Monday, July 4, 2016

ওপারের হিন্দুরা কি দলিত নয়? সংকটের মাঝে বাংলাদেশের মুসলিম মানবতা বাদীরা যেভাবে সংখ্যালঘুদের পাশে দাড়িয়েছেন,তাদের সেলুট জানাতে হয়।

Subodh Biswas
শত শহীদের বলিদানের বিনিময়ে ভারতের স্বাধীনতার সূর্যদয়,পূর্বদিগন্তে উদ্বভাষিত হয়েছিল। সে স্বাধীনতা আন্দোলনে বাঙালার মাটির উপরদিয়ে রক্তের প্লাবন বয়েযায়।
এক রাজনীতিক ষডযন্ত্রের স্বীকার হোল পাজ্ঞাবী ও বাঙালিরা।পাজ্ঞাবীরা স্বাধীন ভারতে রাজ্য দখলকরে তারা অস্বিত্ব বাচাতে সফল হয়।
স্বাধীন ভারতে বাঙালি উদ্বাস্তুদের জন্য খোলাহোল ডিটেনশন ক্যাম্প। দুধের শিশু থেকে শুরুকরে আশি বৎসরের বৃদ্ধ, তারা আসামের ডিটেনশন ক্যাম্পে নারকীয় যন্ত্রনা ভোগকরছে।তাদের মুক্তির সমস্ত দরজা বন্দ। আসামে Natinal Registration Certificate সার্ভে আগষ্ট মাসে শেষ হবে। অনুমাস ৪০ লক্ষের বেসি হিন্দু উদ্বাস্তুরা NRC সার্টিফিকেট পাবেনা।তারা ভারতের নাগরিকত্ব হারাবে।এনিয়ে কারো কোন মাথাব্যাথা নেই। এক্ষেএে কলিকাতার বুদ্ধিজীবি ও মানবতা বাদীরা একদম নিরব।কে কউ কুমিরাশুটুকু দেখাতেও কারপন্য করছেন।নাগরিকত্ব আইন ২০০৩ এর খড়গ এখনও ঝুলছে মাথার উপর।
...........................
অন্যদিকে ১৯৫২ সালের যারা ছিলেন পূর্ববাঙলার ভাষা আন্দোলনের রুপোকার,তাদের উওরশুরিরা আজ ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে মাতৃভাষা ও সংস্কৃতির সংকটে। কুইনাইন খাওয়ানোর মতো তাদের নাক টিপেধরে বিভিন্ন ভাষায় শিক্ষা অর্জন করানো হচ্ছে।স্বাধীন ভারতে তারা অস্বিত্বের সংকটে।অপ্রিয় হলেও এটাই সতঠ্য।তাদের সংখ্যা দেড় কোটির উর্ধে।এতে বাঙলার বুদ্ধিজীবিদের কি আসে যায়।আমরাতো ভালই আছি।
.................
১৯৭১ সালে ৩৫ লক্ষ মানুষের জীবনের বিনিময়ে বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভকরে। এই যুদ্ধে পাকসেনাদের বন্দুকের নলটি ছিল,সংখ্যালঘু হিন্দুদের দিকে। ঐযুদ্ধে ২৫ লক্ষ হিন্দুদের মাশুল দিতেহয়। দুরভাগ্য সেমাটিরে তাদের সংখ্যা কমে দাড়িয়েছে সাত প্রতিশত।গবেষকেরা অনুমান করছেন,আগামী দশ বৎসরের মধ্যে বাংলাদেশের হিন্দুদের চিড়িয়া খানায় খোজকরলে পাওয়া যাবে। অর্থাত আর একটা নিধন যোজ্ঞ,উদ্বাস্তুর ঢল,লক্ষ লক্ষ নিষ্পাপ শিশুরা দুধ ও চিকিৎসা অভাবে পথেঘাটে অকালে মৃত্যুমুখে ঢলেপড়বে।পশ্চিম বঙ্গে জনবিষফোরন ঘটবে।তাদের নিয় শুরুহবে নতুন করে রাজনীতিক দোকানদারি। এতে কি আসোয়,আমরাতো ভালই আছি।
..................
বাংলার বুদ্বিজীবিদের কথা ছেডেউ দিলাম।মঝার বিষয়.যাদের বংশধর ওপারে আক্রান্ত তারাও নিরব।মতুয়া গোষাই, পাগল ও হরি ভক্তদের হুমকার শুনতে পাচ্ছিনা। মতুয়ারাই যদি সেখানে টিকতে নাপারে, ওড়াকান্দীর হরিমন্দির রক্ষাপাবে কিভাবে।
ভারত সেবাশ্রমের সেবামূলক কাজে অতুলনিয় অবদান রয়েছে। তাদের সঠিক পদক্ষেপ আশাকরি। শ্রী অনুকূল ঠাকুরের উওর শুরীরা ভারতে ধর্ম রক্ষার প্রতিষ্ঠার অভিযান চালিয়ে যাচ্ছেন। অথচ যেখানে ধর্ম সংকটে, সেখানে অনুপস্থিত।
ভারতের উদ্বাস্তুদের অধিকারের পক্ষে কখনও তাদের মুক খুলতে দেখিনাই। তাারা একটু সক্রিয় হলে ওপারের গনতন্ত্র রক্ষা ও দুইকোটি মানুষের মংগল হোত।
উদ্বাস্তু দলিত ভায়েরা দলিত আন্দোলনে প্রসংশনীয় কাজকরেন।এক্ষেএে তাদের অধিকাংশরা নিরব।তাদের কাছে জানে ইচ্ছেহয়, ওপারের হিন্দুরা কি দলিত নয়?
সংকটের মাঝে বাংলাদেশের মুসলিম মানবতা বাদীরা যেভাবে সংখ্যালঘুদের পাশে দাড়িয়েছেন,তাদের সেলুট জানাতে হয়।

No comments:

Post a Comment