প্রণব মুখার্জি আবারো রাষ্ট্রপতি?
বাঙালি দাঁত ক্যালাইয়া বলো হরিবোল!বাবরি ধ্বংসের দায় রাজীবের, নরসিম্হার,বিজেপির নয়!
কামদুনি মাওবাদী মুক্ত হইল,বাঙালি দাঁতক্যালাইয়া বলো হরিবোল!কামদুনি ধর্ষণ এবং খুন মামলায় মোট ৮ জন অভিযুক্ত ছিল। কিন্তু তার মধ্যে ৬ জনকে দোষী সাব্যস্ত করল নগর দায়রা আদালত। বাকি ২ জনকে বেকসুর খালাস করে দেওয়া হয়েছে। নূর আলি এবং রফিক ইসলাম গাজিকে বেকসুর খালাস করা হল।
মনুস্মৃতির দখলে বঙ্গাল,অকালে দুর্গার বোধন,ফতোয়া গৌরিকী- ম মমতা,ম মোসলমান ম মালদা-দুর্গা ভক্তেরা করিবেন অসুর নিধন,বাঙালি দাঁতক্যালাইয়া বলো হরিবোল!
পলাশ বিশ্বাস
বাবরি মসজিদ ধংসের ঘটনা প্রধানমন্ত্রী হিসাবে নরসিমা রাওয়ের সবচেয়ে বড় ব্যর্থতা। আত্মজীবনীতে বিস্ফোরক রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়।
অযোধ্যায় রাম মন্দিরের দরজা খুলে দিয়েই ভুল করেছিলেন রাজীব: প্রণব
নয়াদিল্লি: অযোধ্যায় রাম জন্মভূমি মন্দিরের জন্য নির্মাণস্থল উন্মোচন করা ছিল তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গাঁধীর ‘ত্রুটিপূর্ণ সিদ্ধান্ত’ এবং বাবরি মসজিদ ধ্বংস ছিল ‘চূড়ান্ত বিশ্বাঘাতকতা’, যা এদেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করে দিয়েছে। বৃহস্পতিবার প্রকাশিত হওয়া স্মৃতিকথা সম্বলিত বইতে এমনটাই জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়।
এদিন প্রণববাবুর রচিত ‘দ্য টার্বুলেন্ট ইয়ার্স: ১৯৮০-৯৬’ শীর্ষক স্মৃতিকথা সম্বলিত বই প্রকাশ করেন উপ-রাষ্ট্রপতি হামিদ আনসারি। ওই বইতে প্রণববাবু লিখেছেন, ১৯৮৬ সালের ১ ফেব্রুয়ারি অযোধ্যায় রাম জন্মভূমি মন্দির নির্মাণস্থল উন্মোচন করার সিদ্ধান্ত ভুল ছিল। বহু মানুষ মনে করেছিলেন, ওই ঘটনা এড়ানো যেত।
পাশাপাশি তিনি আরও লিখেছেন, বাবরি মসজিদ ধ্বংস ছিল চূড়ান্ত বিশ্বাঘাতকতা। ওটা ছিল একেবারে অনর্থক, রাজনৈতিক উদ্দেশ্য চরিতার্থ করতে অবাধে এক ধর্মীয়স্থলকে ধ্বংস করা। এর ফলে ভারত ও বিশ্বে বসবাসকারী মুসলিম সম্প্রদায় আঘাত পেয়েছিল। এই ঘটনার ফলে এক সহিষ্ণু, বহুত্ববাদী রাষ্ট্র হিসেবে ভারতের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হয়েছিল।
প্রণববাবুর মতে, মণ্ডল কমিশনের সুপারিশ একদিকে যেমন সামাজিক অবিচারকে কমাতে সাহায্য করেছিল, ঠিক তেমনই আবার মানুষের মধ্যে শ্রেণি-বিভেদ অঙ্কুরিত করেছিল। তিনি লিখেছেন, ১৯৮৯-৯১ সময়কালে ভারতীয় সমাজে হিংসা ও বিভেদ মাথাচাড়া দিয়েছিল। প্রথমে, জম্মু ও কাশ্মীর সীমান্তে অবৈধ অনুপ্রবেশ ও নাশকতা বৃদ্ধি পেল। তারপরই রাম জন্মভূমি-বাবরি মসজিদ বিতর্ক দেশকে নাড়িয়ে দিয়েছিল। সবশেষে, ১৯৯১ সালের ২১ মে আত্মঘাতী এলটিটিই জঙ্গিহানায় রাজীব গাঁধীর মৃত্যু।
নিজের স্মৃতিকথায় রাজীব গাঁধীর বিষয়ে অনেকটাই বাক্য ব্যয় করেছেন প্রণববাবু। বিশেষকরে, রাজীবের সমালোচনার দিকগুলিকে তুলে ধরেছেন। শুধু রাম জন্মভূমি ইস্যুতেই নয়, শাহ বানো মামলায় রাজীবের নেতৃত্বাধীন কংগ্রেস সরকারের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন প্রণব। বলেছেন, বিতর্কিত মুসলিম মহিলা বিল (ডিভোর্সের ক্ষেত্র নিরাপত্তার অধিকার) পাশ করিয়ে জনমানসে নিজের আধুনিক ভাবমূর্তি নষ্ট করেন রাজীব।
প্রসঙ্গত, ১৯৭৮ সালে পাঁচ সন্তানের মা শাহ বানো নামে এক মুসলিম মহিলাকে ডিভোর্স দেন তাঁর স্বামী। খোরপোশ আদায়ের জন্য আদালতের দ্বারস্থ হন মহিলা। সুপ্রিম কোর্ট রায়ে জানিয়ে দেয়, বানোকে খোরপোশ দিতে বাধ্য তাঁর স্বামী। এরপর ১৯৮৬ সালে নতুন বিল পাশ করায় তৎকালীন কংগ্রেস সরকার। সেখানে বলা হয়, ডিভোর্সের পর শুধুমাত্র ইদ্দত (তিন মাস) চলাকালীন স্ত্রীকে খোরপোশ দেবে স্বামী। তারপর মহিলার দায়িত্ব নেবে তাঁর আত্মীয় বা ওয়াকফ বোর্ড। এই বিলের ফলে ডিভোর্সি মুসলিম মহিলারা খোরপোশ থেকে বঞ্চিত হতে হয়, যা বিদ্বেষমূলক ছিল।
১৯৮৪ সালে ইন্দিরা গাঁধীর মৃত্যুর পর দেশজুড়ে তুমুল জল্পনা ছিল যে প্রণব মুখোপাধ্যায়ই পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হবেন। নিজের লেখা বইতে সেই ঘটনা সম্পর্কেও খোলসা করেছেন বর্তমান রাষ্ট্রপতি। লিখেছেন, প্রধানমন্ত্রী হওয়ার বাসনা তাঁর কোনওদিনই ছিল না। প্রণববাবু বলেন, আমি প্রধানমন্ত্রী হতে ইচ্ছুক বলে সেই সময়ে বেশ মুখরোচক গল্প চাউর ছিল। কিন্তু, এর কোনও সত্যতা নেই। আমার কোনওদিনই সেই মনোবাঞ্ছা ছিল না।
তিনি রাষ্ট্রপতি।তিনি আবার লাভপুরের বাশিন্দা।টন্ডীপাঠে তাঁর রায়সিনা জীবন যাপন আবার দুর্গাপুজোয় তিনি পুরোদস্তুর বাঙালি।
সেই কবে 1969 সালে ইন্দিরার ছত্রছায়ায় রাজনৈতিক যাত্রা শুরু কেন্দ্রে,ইন্দিরার হয়ে সংসদে বাজেট পেশ -শেষ মেষ মনমোহিনী রাজত্বেও তিনি প্রতিরক্ষা মন্তী যেমন,তেমনিই আবার বিদেশ মন্ত্রী।
ইন্দিরার দু নাম্বাগ কেবিনেট মন্ত্রী যদিও ইন্দিরা হত্যার পর ব্রাত্য ছিলেন এবম্ কংগ্রেস থেকে বিচ্ছিন্নও হইলেন - কিন্তু কংগ্রেসই তাঁকে স্বমহিমায় ফিরাইল, তারপর তিনি রাষ্ট্রপতিও হইলেন কংগ্রেসের তরফে ভোটে লড়ে।
কংগ্রেসের ইতিমধ্যে ভরাডুবি হওয়নে তেরঙ্গায় লোক পরলোক সদ্গতির আর সম্ভাবনা নাই।দ্যাশে যা হওনের হইতাছে,বাংলা কংগ্রেসের সভাপতিও ছিলেন তিনি,সেই বাংলায় কংগ্রেস এখন সাইনবোর্ড।
সেই কবে বাবরি ধ্বংস হইল,তিনি এতকাল টূঁ শব্দটি করেননি,যখন তাঁর এতোকালের পেয়ারের পার্টি এি মরে ত সেইমরে অবস্থা এবং বাংলায় তুমুল গৌরিকায়ণ,তিনি হঠাত বুঝিলেন,বাবরি ধ্বংসের দায় রাজীবের, নরসিম্হার, বিজেপির নয়!আহা বাঙালি,দাঁত ক্যালাইয়া বলো হরিবোল!
বাবরি মসজিদের স্থানে আবারো রামমন্দির স্থাপনের ঘোষণা দিয়েছে ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপি ও কট্টর হিন্দুত্ববাদী সংগঠন সংঘ পরিবার। হায়দ্রাবাদে দলিত গবেষক ছাত্রের আত্মহত্যাকে কেন্দ্র করে কেন্দ্রীয়মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি এবং বন্দারু দত্তাত্রেয়’র পদত্যাগের দাবিতে চেন্নাইতে বিক্ষোভরত ৬০ জন ছাত্রকে পুলিশ আটক করেছে।
সেই তিনি শ্রীমতি মনুস্মৃতি বিনা প্রতিরোধে বাংলা গৌরিকায়ণ অভিযানে সারা দেশে মানুষের প্রতিরোধকে তুলো ধোনা করে দুর্গা ভক্তদের আবাহন করলেন বাংলায় পরিবর্তনের,মমতা ও সিপিএমকে হারানোর।শঙ্গপরিবারের ফতোয়া - ম মমতা মসোসলমান ম মালদা।
এই চিত্রার্পিত চালচিত্রে প্রণবের বক্তব্যের ফলে নেতাজি ফাইলের কল্যাণে গৌরিক গর্ভ অশ্বডিম্ব প্রসবের পর বঙ্গাল এখন গৌরিক না হইলেই আশ্চর্য।তবু ভালো,কামদুনি মাওবাদী মুক্ত হইল,বাঙালি দাঁতক্যালাইয়া বলো হরিবোল!কামদুনি ধর্ষণ এবং খুন মামলায় মোট ৮ জন অভিযুক্ত ছিল। কিন্তু তার মধ্যে ৬ জনকে দোষী সাব্যস্ত করল নগর দায়রা আদালত। বাকি ২ জনকে বেকসুর খালাস করে দেওয়া হয়েছে। নূর আলি এবং রফিক ইসলাম গাজিকে বেকসুর খালাস করা হল।
আজকালের প্রতিবেদনঃকামদুনি রায় ঘোষণার পর নির্যাতিতার মা অস্ফুটে, ভয়ার্ত গলায় বললেন, ওরা রাক্ষস, যেন কেউ ছাড়া না পায়। তাঁর ভয়, যারা ছাড়া পেয়েছে তারা আক্রোশে তাঁর ছেলের ওপর আক্রমণ চালাতে পারে। দোষীদের শাস্তি চেয়ে কামদুনির নির্যাতিতার পরিবার হাইকোর্টে যাবে। আদালতে রায় শুনতে গিয়েছিলেন নির্যািততার মা চন্দনা ঘোষ। না, দোষীদের মুখের দিকে তিনি তাকাতে চান না। বললেন, ওদের মুখ দেখতে চাই না। ওরা সন্তানের বাবা, ওরা কত কষ্ট দিয়ে আমার মেয়েকে মেরেছে। সব সময় মনের ভেতর থেকে যায়। ঘুম হয় না। ঘুমের ওষুধ খাই। আনসার আজ কোর্টে হুমকি দিয়েছে। ওরা কেউ যেন ছাড়া না পায়। ওরা আমার মেয়েকে অত্যাচার করে মেরেছে। ওদের বাঘের গালে দিলে, বাঘ ছিঁড়ে খেলে শান্তি পাব। সংবাদ মাধ্যমে কথা বলতে বলতে চন্দনা ঘোষের গলা বুজে আসছিল। তিনি বললেন, এখনও ভয় পান। মেয়ের কথা বলতে বলতে শোকস্তব্ধ হয়ে পড়ছিলেন। দিনের আলোয় পরীক্ষা দিয়ে ফিরছিল। কষ্ট করে লেখাপড়া শিখিয়েছিলাম। ইচ্ছে ছিল বিয়ে দেব। জামাই আনব। কত কষ্টে ওর জীবনটা চলে গেছে। ভাবলে বুক ফেটে যায়। ২ বছরের বেশি হয়ে গেল। মেয়েকে ডাকতে পারি না। খাওয়া ছেড়ে দিয়েছি। কোনও কাজ করতেও ভাল লাগে না। সব সময় মেয়ের কথা ভাবি।
বুধবার দেশ জুড়ে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষক ছাত্র রোহিত ভেমুলার আত্মহত্যা ইস্যুতে একদিনের ধর্মঘট পালন করা হচ্ছে। প্রায় ২০০ ছাত্র সংগঠন হরতাল এবং বিক্ষোভে অংশ নেয়।
এরইমধ্যে তামিলনাড়ুতে গত ২৪ জানুয়ারি তিন মেডিক্যাল ছাত্রীর আত্মহত্যার ঘটনা প্রকাশ্যে আসায় পরিস্থিতি আরো উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। বেসরকারি এসভিএস মেডিক্যাল কলেজ অফ যোগা অ্যান্ড ন্যাচেরোপ্যাথি কলেজের ওই ছাত্রীদের কাছ থেকে মোটা টাকা ফি নেয়ার অভিযোগ উঠেছে।
অন্যদিকে, জয়েন্ট অ্যাকশন কমিটির পক্ষ থেকে তেলেঙ্গানা রাজ্যের সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে বনধের ডাক দেয়া হয়। আগামী ৩০ জানুয়ারি রোহিত ভেমুলার জন্মদিন উপলক্ষে বিক্ষোভরত ছাত্ররা দিল্লি চলো ডাক দিয়েছে।
আজ হায়দ্রাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়য়ের বাইরে ছাত্ররা তুমুল বিক্ষোভ দেখালে আশেপাশের এলাকায় যান চলাচল ব্যাহত হয়। আজ দিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন্দ্রীয় মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিতে ছাত্ররা ব্যাপক বিক্ষোভ দেখায়। দলিত ছাত্রের আত্মহত্যার ঘটনায় সুবিচারের দাবিতে হায়দ্রাবাদে কংগ্রেস নেতা হনুমন্ত রাও মৌনব্রত পালন শুরু করেছেন। ওসমানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে জয়েন্ট অ্যাকশন কমিটি ২৯ জানুয়ারি বিক্ষোভ প্রদর্শনের ঘোষণা দিয়েছে।
গত ১৭ জানুয়ারি রোহিত ভেমুলা নামে গবেষক দলিত ছাত্র হায়দ্রাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ে আত্মহত্যা করে। রোহিত এবং তার চার বন্ধুকে এবিভিপি ছাত্রসংগঠনের সদস্যদের সঙ্গে বিবাদের জেরে হায়দ্রাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের হোস্টেল থেকে বহিষ্কার করা হয়। এর প্রতিবাদে কয়েকদিন আন্দোলন করার পর আত্মহত্যা করে রোহিত ভেমুলা নামে ওই গবেষক ছাত্র। এ নিয়ে দেশজুড়ে নানাভাবে প্রতিবাদ আন্দোলন চলছে। বিক্ষোভকারী ছাত্রদের দাবি, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বন্ডারু দত্তাত্রেয় মানবসম্পদ উন্নয়নমন্ত্রী স্মৃতি ইরানিকে চিঠি লিখে পদক্ষেপ নেয়ার দাবি জানানোর পরেই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ৫ দলিত ছাত্রকে বহিষ্কার করা হয়। ছাত্ররা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিকে বরখাস্ত করার দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে।#
আজকালের প্রতিবেদনঃরোহিত ভেমুলার ঘটনায় এবার প্রতিবাদে প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংগঠন আই সি–র নেতৃত্বে ২৪ ঘণ্টার প্রতীকী অনশন শুরু হয়েছে। বৃহস্পিতবার বিশ্ববিদ্যালয়ের পোর্টিকোতে বিকেল ৪টে থেকে শুরু হওয়া এই অনশন চলবে আজ, শুক্রবার বিকেল ৪টে পর্যন্ত। সব মিলিয়ে জনা ১৮ পড়ুয়া এই অনশনে সামিল হয়েছেন। এঁদের মধ্যে একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনী। হায়দরাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের দলিত ছাত্র রোহিত ভেমুলার মৃত্যুর প্রতিবাদে দেশ জুড়েই প্রতিবাদ চলছে। ক’দিন আগেই দেবর্ষি চক্রবর্তী নামে প্রেসিডেন্সির এক প্রাক্তনী যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উল্টো দিকে টানা ৬ দিন অনশন করেন। এই অনশনে সামিল হয়েছিলেন পবিত্র দাস নামে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষক। এবার দেশ জুড়ে চলা সেই প্রতিবাদে সংহতি জানাতে একদিনের অনশনে প্রেসিডেন্সির ছাত্রছাত্রীরা। প্রেসিডেন্সির ছাত্র সংসদ আই সি–র দখলে। আই সি–র সম্পাদক তৃষা চন্দ জানিয়েছেন, এই প্রতিবাদ দলিত, সংখ্যালঘুদের ওপর হওয়া অন্যায়ের বিরুদ্ধে। ক্যাম্পাসেও এই ধরনের ঘটনা এড়াতে এবং সচেতনতা বাড়াতে জোর দেওয়া হবে। প্রসঙ্গত, প্রেসিডেন্সিতেও ইংরেজি বিভাগের দলিত শিক্ষক মহীতোষ মণ্ডলকে দলিত হওয়ার জন্য ক্ষুদ্র অংশের পড়ুয়াদের হাতে লাঞ্ছিত হতে হয় বলে অভিযোগ উঠেছে।
এই প্রেক্ষিতে প্রণব বক্তব্যের তাত্পর্যঃবিশ্বাসঘাতকতা যদি করে থাকেন নরসিম্হা রাও,রাজীব গান্ধীও বিশ্বাস ঘাতক,কিন্তু রামমন্দিরের কুশী লবদের বিরুদ্ধে তাহার বুলি ফোটে নাই।
ইতিমধ্যে টালচিত্র প্রস্তুত সত্যি বড় দুর্গার,মনুস্মৃতির দখলে বঙ্গাল,অকালে দুর্গার বোধন,ফতোয়া গৌরিকী- ম মমতা,ম মোসলমান ম মালদা-দুর্গা ভক্তেরা করিবেন অসুর নিধন,বাঙালি দাঁতক্যালাইয়া বলো হরিবোল!
তবু মন্দের ভালো, কামদুনির যে জনগণ আজ অবধি মাওবাদী তকমা নিয়ে তাঁর দরবারে গিয়েও ন্যায়ের জন্য হন্যে হয়ে হাপুস হাপুস কাঁদিতে ছিলেন,আদালতের রায়ে ধর্ষণ একখানি হইয়াছিল বটেক প্রমামিত হওনের পর তাঁরা সাজানো ঘটনার তত্ব খারিজ হওয়নে হাঁফ ছাড়িয়া নিশ্বাস নিলেও নিতে পারেন,লজ্জা থাকিলে কেহ আরতাহাদের মাওবাদী বলতে পারবে নাকো!
সিনারি পাল্টাইল,দৃশ্যবদলাইল না মাঝখানে গোটা বঙ্গালমনুস্মৃতির দখলে নির্বিরোধে,আর সেই অশ্বমেধ সমাপনে রাজসূয়ের পুরোহিত আমাদের গর্ব প্রণব মুখার্জি মহাশয়!তবে কে আবার!প্রণব মুখার্জি আবারো রাষ্ট্রপতি,বাঙালি দাঁত ক্যালাইয়া বলো হরিবোল!
মনুস্মৃতির দখলে বঙ্গাল,অকালে দুর্গার বোধন,ফতোয়া গৌরিকী- ম মমতা,ম মোসলমান ম মালদা-দুর্গা ভক্তেরা করিবেন অসুর নিধন,বাঙালি দাঁতক্যালাইয়া বলো হরিবোল!
সেই ইন্দিরা জমানা থেকে,তেনার আবির্বাবের পর থেকে,যত কেস্সা,কেলেন্কারি,স্ক্যাম -সবেতেই তেনার প্রতিচ্ছায়া এমনতর জোরালো যে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ না করে.যাকেই তোল না কাঠগড়ায সাজা আর কাহারো হইতাছে না.হইলও না!তিনি সংবৈধানিক রক্ষাকবচ কারণে সব প্রশ্নের উর্দ্ধে!
সেই রক্ষাকবচ আবারো চাই?
প্রণব মুখার্জি আবারো রাষ্ট্রপতি,বাঙালি দাঁত ক্যালাইয়া বলো হরিবোল!বাবরি ধ্বংসের দায় রাজীবের, নরসিম্হার,বিজেপির নয়!
সংবাদে প্রকাশ, ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জি তার আত্মজীবনীর দ্বিতীয় খণ্ডে আশি ও নব্বইয়ের দশকের অনেক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা তুলে ধরেছেন।
এর আগে প্রথম খণ্ডে তিনি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময়কার ঘটনা তুলে ধরেছিলেন।
‘দ্য টারবুলেন্ট ইয়ার্স : ১৯৮০-৯৬’ গ্রন্থে প্রণব মুখার্জি বাবরি মসজিদ ধ্বংস ও স্বর্ণমন্দিরে ব্লু স্টার অপারেশনের মতো বিতর্কিত বিষয়ে তার পর্যবেক্ষণ জানিয়েছেন।
বাবরি মসজিদ ধ্বংসের ঘটনাকে প্রতিরোধ না করতে পারাকে দেশের প্রধান হিসেবে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী নরসিমা রাওয়ের সবচেয়ে বড় ব্যর্থতা বলে অভিহিত করেছেন প্রণব মুখার্জি। সেই সঙ্গে তিনি আরও বলেছেন, এ ঘটনায় দেশ ও বিদেশে মুসলমানদের ভাবাবেগে প্রবল আঘাত লেগেছিল।
সেদিনের ঘটনার কথা জানাতে গিয়ে প্রণব মুখার্জি লিখেছেন, ১৯৯২ সালের ৬ই ডিসেম্বর আমি মুম্বইয়ে ছিলাম। পরিকল্পনা কমিশনে আমার অফিসার অন স্পেশাল ডিউটিতে ছিলেন জয়রাম রমেশ। তিনিই আমাকে ফোনে বাবরি মসজিদ ধ্বংসের কথা জানান।
সেদিনের ঘটনার কথা জানাতে গিয়ে প্রণব মুখার্জি লিখেছেন,আমি ফোনে যা শুনছিলাম তা বিশ্বাস করতে পারছিলাম না। আর তাই আমি বারবার জয়রামকে জিজ্ঞেস করি বিরাট কাঠামোটা ধ্বংস করা হলো কীভাবে? তখন জয়রাম শান্তভাবে আমাকে ঘটনার পুঙ্খানুপুঙ্খ বিবরণ শোনান। সেদিন বিকালেই আমার দিল্লি ফিরে আসার কথা। কিন্তু জানতে পারলাম, মুম্বইতে ইতিমধ্যেই উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। মহারাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্র সচিব আমাকে ফোন করে জানালেন, আমার বিমানবন্দরে যাওয়ার পথে অনেক স্পর্শকাতর এলাকা থাকায় আমার জন্য একটি এসকর্ট ও একটি পাইলট কারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। আমি বিমানবন্দরের উদ্দেশে রওনা দিলাম। আমার সামনে পুলিশের জিপ। আর পেছনে একটি অ্যাম্বাসাডরে ভর্তি সাদা পোশাকে পুলিশ। আর আমার গাড়িতে বসে একজন নিরাপত্তা অফিসার। যাওয়ার পথে হঠাৎ দেখতে পাই আইনজীবী রাম জেঠমালিনি তার গাড়ি থেকে আপ্রাণভাবে আমার দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করছেন। আমি গাড়ি থামিয়ে তার গাড়িটিকেও আমার কনভয়ের নিরাপত্তার মধ্যে নিয়ে এলাম। আসার পথে রাস্তার মোড়ে মোড়ে মানুষ দাঁড়িয়ে রয়েছে। রাস্তায় ইটপাথর পড়ে থাকা দেখে বোঝা গেছে কিছুক্ষণ আগেই ভালো রকম সংঘর্ষ হয়েছে। পরের দিনের সংবাদপত্রে সেসব ঘটনার বিস্তারিত বিবরণ পড়েছিলাম।
এর পরেই তিনি লিখেছেন, বাবরি মসজিদ ধ্বংসের ঘটনা চূড়ান্ত বিশ্বাসঘাতকতার কাজ, যা সব ভারতীয়দের মাথা লজ্জায় হেট করে দিয়েছিল। সম্পূর্ণভাবে রাজনৈতিক স্বার্থে একটি ধর্মীয় কাঠামোকে মাত্রাজ্ঞান বিবর্জিত হয়ে ধ্বংস করা হয়েছিল। এ ঘটনায় দেশ-বিদেশে মুসলিম সম্প্রদায়ের ভাবাবেগে প্রচণ্ড আঘাত দিয়েছিল।
তিনি লিখেছেন, এ ঘটনা সহিষ্ণু ও বহুত্ববাদী দেশ হিসেবে যেখানে সব ধর্মের মানুষ শান্তি ও সম্প্রীতির মধ্যে একসঙ্গে থেকেছে, সেই ভারতের ভাবমূর্তিকে বিনষ্ট করেছিল। পরে একটি আরব দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমার দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেছিলেন, এ ধরনের মসজিদ বিনষ্ট করার ঘটনা জেরুজালেমের শহরে যেখানে শতাব্দীকাল ধরে ধর্মীয় বিরোধ চলে আসছে, সেখানেও কখনও ঘটেনি।
তিনি লিখেছেন,সে সময় বাবরি মসজিদ ধ্বংসের জন্য তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী নরসীমা রাওকে অনেকেই দায়ী করেছেন। আমি সে সময় মন্ত্রিসভায় ছিলাম না। তাই বাবরি ইস্যুতে কোনো সরকারি নীতিনির্ধারণের শরিক ছিলাম না। তবে আমার বিশ্বাস, ভারত সরকার সে সময় ‘হবসনস’ চয়েসের মুখোমুখি হয়েছিল।
আত্মপক্ষ সমর্থনে তিনে যুক্তিও বেশ ভালো দিয়াছেন,সরকারের সামনে অনেক পথ খোলা ছিল না।
তিনি লিখেছেন,বাবরি মসজিদকে নিরাপদ রাখার ব্যাপারে রাজ্য সরকার দায়িত্ব পালন করতে ব্যর্থ হবে- এ আশঙ্কায় কোনো রাজ্য সরকারকে কেন্দ্রীয় সরকার বরখাস্ত করতে পারে না। উত্তর প্রদেশ সরকার জাতীয় সংহতি কাউন্সিলের বৈঠকেই শুধু নয়, সুপ্রিম কোর্টে এফিডেভিট করে বাবরি মসজিদের নিরাপত্তার বিষয়ে আশ্বাস দিয়েছিল।
তিনি লিখেছেন,অনেকেই অবশ্য যুক্তি দেখিয়েছে, সংবিধানের ৩৫৬ ধারা জারি করে কেন্দ্রীয সরকার রাজ্য সরকারকে বরখাস্ত করতে পারতো। কিন্তু সংসদের রাজ্যসভায় যেখানে কংগ্রেসের সংখ্যাগরিষ্ঠতা ছিল না, সেখানে কীভাবে তা পাস করানো হতো?
মোদ্দা কথা হইতাছে,রামমন্দির নির্মাণের সাম্পরদায়িক দাঙ্গার প্রসঙ্গ এড়িয়ে প্রণব মুখার্জি অবশ্য বাবরি মসজিদ ধ্বংস প্রতিহত করার ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী নরসিমা রাওয়ের অক্ষমতাকে সবচেয়ে বড় ব্যর্থতা বলে সমালোচনা করেছেন।
তার মতে, নরসিমা রাও উত্তর প্রদেশের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত এনডি তিওয়ারির মতো প্রবীণ ও অভিজ্ঞ রাজনীতিবিদকে অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে কঠিন আলোচনার দায়িত্ব দিতে পারতেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এসবি চ্যাবন একজন ভালো আলোচনাকারী হলেও তিনি উদ্ভূত পরিস্থিতির আবেগটিকে ধরতে পারেননি। রঙ্গরাজন কুমারমঙ্গলম আন্তরিকভাবে চেষ্টা করেছিলেন, তবে তিনি ছিলেন খুবই তরুণ এবং তার অভিজ্ঞতাও কম। সেই সময় প্রথম প্রতিমন্ত্রী হয়েছিলেন তিনি।
তিনি লিখিলেন,পরে নরসিমা রাওয়ের সঙ্গে একটি ব্যক্তিগত বৈঠকে আমি মোলায়েমভাবে না বলে বরং ক্ষোভের সঙ্গে বলেছিলাম, এর বিপদের দিকটি সম্পর্কে আপনাকে পরামর্শ দেয়ার কেউ কি ছিলেন না? বাবরি মসজিদ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া কি হতে পারে সেটা কি আপনি বুঝতে পারেননি? এখন আপনি সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা প্রশমনে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিন। সদর্থক কাজের মাধ্যমে মুসলমানদের আবেগকে আশ্বস্ত করুন।
প্রণব মুখার্জি জানিয়েছেন, এ কথা বলার সময় পিভি আমার মুখের দিকে তাকিয়ে ছিলেন। তবে তার চারিত্রিক স্টাইন অনুযায়ীই মুখমণ্ডলে আবেগের কোনো রেখাপাত হতে দেননি। কিন্তু আমি তার সঙ্গে কয়েক শতাব্দী একসঙ্গে কাজ করার সুবাদে তাকে জানতাম। তাই তার মুখমণ্ডল পড়ার দরকার হয়নি। আমি তার মধ্যে হতাশা ও বিষণ্নতা অনুভব করতে পেরেছিলাম।
প্রণব মুখার্জি জানিয়েছেন,এর পরে আমি অনেক সময় ভেবেছি, আমার এ বিস্ফোরণের ফলেই কি ১৯৯৩ সালের ১৭ই জানুয়ারি আমাকে মন্ত্রিসভায় যোগ দিতে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। প্রসঙ্গত, গতকাল বইটি রাষ্ট্রপতি ভবনে প্রকাশিত হয়েছে। প্রণব মুখার্জি এ নিয়ে নিজের ব্যক্তিগত টুইটার অ্যাকাউন্টে মন্তব্যও করেছেন।
No comments:
Post a Comment