আজ সকালেই সবার আগে কলকাতা নিউজ দেখলাম.বাংলাদেশের মুখাপেক্ষী থাকতে হয় আমাদের বাঙালির খবর জানার জন্য,বাংলা ভাষা ও বাংলা সংস্কৃতির আপড়েট্স জানতে.সেই প্রতীক্ষার অবসান বোধ হয় হল.উদ্বাস্তু বাংলা সারা পৃথীবী জুড়ে যার বিস্তার,তার জীবন জীবিকার দিনলিপি হয়ে উঠলে কোলকাতা নিউজ এই বন্চিত আন্তর্জাতিক বাস্তুহারাদের মুক্তির দিশারি হয়ে উঠবে,এই প্রত্যাশা রইল.আজ ফারাক্কায নিখিল ভারতের ডাকে যাচ্ছি,হাতে অনেক কাজ.তাই বিস্তারিত আর লিখছি না.এই অসম্ভব ভালো কাজের জন্য অভিনন্দন.
পলাশ বিশ্বাস
অসমে নাগরিকত্ত আইনের নামে সন্ত্রাস ৮০ লাখ বাঙালির রাতের ঘুম কেড়ে নিয়েছে
পলাশ বিশ্বাস
ভারত জুড়ে উদ্বাস্তুদের অধিকারের দাবিতে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের ডাক
কলকাতা নিউজ ২৪ : 25/09/2016
অসমে নাগরিকত্ত আইনের নামে সন্ত্রাস ৮০ লাখ বাঙালির রাতের ঘুম কেড়ে নিয়েছে
দেশভাগের উনসত্তর বছর পরেও তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান,পরবর্তিতে বাংলাদেশ থেকে ভিটে হারা উদ্বাস্তুদের জমির অধিকার, মাতৃভাষায় শিক্ষার অধিকার, নাগরিকত্ত সহ নানা সমস্যার সমাধান আজও হয়নি,উলটে অসমে নাগরিকত্ত আইনের নামে সন্ত্রাস ৮০ লাখ বাঙালির রাতের ঘুম কেড়ে নিয়েছে এমনটাই দাবি করলেন নিখিল ভারত বাঙালি উদ্বাস্তু সমন্বয় সমিতির সর্বভারতীয় সভাপতি ডা. সুবোধ বিশ্বাস।
শনিবার কলকাতার লাগোয়া দূর্গানগরে শুরু হয়েছে ভারতের সর্ববৃহৎ উদ্বাস্তু সংগটনটির দুইদিন ব্যাপি কর্মী প্রশিক্ষণ শিবির। পশ্চিমবঙ্গ,অসম,ত্রিপুরা সহ আঠারো (১৮) টি রাজ্যের প্রতিনিধিরা এই শিবিরে অংশ নিয়েছেন। শিবিরে উদ্বাস্তুদের বিভিন্ন সমস্যা ও তার প্রতিকার নিয়ে কিভাবে আন্দোলন গড়ে তোলা হবে তা নিয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় আগত প্রতিনিধিদের। এর পাশাপাশি সংবাদমাধ্যম ও সামাজিক মাধ্যমকে হাতিয়ার করে কিভাবে উদ্বাস্তুদের দাবিগুলি তুলে ধরা হবে তা নিয়ে আলোচনা হয়।
এই সভাগুলিতে আলোচকরূপে উপস্থিত ছিলেন, সাংবাদিক পূর্ণেন্দু চক্রবর্তী, সুপ্রীমকোর্টে আইনজীবি অম্বিকা রায়,ওড়িশ্যার মালকানগিরি প্রাক্তন বিধায়ক নিমাই সরকার, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন রেজিস্টার নিতিশ বিশ্বাস, অল ইন্ডিয়া কোর্ডিনেশন কমিটি অফ বুদ্ধিষ্ট অর্গানাইজেশনের আশারাম গৌতম, ড.বিরাট বৈরাগ্য, ভারতীয় শুল্ক দফতরের প্রাক্তন কমিশনার অমল বিশ্বাস, বিরাজ মিস্ত্রী, সাহিত্যিক কপিলকৃষ্ণ ঠাকুর প্রমুখ।
এদিন ডা.সুবোধ বিশ্বাস বলেন, বর্তমানে ভারত জুড়ে প্রায় ৪ কোটি উদ্বাস্তু বাঙালি আছেন। এরমধ্যে পশ্চিমবংলার বাইরে পুর্ণবাসনের কথা বলে পাঠানো হয়েছে দন্ডকারণে, অসমে, ছত্রিসগড়ে সহ ভারতের বিভিন্ন স্থানে ২ কোটি বাঙালিকে। তাদের বসবাসের জন্য ভূমি দেওয়া হলেও জমির মালিকানা পাট্টা দেওয়া হয়নি। সেজন্য এরা কোন সরকারি অনুদান বা সুযোগ সুবিধা পান না। এর কারণে এরা অর্থনৈতিক ভাবে দেউলিয়া হয়ে পড়েছেন। এরা অধিকাংশই তপশীলি জাতির হওয়া সত্তেও সাংবিধানিক অধিকার থেকে বঞ্চিত। মাতৃভাষায় শিক্ষার অধিকার মতো, মৌলিক অধিকার থেকেও বঞ্চিত। তাদের জোর করে হিন্দি ভাষা শিখতে বাধ্য করা হচ্ছে। ফলে তারা বাঙালি সংস্কৃতি হারিয়ে ফেলছে। যদি এভাবে চলতে থাকে তাহলে আমরা বাঙালিদের জাতি হিসাবে নিজেদের হারিয়ে ফেলব।
তিনি বলেন, অসমে নাগরিকত্ত আইনের নামে সন্ত্রাস ৮০ লাখ বাঙালির রাতের ঘুম কেড়ে নিয়েছে। নাগরিকত্ত আইনের অজুহাতে বাঙলিদের ডিটেনশান ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। ৪ বছরের শিশু কল্পনা বিশ্বাস ক্যাম্পে নারকীয় সন্ত্রাস ভোগ করছে। এনআরসি আইনের আওয়তায় ৪০ লাখ বাঙালি উদ্বাস্ত বেঘর হয়ে পড়বে। দুঃখের বিষয় পশ্চিমবঙ্গের বাইরে বাঙালি উদ্বাস্তুদের এই যন্ত্রণা নিয়ে কলকাতার বুদ্ধিজীবিদের কোন হেলদোল নেই। অসমের উদ্বাস্তু বাঙালিদের ভার কিন্তু এরাজ্যের মানুষকে বহন করতে হবে যদি এখনই এর কোন প্রতিকার না হয়। অসমে যখন বিহারিরা আক্রান্ত হয় তখন মায়াবতি,লালুপ্রসাদরা ছুটে যান কিন্তু এরাজ্যের বাঙালি রাজনৈতিক নেতাদের সেই দায় নেই কেন?
তিনি আরও বলেন, এরাজ্যেকে নাম পরিবর্তন করে বাংলা করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। তাকে আমরা স্বাগত জানিয়ে বলতে চাই, নাম পরিবর্তন দরকার তার পাশাপাশি দরকার ভারতের বিভিন্ন প্রান্তের বাঙালিদের রক্ষা করার ইচ্ছাও। এনিয়ে আমরা আন্দোলন করছিলাম এতদিন এবার বাংলার বুকে এ আন্দোলন শুরু করার জন্যই আমাদের এই প্রশিক্ষণ শিবির।
সৌজন্যে: যুগশঙ্খ
শনিবার কলকাতার লাগোয়া দূর্গানগরে শুরু হয়েছে ভারতের সর্ববৃহৎ উদ্বাস্তু সংগটনটির দুইদিন ব্যাপি কর্মী প্রশিক্ষণ শিবির। পশ্চিমবঙ্গ,অসম,ত্রিপুরা সহ আঠারো (১৮) টি রাজ্যের প্রতিনিধিরা এই শিবিরে অংশ নিয়েছেন। শিবিরে উদ্বাস্তুদের বিভিন্ন সমস্যা ও তার প্রতিকার নিয়ে কিভাবে আন্দোলন গড়ে তোলা হবে তা নিয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় আগত প্রতিনিধিদের। এর পাশাপাশি সংবাদমাধ্যম ও সামাজিক মাধ্যমকে হাতিয়ার করে কিভাবে উদ্বাস্তুদের দাবিগুলি তুলে ধরা হবে তা নিয়ে আলোচনা হয়।
এই সভাগুলিতে আলোচকরূপে উপস্থিত ছিলেন, সাংবাদিক পূর্ণেন্দু চক্রবর্তী, সুপ্রীমকোর্টে আইনজীবি অম্বিকা রায়,ওড়িশ্যার মালকানগিরি প্রাক্তন বিধায়ক নিমাই সরকার, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন রেজিস্টার নিতিশ বিশ্বাস, অল ইন্ডিয়া কোর্ডিনেশন কমিটি অফ বুদ্ধিষ্ট অর্গানাইজেশনের আশারাম গৌতম, ড.বিরাট বৈরাগ্য, ভারতীয় শুল্ক দফতরের প্রাক্তন কমিশনার অমল বিশ্বাস, বিরাজ মিস্ত্রী, সাহিত্যিক কপিলকৃষ্ণ ঠাকুর প্রমুখ।
এদিন ডা.সুবোধ বিশ্বাস বলেন, বর্তমানে ভারত জুড়ে প্রায় ৪ কোটি উদ্বাস্তু বাঙালি আছেন। এরমধ্যে পশ্চিমবংলার বাইরে পুর্ণবাসনের কথা বলে পাঠানো হয়েছে দন্ডকারণে, অসমে, ছত্রিসগড়ে সহ ভারতের বিভিন্ন স্থানে ২ কোটি বাঙালিকে। তাদের বসবাসের জন্য ভূমি দেওয়া হলেও জমির মালিকানা পাট্টা দেওয়া হয়নি। সেজন্য এরা কোন সরকারি অনুদান বা সুযোগ সুবিধা পান না। এর কারণে এরা অর্থনৈতিক ভাবে দেউলিয়া হয়ে পড়েছেন। এরা অধিকাংশই তপশীলি জাতির হওয়া সত্তেও সাংবিধানিক অধিকার থেকে বঞ্চিত। মাতৃভাষায় শিক্ষার অধিকার মতো, মৌলিক অধিকার থেকেও বঞ্চিত। তাদের জোর করে হিন্দি ভাষা শিখতে বাধ্য করা হচ্ছে। ফলে তারা বাঙালি সংস্কৃতি হারিয়ে ফেলছে। যদি এভাবে চলতে থাকে তাহলে আমরা বাঙালিদের জাতি হিসাবে নিজেদের হারিয়ে ফেলব।
তিনি বলেন, অসমে নাগরিকত্ত আইনের নামে সন্ত্রাস ৮০ লাখ বাঙালির রাতের ঘুম কেড়ে নিয়েছে। নাগরিকত্ত আইনের অজুহাতে বাঙলিদের ডিটেনশান ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। ৪ বছরের শিশু কল্পনা বিশ্বাস ক্যাম্পে নারকীয় সন্ত্রাস ভোগ করছে। এনআরসি আইনের আওয়তায় ৪০ লাখ বাঙালি উদ্বাস্ত বেঘর হয়ে পড়বে। দুঃখের বিষয় পশ্চিমবঙ্গের বাইরে বাঙালি উদ্বাস্তুদের এই যন্ত্রণা নিয়ে কলকাতার বুদ্ধিজীবিদের কোন হেলদোল নেই। অসমের উদ্বাস্তু বাঙালিদের ভার কিন্তু এরাজ্যের মানুষকে বহন করতে হবে যদি এখনই এর কোন প্রতিকার না হয়। অসমে যখন বিহারিরা আক্রান্ত হয় তখন মায়াবতি,লালুপ্রসাদরা ছুটে যান কিন্তু এরাজ্যের বাঙালি রাজনৈতিক নেতাদের সেই দায় নেই কেন?
তিনি আরও বলেন, এরাজ্যেকে নাম পরিবর্তন করে বাংলা করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। তাকে আমরা স্বাগত জানিয়ে বলতে চাই, নাম পরিবর্তন দরকার তার পাশাপাশি দরকার ভারতের বিভিন্ন প্রান্তের বাঙালিদের রক্ষা করার ইচ্ছাও। এনিয়ে আমরা আন্দোলন করছিলাম এতদিন এবার বাংলার বুকে এ আন্দোলন শুরু করার জন্যই আমাদের এই প্রশিক্ষণ শিবির।
সৌজন্যে: যুগশঙ্খ
No comments:
Post a Comment