Monday, April 11, 2016

গুরুচাঁদ ঠাকুরের বিধবা বিবাহ আন্দোলনে পূর্ব্ববঙ্গের জেলায় জেলায় হাজার হাজার বিধবা মেয়ের পুনঃবিবাহ সম্পন্ন হয় ৷

Tarun Kanti Thakur


১৯১৩ সালে ওড়াকান্দির বারুনী মেলায় শ্রী গুরুচাঁদ ঠাকুর বিধবা বিবাহ দেঁওয়ার স্বপক্ষে এক গন আন্দোলনের ডাক দেন ,তাঁর আহ্বানে সাড়া দিয়ে মতুয়া আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ বাংলার বিভিন্ন জেলায় বিধবা রমনীদের বিবাহ দিতে আরম্ভ করে ৷ ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর মহাশয়ের বিধবা বিবাহ আন্দোলনের ( ১৮৫৬ ) মাধ্যমে শুধুমাত্র তাঁর নিজের ছেলেকে বিধবা রমনীর সঙ্গে বিবাহ দিতে সক্ষম হন ৷ সেখানে গুরুচাঁদ ঠাকুরের বিধবা বিবাহ আন্দোলনে পূর্ব্ববঙ্গের জেলায় জেলায় হাজার হাজার বিধবা মেয়ের পুনঃবিবাহ সম্পন্ন হয় ৷
১৯১৯ সালে মন্টেন্ড কমিশনের সামনে তাঁর প্রিয় শিষ্য মুকুন্দ বিহারী মল্লিক এর মারফৎ তিতি বাংলার ব্যাকওয়ার্ড কমিউনিটির জন্য " পৃথক নির্বাচকমন্ডলী " বা সেপারেট ইলেকোটোরেট এর দাবী জানান এবং ঐ বৎসরই মন্টেন্ড চেমসফোর্ড রিফর্মে বাংলার দলিতদের জন্য আইন সভায় একটি সিট -মনোনয়নের মধ্যমে নির্ধারন করা হয় এবং পাঁচটি সিট ভোটের মাধ্যমে পুরন করার সিদ্ধান্ত হয় ৷ মনোনীত সিটে গুরুচাঁদ ঠাকু নমঃশূদ্র নেতা ভীষ্মদেব দাসকে মোনয়ন দেওয়ার সুপারিশ করেন এং ভীষ্মদেব দাস ৯১৯ সালেই প্রথম দলিত এম এল সি বা আইন সভার সদস্য নির্বাচিত হন , বাকি পাঁচটি সিটর মধ্যে বরিশাল কেন্দ্র থেকে গুরুাঁদ ঠাকুর জিতিয়ে আনেন তাঁর আর এক শিষ্য নরোদ বিহারী মল্লিক কে ৷ বাকি চারটি সিটের মধ্যে দুটিতে জেতেন রাজবংশী নেতৃ বৃন্দ (ঠাকুর পঞ্চানন বর্মা ও প্রসন্ন দেব রায়কত ) একটিতে পৌন্ডক্ষত্রিয় নেতা বাবু হেমচন্দ্র নস্কর ৷ অন্যটিতে চামার সম্প্রদায়ের রসিকলাল চর্মকার ৷ এ ভীষ্মদেব দাস ও নিরোদ বিহারী মল্লিকেরা মুসলমান সদস্যদের সাথে মিলিত ভাবে গুরুচাঁদ ঠাকুরের নির্দেশে বাংলার আইন সভায় দাবী জানান " লাঙ্গল যার জমি তার " ( ১৯২১ সাল )
১৯২১ সালে গুরুচাঁদ ঠাকুরের মতুয়া আন্দোলনের অন্যতম কর্মসুচী ছিল জমিদারী প্রথা ভেঙ্গে আমুল ভূমি সংস্কারের লক্ষে শ্রমজীবি প্রান্তি হালচাষী কৃষক কে জমির মালিকানা দেওয়া ৷
১৯২৯ সালে সাইমন কমিশনের কাছে বাংলার দলিতদের জন্য পৃথক নির্ব্বাচক ন্মডলীর স্বীকৃতির দাবী জানান গুরুচাঁদ ঠাকুরের মতুয়া আন্দোলনের নেতৃত্ব মুকুন্দ বিহারী মল্লিক ৷ ১৯৩১ সালে লন্ডনের গোল টেবিল বৈঠকে মোহন দাস করমচাঁদ গান্ধী ডঃ বাবা সাহেব আম্বেদকর কে দলিত নেতা হিসবে মানতে অস্বীকার করেন তখন গুরুচাঁদ ঠাকুরেরমতুয়া আন্দোলনের পক্ষ থেকে মুকুন্দবিহারী মল্লিক ও রসিকলাল বিশ্বাস ডঃ আম্বেদকর সাহেবে সমর্থন জানিয়ে চিঠি দিয়েছিলেলন ইংল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীকে ৷
.........................জয় হরিচাঁদ ,জয় গুরুচাঁদ ,জয় হরিবোল.......

No comments:

Post a Comment