে রেখে বরাহের বংশধর ( আরএসএস, হিন্দু মহাসংঘ, বজরং দল এবং এবিভিপি’র আদি পিতা ছিল বরাহ বা শুয়োর অবতার) এবং বরাহের বাচ্চারা তাদের গোপন এজেন্ডাকে সামনে রেখে ভারতবর্ষের মধ্যে এক নৈরাজ্যের বাতাবরণ সৃষ্টি করতে উঠেপড়ে লেগেছে।
Assur Nagraj Chandal added 3 new photos.
1 hr ·
দেশের মধ্যে যুদ্ধ চাইছে বামুনেরা
একেবারে পরিকল্পনা মাফিক দেশের মধ্যে নরমেধ যজ্ঞ শুরু করে দিয়েছে বামুনেরা। বাবরী মসজিদ ), গুজরাতের জাতি দাঙ্গা https://www.google.com/url… (যেখানে হত্যার টার্গেট করা হয়েছিল দলিত, মুসলিম এবং খ্রিস্টানদের),
ক্যানিং এর নোলিয়াখালিতে ইমাম হত্যা (https://www.google.com/url…) , হায়দ্রাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক ছাত্র রোহিতকে হত্যা করা এবং দিল্লী জহরলাল ইউনিভার্সিটির কানহাইয়াকে ১৮৬০ সালের দেশোদ্রহিতার অছিলায় ব্রিটিশ আইনে ( যে আইনে ফাঁসি দেওয়া হত) গ্রেপ্তার করা এই নরমেধ যজ্ঞের সরাসরি শঙ্খ নিনাদ।
আমরা স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছি যে মোদিকে সামনে রেখে বরাহের বংশধর ( আরএসএস, হিন্দু মহাসংঘ, বজরং দল এবং এবিভিপি’র আদি পিতা ছিল বরাহ বা শুয়োর অবতার) এবং বরাহের বাচ্চারা তাদের গোপন এজেন্ডাকে সামনে রেখে ভারতবর্ষের মধ্যে এক নৈরাজ্যের বাতাবরণ সৃষ্টি করতে উঠেপড়ে লেগেছে। https://www.google.com/url… (যা বাবরি মসজিদ ভাবগার পরে প্রকাশ্যে আসে)
এই প্রত্যেকটি ঘটনার আগে বরাহের বাচ্চারা একটি অজুহাতকে সামনে নিয়ে আসছে। গুজরাট গণহত্যার আগে এনেছিল গোধড়া কাণ্ড, কান্ডহামাল কাণ্ডে এনেছিল হিন্দু পুজারী হত্যা, ক্যানিং এর নোলিয়াখালির ইমাম হত্যার আগে এনেছিল “পাকিস্তান জিন্দাবাদ” দিয়ে দেশদোহিতার অভিযোগ, রোহিত হত্যার সাথে যোগ করা হয়েছে ইয়াকুম মেমনের ফাঁসির বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়া এবং দেশদ্রোহিতার অভিযোগ এবং কানহাইয়ার বিরুদ্ধেও আনা হয়েছে “পাকিস্তান জিন্দাবাদ” দিয়ে দেশদোহিতার অভিযোগ। কিন্তু সব ক্ষেত্রেই প্রমান হয়েছে যে ব্রাহ্মন্যবাদী গোপন এজেন্ডা ধরেই শুয়োয়রে বংশধরেরাই ভিড়ের মধ্যে ঢুকে গিয়ে এই দেশবিরোধী শ্লোগান তুলছে এবং রোহিতদের টার্গেট করছে।
সাম্প্রতি কোলকাতায়ও সংঘটিত হয়েছে শুয়রের বাচ্চাদের এই নক্কারজনক প্রদর্শন। প্রকাশ্যে দিনের বেলায় শান্তিপূর্ণ অবস্থানের উপর চড়াও হয়ে বরাহের বাচ্চারা ছাত্রছাত্রীদের রাস্তায় ফেলে মেরেছে। পুলিশ কোন ব্যবস্থা নেয়নি কেননা এক বরাহিনীর আওতাধীন এই পুলিশ মন্ত্রক। গোপনে তিনি আরএসএস’এর বেঙ্গল রেজিমেন্টের সর্দারনী।
তাই তৈরি থাকুন। এবার সরাসরি লড়াইয়ের পালা। ওরা সশস্ত্র লড়াই করে ২০৩০ সালের মধ্যে মহাপ্রলয় আনতে চায়। যে প্রলয় শুরু করেছিল ওদের প্রথম অবতার মৎস। ভারতে জনগণতান্ত্রিক বিপ্লব শুরু হলে এই মাছরূপী ব্রাহ্মন্যশক্তি তাদের আজন্ম সেবাদাস ছাড়া আর সবাইকে ডুবিয়ে মেরেছিল। আর এই হত্যালীলায় সহযোগিতা করেছিল কিছু দেশীয় দালাল চামচা।
ভারতে মাত্র ৩.৫% বরাহের বাচ্চাদের জন্য আমাদের (85%) মা বোনেদের পায়ের জুতা, চটি, ঝাঁটা, বটি বা এক দিনের মল, মুত্র এবং এঁটোকাঁটাই যথেষ্ট। এর পরেও যদি কিছু বাকি থাকে তা দেবার জন্য তৈরি হয়ে আছে আমাদের রোহিত ও কানাইয়ারা। জয় ভীম, জয় ভারত।
জেএনইউ-তে লস্কর যোগ! বিস্ফোরক রাজনাথ
এমাসের ১০ তারিখ ট্যুইট করেন লস্কর-এ-তৈবা প্রধান হাফিজ সৈয়দ। টুইটে জেএনইউ ক্যাম্পাসে আফজল গুরুর সমর্থনে বিক্ষোভকারী ছাত্রদের পাশে দাঁড়ানোর অনুরোধ করেন সৈয়দ। তারপর তত্পর দিল্লি পুলিস। সৈয়দের টুইট সামনে আসতেই বিস্ফোরক রাজনাথ। কোমর বেঁধে মাঠে নেমেছে দিল্লি পুলিসও।
এদিন জেএনইউ-র তদন্তভার বিশেষ সেলের হাতে তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা। পুলিসের যুক্তি, ক্যাম্পাসে আফজল গুরুর সমর্থনে বিক্ষোভকারী ছাত্রদের সঙ্গে সন্ত্রাসবাদী যোগের সম্ভাবনা রয়েছে। সেজন্যই তদন্ত করুক বিশেষ সেল। বিরোধীদের যুক্তি রাজনৈতিক চাপেই এই সিদ্ধান্ত। যদিও মানতে নারাজ দিল্লির পুলিস কমিশনার।
ক্যাম্পাসের ঘটনা নিয়ে হাত গুটিয়ে বসে নেই দিল্লি সরকারও। সেদিন ক্যাম্পাসে ভারত বিরোধী স্লোগান কারা দিয়েছিল তা খতিয়ে দেখতে জেলাশাসককে নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। ঘোলা জলে মাছ ধরতে নেমে পড়েছে বিরোধীরাও। পাল্টা তোপ দেগেছে বিজেপিও।
শনিবার জেএনইউ ক্যাম্পাসে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়েন রাহুল গান্ধীও। অন্যদিকে, জেএনইউ ক্যাম্পাসে রাজনীতি নিয়ে মুখে খুললেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকরাও। তাঁদের আর্জি, রাজনীতির স্বার্থে জেএনইউ- কে দেশদ্রোহী তকমা দেওয়া অনুচিত। সবমিলিয়ে এই মুহুর্তে জেএনইউ ঘিরে আবর্তিত জাতীয় রাজনীতি।
24 ঘন্টার প্রতিবেদন
মুসলিম সমস্যা সমাধানে দিশা অমর্ত্যর
এ রাজ্যে মুসলিমদের সমস্যার সমাধান এবং তাঁদের উন্নয়ন কীভাবে সম্ভব, তা নিয়ে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করলেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন। প্রতীচী ট্রাস্ট, স্ন্যাপ এবং গাইডেন্স গিল্ড-এর উদ্যোগে এই সমীক্ষা রিপোর্টটি তৈরি করা হয়েছে। রবিবার গোর্কি সদনে এই রিপোর্ট প্রকাশ অনুষ্ঠানে ছিলেন কবি শঙ্খ ঘোষ, শিক্ষাবিদ মীরাতুন নাহার, ডাঃ পি পি ঘোষ, জাহাঙ্গির হোসেন–সহ বিশিষ্ট ব্যক্তিরা। মুসলিম সম্প্রদায়ের সমস্যা নিয়ে সাচার কমিটি যে রিপোর্ট প্রকাশ করেছিল, তার অনেকগুলি দিক স্পষ্ট ছিল না বলে বিশেষজ্ঞদের অভিমত। প্রতীচী ট্রাস্ট–সহ ওই সব সংস্থা সেই অস্পষ্ট দিকগুলি নিয়ে পূর্ণাঙ্গ সমীক্ষা চালায়। উঠে আসে নানা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য এবং অজানা দিকও। এই মুহূর্তে পশ্চিমবঙ্গের মুসলিমদের সাম্প্রতিক সব তথ্য উঠে এসেছে সমীক্ষায়। ২০১১ সাল থেকে প্রতীচী ট্রাস্ট পশ্চিমবঙ্গে বিভিন্ন জেলায় মুসলিমদের সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে সমীক্ষা চালায়। এই সময় এ রাজ্যে মুসলিমদের উন্নয়নের তথ্য রয়েছে রিপোর্টে। বিশেষ করে নারীশিক্ষা, স্বাস্থ্য, সরকারি চাকরিতে কতটা অগ্রগতি হয়েছে, কীভাবে আরও এগোতে হবে তারও প্রস্তাব রয়েছে ‘লিভিং রিয়েলিটি অফ মুসলিমস ইন ওযেস্ট বেঙ্গল’ শীর্ষক ৩৬৮ পাতার এই রিপোর্টে। রবিবার এই অনুষ্ঠানে অমর্ত্য সেন বলেন, ‘বাংলার মুসলমান সম্প্রদায়ের বহু ক্ষেত্রেই লক্ষ্য করা গেছে, তাঁরা বিভিন্ন দিকের সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। সারা দেশেই শিক্ষা, স্বাস্থ্য, চাকরি, নানা ক্ষেত্রেই তাঁরা পিছিয়ে রয়েছেন। এই রিপোর্টে সরাসরিভাবে দেখানো হয়েছে, কোন জায়গাগুলিতে এবং কেন তাঁরা পিছিয়ে। এই অনুষ্ঠানে ভাষণ দিতে গিয়ে শঙ্খ ঘোষ বলেছেন, ‘এই অবস্থাটা কেন হয়েছিল? আমরা জানছিলাম না কেন? পারস্পরিক অপরিচয় একটি বড় সমস্যা। সেই সমস্যা থেকে তৈরি হয় অজ্ঞানতা। অজ্ঞানতা থেকে তৈরি হয় অবিশ্বাস। অবিশ্বাস থেকে অসহিষ্ণুতা। এবং তা থেকে অশান্তি। অপরিচয়ের বিষয়টা সরকার দূর করতে পারে না। সেটা পারে সমাজ। ঘরে ঘরে পাড়ায় পাড়ায় পরিবারে পরিবারে কীভােব পরিচয় গড়ে তোলা যায় পারস্পরিকভাবে, তা আমাদের দেখতে হবে।’ যাঁরা সমীক্ষার কাজ করেছেন এমন তিনজন বক্তা তাঁদের অভিজ্ঞতার কথা বলেন মঞ্চে। অমর্ত্য সেন দিল্লি থেকে কলকাতায় আসেন। বিমান দেরি হওয়ার জন্য অনুষ্ঠানে দেরিতে পৌঁছন। এই রিপোর্ট সম্পর্কে বলতে গিয়ে অমর্ত্য সেন বলেছেন, অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় এ রাজ্যের মুসলিমরা অনেক ক্ষেত্রেই সেভাবে সুযোগ–সুবিধা পাননি। উপার্জনের ক্ষেত্রে এবং জীবনধারণের মানের নিরিখে তাঁরা পিছিয়ে। এজন্য সরকারের পাশাপাশি সামাজিক ক্ষেত্রে বিভিন্ন সংগঠনকে উদ্যোগী হতে হবে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, এ রাজ্যে মুসলিমদের শিক্ষার হার ৬৯ শতাংশ। এবং রাজ্যের ৩৪১ ব্লকের মধ্যে ৬৫ ব্লকে তাঁরা সংখ্যাগরিষ্ঠ। উদ্যোক্তাদের পক্ষে ফারুক আহমেদ জানান, খুব শিগগিরই এই রিপোর্টটি মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির কাছে পেশ করবেন।
আজকালের প্রতিবেদন
বি জে পি–র নজর বাংলার ধর্মীয় সংস্থায়
দিল্লি:পশ্চিমবঙ্গ ও কেরলের বিধানসভা ভোটে এবার কিছু একটা করে দেখাতে মরিয়া বি জে পি। তার জন্য নজর পড়েছে তাদের বিভিন্ন ধর্মীয় সংগঠনগুলির দিকে। ২১ তারিখ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কলকাতায় যাবেন। সরকারি কিছু কর্মসূচি আছে। সেই সঙ্গে যোগ দেবেন বাগবাজারের গৌড়ীয় মঠ আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে। বি জে পি–র একটি সূত্রের বক্তব্য, ভেবেচিন্তেই গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে এধরনের কর্মসূচিগুলিকে। হিসেব করে দেখা গেছে, পশ্চিমবঙ্গে গৌড়ীয় মঠ, রামকৃষ্ণ মিশন, ইসকন ইত্যাদি প্রতিষ্ঠানের অনুগামীর সংখ্যা প্রায় দেড় কোটি। ‘নরম হিন্দুত্ব’–এর লাইন নিয়ে বি জে পি এই জায়গাটা ধরতে চায়। পশ্চিমবঙ্গের বি জে পি–র কাজকর্মের সঙ্গে জড়িত এই নেতাটির যুক্তি, তৃণমূল কংগ্রেস সংখ্যালঘু তোষণের নীতি নিচ্ছে। ইমামদের ভাতা দেওয়া থেকে শুরু করে হালে মালদার হাঙ্গামা— এ সব নিয়ে হিন্দুদের মধ্যে অসন্তোষ রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির এই মুসলিম–তোষণ নীতির মোকাবিলা করতেই আমরা নরম হিন্দুত্বের রাস্তা নেব। অকাতরেই কথাগুলি জানিয়ে দেন এই বি জে পি নেতা। কেরলেও একই সঙ্গে বিধানসভার ভোট। এবং সেখানেও একই রাস্তা নিচ্ছে বি জে পি। হিন্দুদের ভেতরেই সম্প্রদায়ভিত্তিক বেশ কিছু ধর্মীয় গোষ্ঠী রয়েছে দক্ষিণের এই রাজ্যটিতে। বি জে পি ঘনিষ্ঠতা বাড়াচ্ছে সেই গোষ্ঠীগুলির সঙ্গে। কিছুদিন আগেই এঝাভা সম্প্রদায়ের শ্রী নারায়ণ ধর্ম পরিপালন (এস এন ডি পি) যোগম–এর অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। এস এন ডি পি–কে সঙ্গে নিয়েই এবার রাজ্যে ভোটে নামতে চায় বি জে পি। পশ্চিমবঙ্গ এবং কেরল দুটি রাজ্যেই প্রধান বিরোধী পক্ষ বামেরা। একটি রাজ্যে তৃণমূল অন্য রাজ্যে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউ ডি এফ জোটের সঙ্গে তাদের লড়াই। গত বিধানসভার ভোটে দুই রাজ্যে একটিও আসন পায়নি বি জে পি। কিন্তু ২০১৪–র লোকসভা নির্বাচনে ভোট বেড়েছে। বাংলায় দুটি আসনও পেয়েছে। কিছুদিন আগে কেরলের পুরভোটেও নজর কেড়েছে দল। তাতে আগামী বিধানসভা নির্বাচন ঘিরে উচ্চাশা আরও বেড়েছে।
আজকালের প্রতিবেদন
No comments:
Post a Comment