Thursday, March 10, 2016

দেশে যখন বৃটিশের রাজ চলছিল, এবং দেশেও বিজ্ঞানের চর্চা বাড়ছিল তখন বাংলা থেকেই একদল আত্মসমর্পিত 'ঋষি' বেরোচ্ছিলেন যারা ভারতীয়দের বিজ্ঞান চর্চাতে আতঙ্কিত বোধ করছিলেন। তারা বলে এবং লিখে বেড়াচ্ছিলেন পশ্চিমা বিজ্ঞান এবং ভারতীয় আধ্যাত্মবাদ মিলেই সভ্যতাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে। এ কিন্তু ভারতীয়দের জ্ঞান-বিজ্ঞান জিজ্ঞাসার বিরুদ্ধে একধরণের সামন্তভারতীয় শাসক শ্রেণির প্রতিরোধই ছিল। রবীন্দ্রনাথও কিছুদূর এই চিন্তাতে বিভ্রান্ত ছিলেন। শ্রী শ্রী রবিশঙ্করকে আমার সেই দর্শনেরই প্রতিভূ ছাড়া আর কিছুই মনে হয় না। নইলে পশ্চিম যখন 'ঈশ্বর কণা'র সন্ধানে বিশাল আয়োজন করে, ভারতে সেখানে যমুনা পাড়ের পরিবেশ বিপন্ন করে দুনিয়ার সবচাইতে বিশাল সাংস্কৃতিক (পড়ুন ধর্মীয়) আয়োজন চলে, আর সেই আয়োজনে ধন -জন আর ক্ষমতার প্রদর্শনী চলে... কার ঘাড়ে কটা মাথা---কেউ প্রশ্ন তোলে। এখানেও 'দেশের সম্মান' বলে কথা.

Prominent writer from Assam Sushsant Kar writes:

মানুষের অসম্ভব কিছুই নেই---এই শিক্ষাটি মূলত শিল্পবিপ্লব, নবজাগরণ, এবং পূঁজিবাদেরই দান...তাই প্রাকৃতিক যা কিছুকে দৈব ভেবে এককালে মানুষ দূরে ছিল---সেই সব কিছুকেই জয় করতে, জানতে চেয়েছে মানুষ। সাগর পার করতে, গ্রহে নক্ষত্রে নজর রাখতে, এভারেস্ট কিম্বা চাঁদে পা রাখতে যখনই গেছে ধর্ম আর সংস্কার তাঁর পথ রুখে দাঁড়িয়েছে। সংঘাত অনিবার্যভাবেই বেড়েছে। ধর্মের হাত থেকে মুক্তি চেয়েছে মানুষ। কিন্তু বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তিরই সবই কি তার জন্যে মুক্তি এনেছে? আনতে পারতো? আফ্রিকা আমেরিকা , এশিয়ার দেশে দেশে সোনা ,পান্না, চা -কফি, তেল , কয়লার সন্ধানে যখন ছুটে গেছে শিল্পবিপ্লবীরা সভ্যতাকে প্রবলভাবে আলোড়িত যেমন করেছে, তাকে দ্রুতিও দিয়েছে ঠিক। কিন্তু ভারতের কথাই বলি না কেন, বৃটিশ ভারতে যখন পা দিয়েছিল এবং যখন বেরিয়ে গেছিল ---দুই সময়েই দুই মহাদুর্ভিক্ষ ৭৬এর এবং ৫০ এর মন্বন্তর বাংলাদেশের কোটি কোটি মানুষের জীবন কেড়ে নিয়েছিল। লক্ষ্য করে দেখুন, এখনো 'দেশপ্রেমী'রা এই নিয়ে কথাই বলেন না। সবই হয়েছিল, সভ্যতাকে রক্ষা করা আর উন্নয়নের নামে----সব্বাইকে এরা সুখী আর সুন্দর জীবন দিতে পারে না। সবাইকে ধনবান করাটাও এদের লক্ষ্য ছিল না, এখনো নেই। ফলে সমস্যা দেখা দিল, কিছু মানুষ সমস্ত বৈষম্যকে বিলীন করবার 'অসম্ভব' কাজকেও সম্ভব করে ফেলতে চায়। শ্রমিক কারখানার মালিক হতে চায়। আর এটা হলে পুঁজিবাদের কোনো অস্তিত্বই থাকে না। এখানেই বিরোধ। এই বদমায়েশী ঢাকতেই যে ধর্মের সঙ্গে এরা সংঘাতে গেছিল বা এখনো যায় কখনো বা সেই ধর্মের সঙ্গেই জোটও বাঁধে। সারা বিশ্বেই এটা হয়। ডেল কার্নেগীদের বই পড়েন নি তারুণ্যে এমন লোক খুব কমই আছেন। অসম্ভবকে সম্ভব করার পুঁজিবাদী দীক্ষারই বই। বইগুলো একেবারে অকেজোও নয়। কিন্তু দেখবেন শ্রমিক যেন বিদ্রোহের পথে না যায়---সেসব নঞার্থক ভাবনা--সেই শিক্ষাই আছে । সে যেন একক ব্যক্তি জীবনের সফলতার স্বপ্ন দেখে। কোনো সমষ্টি চিন্তা নিয়ে মাথা না ঘামায়--এই বার্তাটাই থাকে। যাতে সে দক্ষ শ্রম বিক্রয়কারী হয়ে উঠে। তাই ডেল কার্নেগি থেকে শিব খেরা-দের বই পত্র বাজারে বেস্ট সেলারের মতো বিক্রি হয়। লাখো টাকাতে কোম্পানিগুলো তাদের বক্তৃতা দেবার ব্যবস্থা করে, যাদের কর্মীদের মধ্যে উচ্চাভিলাস জাগিয়ে রাখা যায়। শ্রী শ্রী রবিশঙ্করকে আমার ধর্মীয় মোড়কে এর চেয়ে বেশি কিছু কোনোদিনই কিছু মনে হয় নি। দেশে যখন বৃটিশের রাজ চলছিল, এবং দেশেও বিজ্ঞানের চর্চা বাড়ছিল তখন বাংলা থেকেই একদল আত্মসমর্পিত 'ঋষি' বেরোচ্ছিলেন যারা ভারতীয়দের বিজ্ঞান চর্চাতে আতঙ্কিত বোধ করছিলেন। তারা বলে এবং লিখে বেড়াচ্ছিলেন পশ্চিমা বিজ্ঞান এবং ভারতীয় আধ্যাত্মবাদ মিলেই সভ্যতাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে। এ কিন্তু ভারতীয়দের জ্ঞান-বিজ্ঞান জিজ্ঞাসার বিরুদ্ধে একধরণের সামন্তভারতীয় শাসক শ্রেণির প্রতিরোধই ছিল। রবীন্দ্রনাথও কিছুদূর এই চিন্তাতে বিভ্রান্ত ছিলেন। শ্রী শ্রী রবিশঙ্করকে আমার সেই দর্শনেরই প্রতিভূ ছাড়া আর কিছুই মনে হয় না। নইলে পশ্চিম যখন 'ঈশ্বর কণা'র সন্ধানে বিশাল আয়োজন করে, ভারতে সেখানে যমুনা পাড়ের পরিবেশ বিপন্ন করে দুনিয়ার সবচাইতে বিশাল সাংস্কৃতিক (পড়ুন ধর্মীয়) আয়োজন চলে, আর সেই আয়োজনে ধন -জন আর ক্ষমতার প্রদর্শনী চলে... কার ঘাড়ে কটা মাথা---কেউ প্রশ্ন তোলে। এখানেও 'দেশের সম্মান' বলে কথা... http://timesofindia.indiatimes.com/india/Will-go-to-jail-but-not-pay-a-penny-Sri-Sri-Ravi-Shankar-on-Rs-5-crore-fine/articleshow/51344867.cms
Will go to jail but not pay a penny: Sri Sri Ravi Shankar on Rs 5 crore fine - Times of India
timesofindia.indiatimes.com
"We have not done anything wrong. We have been taintless and will remain so. We we will go to jail b...

No comments:

Post a Comment