Let Me Speak Human: Smash Fascism!

Thursday, March 3, 2016

Smash Fascism!

Amlan Agun Jole Uthuk added 5 new photos — with Priyasmita Hokkolorob and 98 others.

'জে এন ইউ এর উপর সাম্প্রতিক ফ্যাসিবাদি গেরুয়া আক্রমণ এবং তার পর যাদবপুর কে কেন্দ্র করে "দেশ বিরোধী" বিতর্ক ফ্যাসিবাদ কে প্রতিহত করার প্রসঙ্গটি আমাদের সামনে সব থেকে বেশি করে এনে ফেলেছে। যে হিন্দু ফ্যাসিবাদি শক্তি গত শতাব্দীর আট এর দশক এর পর থেকে ক্রমশ শক্তিশালী হয়ে উঠেছে ভারতবর্ষে তার গতি কে যদি আজ বিচার করা যায় দেখা যাবে এই শক্তি দুভাবে তার শক্তি সঞ্চয় করেছে। একদিকে তার সংসদীয় মুখ বিজেপি নির্বাচনে অংশগ্রহণের মধ্যে দিয়ে অন্য ডানপন্থী বা সরকারী বাম দলগুলির সাথে নির্বাচনে বোঝাপড়ার মধ্যে দিয়ে তার শক্তি বাড়িয়ে নিয়েছে। আমরা দেখেছি বাজপেয়ী কে জ্যোতি বসুর সাথে একই মঞ্চে, আবার তৃণমূল কে বিজেপির সঙ্গে নির্বাচনী জোট গড়ে তুলতে। এর বাইরে যে সব সরকার পন্থী বাম দল গুলি আছে, তারা চেয়েছে নির্বাচনের মধ্যে দিয়ে এই ফ্যাসিবাদি শক্তিকে পরাস্ত করতে।
কিন্তু এই ফ্যাসিবাদ এর আর একটি মুখ আর এস এস সংসদের বাইরে তার বিজয়রথ ছুটিয়ে চলেছে। যে বাস্তবত সংসদ, আইন, সংবিধান সমস্ত কিছুর বাইরে তার গেরুয়া অভিযান কে শক্তিশালী করেছে। যেখানে বিপ্লবী শক্তি গুলি ততটা জোর দেয়নি, সংসদের বাইরের বিপ্লবী আন্দোলন জোরদার না থাকার কারনে ফ্যসিবাদ সংসদের ভিতরে কখনও পরাস্ত হলেও তার গতি কখনই রুদ্ধ করা যায়নি। আন্দোলন এর কর্তব্য ব্যালট এ সুপ্ত হয়েছে।
আজ প্রশ্ন- আমরা কি ভোট নির্ভরতার মধ্যে ফ্যাসিবাদী আন্দোলন কে সীমাবদ্ধ রাখবো? নাকি বিশ্বাস রাখবো আন্দোলন এ? যেখানে জনগণ এর মধ্যেই বাস করে ফ্যাসিবাদী মন আর তার মধ্যেই অন্তর্ঘাত করে বিপ্লবী ও রপান্তরকামী মন। যেখানে 'রাম রুটি ইনসাফ' এর দাবি খাদ্য বস্ত্র বাসস্থান এর দাবীতে রূপান্তরিত হয় বাস্তব আন্দোলন এর মধ্যে দিয়ে।'

'আন্দোলন ক্রম বর্ধমান।
লাঠি দিয়ে গুলি দিয়ে ছাত্রী ছাত্র আন্দোলন রাষ্ট্র কখনও দমন করতে পারেনি।
তোমরা যত মারবে, মিছিল তত বাড়বে।
কোন পার্টির লেজুর বৃত্তি করে নয়, ছাত্রী ছাত্র রা ঘুরে দাঁড়াবে নিজেদের পায়ের উপর ভর দিয়ে।
সংগ্রামী অভিনন্দন আন্দোলনকারীদের।
পাশে আছি বর্ধমান।
#হোক হোক হোক প্রতিবাদ।'

'অদ্ভুত কিছু সংগঠন থাকে- যারা টাটার দালাল থেকে সংগ্রামী লাল কিছু হতেই বুক কাঁপে না।
কিছুদিন আগেই "জয় ভীম" স্লোগানে সারা রাজ্য তোলপাড় করে তুলেছিল, যখন রোহিত ভেমুলা মারা যায়, আজ নিজেদের দেশপ্রেমিক প্রমাণ করার তাগিদ এত বেশি হয়ে পড়ল, দলিত দের উপর যে শোষণের ইতিহাস, তাও বাতিল হয়ে গেল। এমনকি ভারত রাষ্ট্র তার সংবিধান অনুযায়ী দলিত এর উপর শোষণের ইতিহাস অস্বীকার করেনি।
আর আমাদের "বা্পন্থি""(মেকি) বন্ধুরা দলিত অস্তিত্ব কেই অস্বীকার করে বসলেন।
লজ্জা।'

'রোহিত ভেমুলার মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গে রাজ্য ও কেন্দ্রের রাজনীতিতে সংরক্ষণ প্রসঙ্গটি আবার যেন নতুন করে প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছিল। কিন্তু সংরক্ষণ তো আজকের বিতর্ক নয়। ডান থেকে বাম, সংসদ থেকে সামাজিক আন্দোলন সব ক্ষেত্রে এ নিয়ে বিতর্কের ঝর উঠেছে, সংরক্ষণের পক্ষে বা বিপক্ষে বহু আন্দোলন সংগঠিত হয়েছে। কলকাতায় রহিতের মৃত্যুর প্রতিবাদে অনশন আন্দোলন চলাকালীন আন্দোলনকারীরা বার বার প্রশ্নের মুখোমুখি হয়েছে এই প্রসঙ্গে তাদের মতামত কি? কখনও তাদের দাগিয়ে দেওয়া হয়েছে "ইয়ুথ ফর ইকুয়ালিটি " বলে আবার কখনও আন্দলনের মধ্যে বাম বাম গন্ধ পেয়ে অনেকে বলেছেন 'শ্রেণি' লাইন খেলছে। আমার ধারণা এত তর্কের মাঝে সমস্যা বুঝে সমাধান এর পথ না পাওয়া রাজনৈতিক গ্রুপ গুলির যে বিভ্রান্তি বর্তমান, তার নিরসন না হওয়া পর্যন্ত এ প্রসঙ্গে একমত হওয়া তো দুরের কথা, তর্ক বাড়তেই থাকবে।
সারা দেশ জুরে বিভিন্ন অংশের মানুষ সরব হচ্ছেন সংরক্ষণের দাবী নিয়ে। কিছুদিন আগে আমরা দেখেছি গুজরাট এ প্যাটেল রা এই দাবী তুলেছিল। সাম্প্রতিক হরিয়ানায় জাট সম্প্রদায়ের আন্দোলন জনজীবন স্তব্ধ করে দিয়েছে। আসলে বর্তমান বিশ্বায়ন ও বাজার অর্থনীতি মানুষের জীবন কে এতটাই অনিশ্চিত করে তুলেছে, যে নিরাপত্তার প্রশ্নে সংরক্ষণ এত গুরুত্বপূর্ণ দাবী আকারে বার বার সামনে আসছে। রক্তপাত, মৃত্যু ও ঘটছে এই আন্দোলন গুলিতে। বাস্তবত ৮ টা পদে ১০০ প্রার্থী মারামারি করে মরছেন কে সংরক্ষণ পাবেন তাই নিয়ে। আসলে যে এর অন্তরালে যে সহজ সত্য লুকিয়ে আছে সরকার সংরক্ষণ ব্যবস্থা কে যেভাবেই সাজান আর আন্দোলন কারীরা যে দাবীতেই আন্দোলন করুন ৯২ জন বেকার থাকবেন।
এখানে ভারতবর্ষের বুকে চলে আসা যুগ যুগ ধরে জাত বর্ণ ব্যবস্থার অবসান আমিও চাই,আর সেই আন্দলনের স্বকীয় দাবীগুলিও ভুল না, কিন্তু তার জন্য সহজ হিসাব টি ভুল হয়ে যায় না। চাকরি না বৃদ্ধি হলে বাকি পুরটাই আসলে খেলা, বাজার অর্থনীতির ফানুস ফেটে গেছে।'

No comments:

Post a Comment

Subscribe to: Post Comments (Atom)