Saradindu Uddipan
অসুর চক্রকালঃ
বছর ঘুরতেই অসুর চক্রকাল শুরু হয়েছে। কেরল, তামিলনাড়ুর উপকুল অঞ্চলে শুরু হয়েছে অসুর উৎসব ওনাম। এই লোকোৎসবকে নিজেদের পক্ষে আনার জন্য এবার আরএসএস থেকে সরাসরি কলম ধরে মহাবলী রাজাকে অত্যাচারী সাম্রাজ্যবাদী বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে। ওনাম উৎসবের নেপথ্যে যে লোকায়ত ইতিহাস আছে তা এখানে তুলে ধরার জন্য লেখাটি পুনরায় প্রকাশ করা হল।
লোক উৎসবগুলিকে ব্রাহ্মন্যবাদী খাতে প্রবাহিত করার জন্য বিভিন্ন পৌরাণিক কাহিনীগুলিকে ঢেলে সজানো হয়েছে। জনসাধারণের মধ্যে দক্ষিন ভারতের সুবিখ্যাত, প্রজাবৎসল, দানবীর অসুর রাজা মহাবলীর কাহিনীটি এর অন্যতম। এই পৌরাণিক কাহিনীটি ভগবত পুরানে লিপিবদ্ধ হয়েছে। বিষ্ণু বামন রূপ ধারণ করে কী ভাবে অসুর রাজা মহাবলীকে হত্যা করেছিল তা এই কাহিনীতে বর্ণিত হয়েছে।
কে এই রাজা বলী?
যিনি মহাবলী নামে খ্যাতি লাভ করেছিলেন? আসুন একটু জেনে নিই এই মহান রাজার পরিচয়। রাজা মহাবলীর বংশ পরিচয় জানা যায় কয়েকটি পুরাণে ও রামায়ন কাহিনীতে। বিষ্ণু পুরানে বর্ণিত আছে যে অসুর রাজা হিরণ্যকাশ্যপ ছিলেন দক্ষিণ ভারতের পরাক্রান্ত রাজা। তাঁর কারণেই দক্ষিণ ভারতে ব্রাহ্মন্যবাদী শক্তির প্রসার সম্ভব হচ্ছিলনা। দেবরাজ ইন্দ্র সম্মুখ সমরে কিছুতেই এটে উঠতে পারছিল না হিরণ্য কাশ্যপের সাথে। হিরণ্য কাশ্যপের ভাই হিরন্যাক্ষ ছিলেন আরো প্রতাপশালী যোদ্ধা। ফলে সম্মুখ সমরে উত্তীর্ণ না হয়ে কৌশল অবলম্বন করলেন দেবশক্তি। বিষ্ণু বরাহ রূপ ধারণ করে হিরন্যাক্ষকে হত্যা করে। নিরপরাধ ভাইকে এই নৃশংস ভাবে হত্যার বদলা নিতে হিরণ্য কাশ্যপ সৈন্যবল আরো বাড়িয়ে দেবশক্তিকে পর্যুদস্ত করতে লাগলেন। ফলে ছলনার আশ্রয় নিতে হল বিষ্ণুকে। বালক প্রহ্লাদকে কবজা করে ঢুকে পড়লেন রাজ প্রাসাদে। সুজোগ বুঝে ব্রাহ্মণ সেনাপতি নরসিংহের মূর্তির ছদ্মবেশ ধারণ করে রাজা হিরণ্যকাশ্যপকে হত্যা করে তাঁর নাবালক পুত্র প্রহ্ললাদ কে সিংহাসনে বসিয়ে দেবনীতি রুপায়নের ষড়যন্ত্র শুরু করলেন। তাদের ধারনা ছিল যে এই ব্যবস্থায় প্রজারা মনে করবে যে প্রহ্ললাদই শাসন করছে। ব্রাহ্মন্যবাদ কায়েম হলে প্রহল্লাদকেও হত্যা করা হবে।
নে নেওয়া যায়।
যিনি মহাবলী নামে খ্যাতি লাভ করেছিলেন? আসুন একটু জেনে নিই এই মহান রাজার পরিচয়। রাজা মহাবলীর বংশ পরিচয় জানা যায় কয়েকটি পুরাণে ও রামায়ন কাহিনীতে। বিষ্ণু পুরানে বর্ণিত আছে যে অসুর রাজা হিরণ্যকাশ্যপ ছিলেন দক্ষিণ ভারতের পরাক্রান্ত রাজা। তাঁর কারণেই দক্ষিণ ভারতে ব্রাহ্মন্যবাদী শক্তির প্রসার সম্ভব হচ্ছিলনা। দেবরাজ ইন্দ্র সম্মুখ সমরে কিছুতেই এটে উঠতে পারছিল না হিরণ্য কাশ্যপের সাথে। হিরণ্য কাশ্যপের ভাই হিরন্যাক্ষ ছিলেন আরো প্রতাপশালী যোদ্ধা। ফলে সম্মুখ সমরে উত্তীর্ণ না হয়ে কৌশল অবলম্বন করলেন দেবশক্তি। বিষ্ণু বরাহ রূপ ধারণ করে হিরন্যাক্ষকে হত্যা করে। নিরপরাধ ভাইকে এই নৃশংস ভাবে হত্যার বদলা নিতে হিরণ্য কাশ্যপ সৈন্যবল আরো বাড়িয়ে দেবশক্তিকে পর্যুদস্ত করতে লাগলেন। ফলে ছলনার আশ্রয় নিতে হল বিষ্ণুকে। বালক প্রহ্লাদকে কবজা করে ঢুকে পড়লেন রাজ প্রাসাদে। সুজোগ বুঝে ব্রাহ্মণ সেনাপতি নরসিংহের মূর্তির ছদ্মবেশ ধারণ করে রাজা হিরণ্যকাশ্যপকে হত্যা করে তাঁর নাবালক পুত্র প্রহ্ললাদ কে সিংহাসনে বসিয়ে দেবনীতি রুপায়নের ষড়যন্ত্র শুরু করলেন। তাদের ধারনা ছিল যে এই ব্যবস্থায় প্রজারা মনে করবে যে প্রহ্ললাদই শাসন করছে। ব্রাহ্মন্যবাদ কায়েম হলে প্রহল্লাদকেও হত্যা করা হবে।
নে নেওয়া যায়।
No comments:
Post a Comment