Manoranjan Byapari
গত ২৭ তারিখে দমদম থেকে চাপলাম পাটনা গামী প্লেনে । ওখানে নাম্বার পর আমাকে গাড়ি করে নিয়ে গেল বড়লোকদের হোটেল চাণক্যতে । গতবার ছিলাম ২২২ নাম্বারে , এবার ২১৫ ।আগের বার আমাকে বলা হয়ে ছিল দিনে ১২ শো টাকায় যা খাবার পাওয়া যাবে ততটুকু আমি খেতে পারব । তাঁর চেয়ে বেশী খেলে সে দাম আমাকেই দিতে হবে। আমি যে লোকটি আমার দেখা শোনার জন্য ছিল তারে বলে দিয়েছিলাম, আমার এত বড় হোটেলে থাকার অভিজ্ঞতা নেই- আমাকে ওই টাকার মধ্যে যা খাবার হবে তাই যেন দেওয়া হয় । আমার মনে আছে দুদিন ছিলাম- একদিন সকালে নাস্তা আর দুপুরে ভাতটাত খেয়ে ছিলাম । চার দিনের অন্য সব দিন বাইরেই খাই । কিন্ত যেদিন হোটেল ছেড়ে যাবার দিন - দেখি আমার হাতে একটা ৮৪০ টাকার বিল ধরান হল। কি ব্যাপার ? না, আমার হিসেব ছাড়া ওই টাকা বেশি খাওয়া হয়ে গেছে । মানে নাস্তার বিলটা আমার ঘাড়ে চেপে গেছে । অবশ্য সে টাকা আমি দেইনি - খুব চেচিয়ে ছিলাম ।তখন উদ্যোক্তারা সেই টাকা দেয় । এবার সেই কারনে আমি অর্ডার দেইনি । উদ্যক্তাদের একজনকে বললাম - আপনাদের যা মনে হয় খাবার অর্ডার দিয়ে দিন । আমি সব খাই । তো দিলেন তিনি অর্ডার। ভাত ডাল আলু ভাজা একটা সবজি মাছ ভাজা মাছের কারি আর টক দই সাথে স্যালাড ছিল । আমি খেয়ে যখন বিলে সই করতে গেলাম আমার চক্ষু চড়ক গাছ- দাম লেখা দু হাজার সাতশো সাত টাকা । এরপর যা হয় - গত আট চল্লিশ ঘন্টা আমি খালি ওই কথাই ভাবছি এই দেশের কত পরিবারের এক মাসের রোজগার আড়াই হাজার ? , আর বড় লোকদের এক বেলায় খাবারে লাগে আড়াই হাজার । এই আমাদের দেশ ।একদলের হাতে এত টাকা । এই বৈষম্য কবে ঘুচবে ?
গত ২৭ তারিখে দমদম থেকে চাপলাম পাটনা গামী প্লেনে । ওখানে নাম্বার পর আমাকে গাড়ি করে নিয়ে গেল বড়লোকদের হোটেল চাণক্যতে । গতবার ছিলাম ২২২ নাম্বারে , এবার ২১৫ ।আগের বার আমাকে বলা হয়ে ছিল দিনে ১২ শো টাকায় যা খাবার পাওয়া যাবে ততটুকু আমি খেতে পারব । তাঁর চেয়ে বেশী খেলে সে দাম আমাকেই দিতে হবে। আমি যে লোকটি আমার দেখা শোনার জন্য ছিল তারে বলে দিয়েছিলাম, আমার এত বড় হোটেলে থাকার অভিজ্ঞতা নেই- আমাকে ওই টাকার মধ্যে যা খাবার হবে তাই যেন দেওয়া হয় । আমার মনে আছে দুদিন ছিলাম- একদিন সকালে নাস্তা আর দুপুরে ভাতটাত খেয়ে ছিলাম । চার দিনের অন্য সব দিন বাইরেই খাই । কিন্ত যেদিন হোটেল ছেড়ে যাবার দিন - দেখি আমার হাতে একটা ৮৪০ টাকার বিল ধরান হল। কি ব্যাপার ? না, আমার হিসেব ছাড়া ওই টাকা বেশি খাওয়া হয়ে গেছে । মানে নাস্তার বিলটা আমার ঘাড়ে চেপে গেছে । অবশ্য সে টাকা আমি দেইনি - খুব চেচিয়ে ছিলাম ।তখন উদ্যোক্তারা সেই টাকা দেয় । এবার সেই কারনে আমি অর্ডার দেইনি । উদ্যক্তাদের একজনকে বললাম - আপনাদের যা মনে হয় খাবার অর্ডার দিয়ে দিন । আমি সব খাই । তো দিলেন তিনি অর্ডার। ভাত ডাল আলু ভাজা একটা সবজি মাছ ভাজা মাছের কারি আর টক দই সাথে স্যালাড ছিল । আমি খেয়ে যখন বিলে সই করতে গেলাম আমার চক্ষু চড়ক গাছ- দাম লেখা দু হাজার সাতশো সাত টাকা । এরপর যা হয় - গত আট চল্লিশ ঘন্টা আমি খালি ওই কথাই ভাবছি এই দেশের কত পরিবারের এক মাসের রোজগার আড়াই হাজার ? , আর বড় লোকদের এক বেলায় খাবারে লাগে আড়াই হাজার । এই আমাদের দেশ ।একদলের হাতে এত টাকা । এই বৈষম্য কবে ঘুচবে ?
No comments:
Post a Comment