| টাকলু বুড়ি |
টাকলু বুড়ি তিন বছর হল পৃথিবীর বাসিন্দা। তৃতীয় বছরটাই ভয়াবহ।
এ বছরই বড়দের কি সব নির্বাচন এ তার দাদু, মামা কিসব কাগের ঠ্যাং বকের ঠ্যাং দলের সঙ্গে যুক্ত থাকার জন্য তার মা কে থাপ্পড় মারে কিছু দুষ্টু লোক। মা নিজের যাকে ইচ্ছে তাকে ভোট দিতে চেয়েছিল।
টাকলু বুড়ি তিন বছর হল পৃথিবীর বাসিন্দা। তৃতীয় বছরটাই ভয়াবহ।
এ বছরই বড়দের কি সব নির্বাচন এ তার দাদু, মামা কিসব কাগের ঠ্যাং বকের ঠ্যাং দলের সঙ্গে যুক্ত থাকার জন্য তার মা কে থাপ্পড় মারে কিছু দুষ্টু লোক। মা নিজের যাকে ইচ্ছে তাকে ভোট দিতে চেয়েছিল।
বাড়িতে দুপুরের খাবার ও ছুঁড়ে ফেলে দেয় ওরা। টাকলু বুড়ি জাপটে ধরে ছিল ওর
মা কে। ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদছিল ও। তান্ডব চলছিল আশেপাশে। টাকলু বুড়ির মনে
ও।
খান তিনেক ক্যাডবেরি হাতে, মুখে pulse চুষতে চুষতে তার হঠাৎ মা কে মনে পরলো। টিভির অফিসে কিছু কাকু, মামা, আন্টির আহ্লাদে সে ঘন্টা খানেক শান্ত ছিল নিজের সদ্য উচ্চ মাধ্যমিক দেওয়া দাদার শাসনে। হঠাৎ বড় হয়ে যাওয়া দাদার আদরে।
তারপর ফের খোঁজ। মা কই?
মা তখন ভয়াবহ সেই দুপুরের কথা বলছে আর কাঁদছে। টাকলু বুড়ি angry bird এ মনোযোগী। ভাগ্যিস! টিভিতে মা কে কাঁদতে দেখলে কার বা ভালোলাগে? টাকলু বুড়িরা ফুপিয়ে ফুপিয়ে কাঁদে। মাঝে মধ্যে ফোকলা দাঁতে হাসে।
ঘন্টা খানেক টাকলু বুড়ি গোটা টিভি অফিসের এ মাথা, ও মাথা চোষে ফেললো, নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কাকুরা তার পিছনে পিছনে। তাদের ও দলা পাকানো রাগ গলায় আটকে আছে। দুষ্টু লোকগুলো যারা টাকলু বুড়িকে ধাক্কা মেরেছে, থাপ্পড় মেরেছে, হাত চেপে ধরেছে তাদের উপর রাগ।
রাগের রাজনীতি হয় না। যেরকম শাসক হলেই তাকে শিশু পিটিয়ে বিরোধী -মা বাবাকে সবক শেখাতে হয় না।
যে দুষ্টু লোকগুলো টাকলু বুড়িকে মারলো, তাদের বাড়িতে নিশ্চয়ই টাকলু বুড়ির কোন বন্ধু আছে। বা যে পুলিশ কাকু রিপোর্ট তৈরি করলো, তার ঘরে কোন টাকলু বুড়ির চেয়ে অল্প বয়সে বড় দিদিভাই। কিংবা সাংবাদিক কাকুরা। এদের প্রত্যেকের ঘরে থাকা টাকলু বুড়িরা টিভি দেখছে। পোগো চ্যানেল বা টাকলু বুড়ি পেটানো।
সব টাকলু বুড়িরা এক রাজনৈতিক দল করা বাড়ি থেকে বড় হয়না। তবে সব টাকলু বুড়ির মায়েরা তাদের আগলে রেখে জ্বলে ওঠে। ফোঁস করে।
কিন্তু টাকলু বুড়িরা হিসেব রাখে। ধুপ করে অনেকটা বড় হয়ে যেতে যেতে। তখন টাকলু বুড়িদের ঘন, লম্বা চুল, দগদগে স্মৃতি। কন্যাশ্রী, যুবশ্রী, ডাঁই করা সাইকেল, গলার চেন মাইল খানেক দূরে। অচ্ছুৎ!
---------ময়ূখ রঞ্জন ঘোষ
খান তিনেক ক্যাডবেরি হাতে, মুখে pulse চুষতে চুষতে তার হঠাৎ মা কে মনে পরলো। টিভির অফিসে কিছু কাকু, মামা, আন্টির আহ্লাদে সে ঘন্টা খানেক শান্ত ছিল নিজের সদ্য উচ্চ মাধ্যমিক দেওয়া দাদার শাসনে। হঠাৎ বড় হয়ে যাওয়া দাদার আদরে।
তারপর ফের খোঁজ। মা কই?
মা তখন ভয়াবহ সেই দুপুরের কথা বলছে আর কাঁদছে। টাকলু বুড়ি angry bird এ মনোযোগী। ভাগ্যিস! টিভিতে মা কে কাঁদতে দেখলে কার বা ভালোলাগে? টাকলু বুড়িরা ফুপিয়ে ফুপিয়ে কাঁদে। মাঝে মধ্যে ফোকলা দাঁতে হাসে।
ঘন্টা খানেক টাকলু বুড়ি গোটা টিভি অফিসের এ মাথা, ও মাথা চোষে ফেললো, নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কাকুরা তার পিছনে পিছনে। তাদের ও দলা পাকানো রাগ গলায় আটকে আছে। দুষ্টু লোকগুলো যারা টাকলু বুড়িকে ধাক্কা মেরেছে, থাপ্পড় মেরেছে, হাত চেপে ধরেছে তাদের উপর রাগ।
রাগের রাজনীতি হয় না। যেরকম শাসক হলেই তাকে শিশু পিটিয়ে বিরোধী -মা বাবাকে সবক শেখাতে হয় না।
যে দুষ্টু লোকগুলো টাকলু বুড়িকে মারলো, তাদের বাড়িতে নিশ্চয়ই টাকলু বুড়ির কোন বন্ধু আছে। বা যে পুলিশ কাকু রিপোর্ট তৈরি করলো, তার ঘরে কোন টাকলু বুড়ির চেয়ে অল্প বয়সে বড় দিদিভাই। কিংবা সাংবাদিক কাকুরা। এদের প্রত্যেকের ঘরে থাকা টাকলু বুড়িরা টিভি দেখছে। পোগো চ্যানেল বা টাকলু বুড়ি পেটানো।
সব টাকলু বুড়িরা এক রাজনৈতিক দল করা বাড়ি থেকে বড় হয়না। তবে সব টাকলু বুড়ির মায়েরা তাদের আগলে রেখে জ্বলে ওঠে। ফোঁস করে।
কিন্তু টাকলু বুড়িরা হিসেব রাখে। ধুপ করে অনেকটা বড় হয়ে যেতে যেতে। তখন টাকলু বুড়িদের ঘন, লম্বা চুল, দগদগে স্মৃতি। কন্যাশ্রী, যুবশ্রী, ডাঁই করা সাইকেল, গলার চেন মাইল খানেক দূরে। অচ্ছুৎ!
---------ময়ূখ রঞ্জন ঘোষ
No comments:
Post a Comment