Sunday, February 28, 2016

কী যে খেয়াল গেছিলো মাবাবার কথা যে কেন শুনিনি - রাতের বেলা ট্রেনে বসে সেটাই ভাবছিলাম.......নাহ ঘরের খেয়ে বুনো মোষ তারানোর অভ্যেসটা বরাবরেরই ... সেই রকমি আবেগে আজ ছাত্রছাত্রীদের পাশে থাকার জন্য ঘুম থেকে উঠেই ছুটে গেছিলাম বর্ধমানে। টোটো থেকে নেমেই দেখি উপছে পড়ছে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর। নাহ কোনো লাল সবুজা গেরুয়া রঙের মেলা বসেনি সেখানে সাথীরা। কোনো রাজনীতির রং ছিল না তাদের মধ্যে। সাধারণ রংবিহীন সেই স্বতঃস্ফূর্ত ছাত্রছাত্রীদের দাবি ছিল খুব সাধারণ। ২০১৬ র ফাইনাল পার্ট ৩ যে পরীক্ষা সেটিকে পিছোনো এবং আগের পরীক্ষার মানে ২০১৫ র পার্ট ২ পরীক্ষা টির সুষ্ঠ এবং ত্রুটিহীন রেজাল্ট বার করতে হবে । একটু পরিষ্কার করেই নাহোক বলা যাক । UGC নির্দেশ অনুযায়ী দুটো পরীক্ষার মাঝে নিদেনপক্ষে ৮ মাসের ব্যবধান হওার কথা ছিল । কিন্তু সেই নির্দেশ কে কাঁচকলা দেখিয়ে ৫ মাসের মাথায় পরীক্ষা রেখেছে মহান স্মৃতি কুমার । রেজাল্টের কথায় আসতে গেলে ছেলের জায়গায় বাবা মার নাম , পর পর ৫ জনের রেজাল্ট এক ( রোল নাম্বার অবধি এক ) , ভূগোলের ছাত্রীর রেজাল্ট এল ইংরাজী তে এরকম অনেক কিছুই জানা গেছে । এই সমস্ত ন্যায্য দাবীতেই ছাত্রছাত্রীরা প্রথমে অনুরোধ করে vc কে এবং রেজিস্ট্রার কে ... তারা কথা না শুনলে বাধ্য হয় শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের পথ বেছে নিতে ......অনশনে বসে ১৩ জন ছাত্রছাত্রী ...... আন্দোলনের সাথী এবং মেডিক্যাল স্টুডেন্ট হিসেবেই ছিলাম আমি এবং দেবাশিস দা । ৩০ ঘন্টা অনশনের পরেও তাদের উদ্যম ছিল দেখার মতো । উল্টোদিকে authority r ভূমিকাও ছিলো একই রকম ভাবে দেখার মতো । দুজন অনশনকারী এবং এক আন্দোলনকারী অসুস্থ হয়ে পড়লেও তাদের হেলদোল হয় না। এবং নিজের বিশ্ববিদ্যালয় বাঁচানোর অজুহাতে রাতের বেলা আলো নিভিয়ে সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের ওপর পেরেক পোতা লাঠী এনে তৃণমূলী গুণ্ডাদের হামলা করান । গুরুতর জখম হয় দেবাশিস দা এবং আরো সব আন্দোলনকারীরা । কাউকে তাদের মেস অবধি তাড়া করা হয় এবং হুমকি দেওয়া হয় প্রকাশ্যে । সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের ওপর শাসকশক্তির আস্ফালণ কিন্তু আজ নতুন নয় সাথীরা । মনে পড়ে হোক কলরব ? যাদবপুর ? রাতের অন্ধকারে আলো নিভিয়ে বহিরাগত প্রোফেশানাল গুণ্ডাদের দিয়ে সাধারন ছাত্রছাত্রীদের লড়াই থামিয়ে দেবার প্রচেষ্টা ? সিংহাসনে যেই থাকুক লাল কী সবুজ কী গেরুয়া সমস্ত ভারতবর্ষে ছবিটা কিন্তু এক ই । পরিপ্রক্ষিত হয়তো অন্য কিন্তু বাম আমল থেকে তৃণমূলী আমল হয়ে গেরুয়া সমাজ সর্বত্রই সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের ওপর নেমে আসছে শাসকদলের কালো হাত ...... থামিয়ে দিতে চাইছে কলরবের আওয়াজ , প্রতিবাদের আওয়াজ ...... কিন্ত না বন্ধুরা আমরা থামিনি থামব না ... শিক্ষাক্ষেত্রে শাসকদলের আঘাত যদি নেমেই আসে পাল্টা আঘাত ফিরিয়ে দেবো ... এই সুরে আজ পথে নামলো সাধারণ ছাত্রছাত্রী । কলকাতায় কফি হাউসের সামনে প্রতিবাদী পথসভা এবং মিছিলের মাধ্যমে এক সুরে শ্লোগান উঠলো – হোক হোক হোক প্রতিবাদ ...... আগামী সোমবার বর্ধমানে এই ধিক্কারজনক বর্বরোচিত হামলার প্রতিবাদে মিছিলে সমস্ত ছাত্রছাত্রীদের যোগদান করতে আহ্বান করছি ...... প্রতিবাদ চলছে চলবে


কী যে খেয়াল গেছিলো মাবাবার কথা যে কেন শুনিনি - রাতের বেলা ট্রেনে বসে সেটাই ভাবছিলাম.......নাহ ঘরের খেয়ে বুনো মোষ তারানোর অভ্যেসটা বরাবরেরই ... সেই রকমি আবেগে আজ ছাত্রছাত্রীদের পাশে থাকার জন্য ঘুম থেকে উঠেই ছুটে গেছিলাম বর্ধমানে। টোটো থেকে নেমেই দেখি উপছে পড়ছে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর। নাহ কোনো লাল সবুজা গেরুয়া রঙের মেলা বসেনি সেখানে সাথীরা। কোনো রাজনীতির রং ছিল না তাদের মধ্যে। সাধারণ রংবিহীন সেই স্বতঃস্ফূর্ত ছাত্রছাত্রীদের দাবি ছিল খুব সাধারণ। ২০১৬ র ফাইনাল পার্ট ৩ যে পরীক্ষা সেটিকে পিছোনো এবং আগের পরীক্ষার মানে ২০১৫ র পার্ট ২ পরীক্ষা টির সুষ্ঠ এবং ত্রুটিহীন রেজাল্ট বার করতে হবে । একটু পরিষ্কার করেই নাহোক বলা যাক । UGC নির্দেশ অনুযায়ী দুটো পরীক্ষার মাঝে নিদেনপক্ষে ৮ মাসের ব্যবধান হওার কথা ছিল । কিন্তু সেই নির্দেশ কে কাঁচকলা দেখিয়ে ৫ মাসের মাথায় পরীক্ষা রেখেছে মহান স্মৃতি কুমার । রেজাল্টের কথায় আসতে গেলে ছেলের জায়গায় বাবা মার নাম , পর পর ৫ জনের রেজাল্ট এক ( রোল নাম্বার অবধি এক ) , ভূগোলের ছাত্রীর রেজাল্ট এল ইংরাজী তে এরকম অনেক কিছুই জানা গেছে । এই সমস্ত ন্যায্য দাবীতেই ছাত্রছাত্রীরা প্রথমে অনুরোধ করে vc কে এবং রেজিস্ট্রার কে ... তারা কথা না শুনলে বাধ্য হয় শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের পথ বেছে নিতে ......অনশনে বসে ১৩ জন ছাত্রছাত্রী ...... আন্দোলনের সাথী এবং মেডিক্যাল স্টুডেন্ট হিসেবেই ছিলাম আমি এবং দেবাশিস দা । ৩০ ঘন্টা অনশনের পরেও তাদের উদ্যম ছিল দেখার মতো । উল্টোদিকে authority r ভূমিকাও ছিলো একই রকম ভাবে দেখার মতো । দুজন অনশনকারী এবং এক আন্দোলনকারী অসুস্থ হয়ে পড়লেও তাদের হেলদোল হয় না। এবং নিজের বিশ্ববিদ্যালয় বাঁচানোর অজুহাতে রাতের বেলা আলো নিভিয়ে সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের ওপর পেরেক পোতা লাঠী এনে তৃণমূলী গুণ্ডাদের হামলা করান । গুরুতর জখম হয় দেবাশিস দা এবং আরো সব আন্দোলনকারীরা । কাউকে তাদের মেস অবধি তাড়া করা হয় এবং হুমকি দেওয়া হয় প্রকাশ্যে ।
সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের ওপর শাসকশক্তির আস্ফালণ কিন্তু আজ নতুন নয় সাথীরা । মনে পড়ে হোক কলরব ? যাদবপুর ? রাতের অন্ধকারে আলো নিভিয়ে বহিরাগত প্রোফেশানাল গুণ্ডাদের দিয়ে সাধারন ছাত্রছাত্রীদের লড়াই থামিয়ে দেবার প্রচেষ্টা ? সিংহাসনে যেই থাকুক লাল কী সবুজ কী গেরুয়া সমস্ত ভারতবর্ষে ছবিটা কিন্তু এক ই । পরিপ্রক্ষিত হয়তো অন্য কিন্তু বাম আমল থেকে তৃণমূলী আমল হয়ে গেরুয়া সমাজ সর্বত্রই সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের ওপর নেমে আসছে শাসকদলের কালো হাত ...... থামিয়ে দিতে চাইছে কলরবের আওয়াজ , প্রতিবাদের আওয়াজ ...... কিন্ত না বন্ধুরা আমরা থামিনি থামব না ... শিক্ষাক্ষেত্রে শাসকদলের আঘাত যদি নেমেই আসে পাল্টা আঘাত ফিরিয়ে দেবো ... এই সুরে আজ পথে নামলো সাধারণ ছাত্রছাত্রী । কলকাতায় কফি হাউসের সামনে প্রতিবাদী পথসভা এবং মিছিলের মাধ্যমে এক সুরে শ্লোগান উঠলো – হোক হোক হোক প্রতিবাদ ...... আগামী সোমবার বর্ধমানে এই ধিক্কারজনক বর্বরোচিত হামলার প্রতিবাদে মিছিলে সমস্ত ছাত্রছাত্রীদের যোগদান করতে আহ্বান করছি ...... প্রতিবাদ চলছে চলবে

No comments:

Post a Comment