উদ্বাস্তু আন্দোল ব্যর্থ কেন ?
সমাধান কোনপথে,আসুন একটু আত্মসমীক্ষা করি.....
Dr.Subodh Biswas calls for skipping caste community identity as he suggests refugees countrywide should stand united irrespective of their identities .. .....
যদি সমস্ত দলিত সম্প্রদায় বিভক্ত হয়ে আলাদাপথে চলি,তাহলে সমস্যা ক্রমন্বয়ে জটিল হবে। ভারতের ছিন্নমূল সহোদর ভাইদের বিভাজন ,সমস্যা নিরসনের পথের কাঁটা হতে পারে।......
নিজ নিজ সম্প্রদায়ের উন্নতির স্বার্থে ভ্রাতৃত্ব গড়ে তোলা ও উন্নয়ন মূলক কর্মসূচি গ্রহন করা প্রশংসনীয়। কিন্তু সম্পরদায়ের উন্নয়নের নেপথ্যে উগ্রতার বীজ বপণ সমাজের জন্য ভবিষতে বিপদের কারণ হতে পারে।এ আমার উপদেশ নয়,আমার ভাবনা মাত্র।.......................
ডা.সুবোধ বিশ্বাস
Nagpur.NIKHIL BHARAT UDVASTU SAMANYA SAMITI President Dr.Subodh Biswas calls for skipping caste community identity as he suggests refugees countrywide should stand united irrespective of their identities as we face same problems and same challenges.The Refugees must unite to solve these burning problems with unity within and fraternity with local communities in different states,he explains.
Dr.Subodh Biswas issued this statement for unity as the best answer to the continuity of the miserable plight of Dalit refugees.He emphasizes on rock solid unity among dalits.
ভারত বিভাজনের নেপথ্যে যে ষড়যন্ত্রই থাকুক না কেন, বিভাজনের মূল ভিওি ছিলো ধর্মীয়।তার মাশুল গুনতে হয়েছে পূর্ব বাঙলার সংখ্যালঘুদের।ভুক্ত ভোগীরা হচ্ছেন, নমঃশূদ্র, রাজবংশী ,পৌন্ড্র, স্ববর্ন, বুদ্ধিষ্ট সহ বিভিন্ন সম্পদায়ের মানুষ।সবার ভিতরে ভিটে হারানোর সুপ্ত ব্যাথা তুষের আগুনের মতো বুকের পাঁজরে জ্বলছে।
................ দেশভাগ হয়েছে,কিন্তু ভারত ভাগের সময় রাষ্ট্রনেতাদের প্রতিশ্রুতি রক্ষা হয়নি। তারপর স্বমূলে উচ্ছেদ করার পরেও আজও আমাদের নিয়ে চলছে ঘৃণ্য রাজনীতি।
এক অদ্ভুত পরিস্থিতির সঙ্গে আমাদের লড়তে হচ্ছে।
ভারত সরকার আমাদের ভূমি দিয়েছে কিন্তু পাট্টা দেয়নি।
জাতি পরিচয়ের স্বীকৃতি নেই।
মুখ আছে ,মুখে মাতৃভাষা নেই।
ভারতে আছি,কিন্তু নাগরিকত্ব নেই।
এ কেমন স্বাধীনতা?
আমরা স্বাধীন দেশের পরাধীন প্রজাতি।
এই পরিস্থিতির জন্য আমরাও কমবেশি দায়ী। কারন: আমরা সঠিক রোগ নির্নয় করতে ব্যর্থ হয়েছি।
ভারতের বিভিন্ন প্রান্ত ঘুরে একটা বাস্তব অভিজ্ঞতা অনুভব করেছি। উদ্বাস্তুরা যে সম্প্রদায়ের হোক না কেন ,প্রত্যকের সমস্যা প্রায় সমান , সম পর্যায়ের।
ছিন্নমূলদের সমস্যা যদি সারাদেশে এক হয়, সেক্ষেএে বলার অপেক্ষা রাখেনা ,উদ্বাস্তুদের সমস্যা রাষ্ট্রিয় সমস্যা।
রাষ্ট্রিয় সমস্যা সমাধান করতে চাই রাষ্ট্রিয় পর্যায়ের সংগঠন। চাই ভেঙ্গে যাওয়া জনগোষ্ঠীর মধ্যে সমন্বয়। চাই রাষ্ট্রিয় সমস্যা সমাধান করতে রাষ্ট্রিয় আন্দোলন।
দূর্ভাগ্য এ মহতি কাজে করতে, আমরা উদারতা দেখাতে পারিনি। সমস্যা একই,জানা সত্বেও শতাধিক দল গঠন করে ছিন্নমূল শক্তি খন্ডিত করেছি।
যদিও আমরা কথায় কথায় যুগপুরুষ শ্রী গুরুচাঁদের বুলি মুখে আওড়াই,"যার নাই দল,তারনাই বল"।বাস্তবে কাজটি করেছি উল্টো।নিজেদের মধ্যে কাজিয়া লাগিয়ে আমরা পরক্ষ্যে প্রশাসনকে নাকে তেল দিয়ে ঘুমানোর সুযোগ করে দিয়েছি।
যাহোক, বিপাকে পড়ে সমস্ত উদ্বাস্তু সংগঠন এক করার প্রচেষ্টা চলছে।
দলিতদের অধিকার অর্জনের লক্ষ্যে শ্রী গুরুচাঁদ ঠাকুর সামাজিক আন্দোলনের ভিত রচনা করেছিলেন। পরবর্তীতে শ্রী যোগেন্দ্রনাথ মন্ডল ও সমগ্র দলিত নেতৃত্ব সমস্ত পিছিয়ে পড়া সমাজকে এক করার জন্য প্রচেষ্টা করেছেন।
আমরা তাদেরকে মানি,কিন্তু তাদের আদর্শ মানিনা।
আমরা যদি সত্যিকারে উদ্বাস্তুদের মঙ্গল চাই, মহাপুরুষদের দেখানো সমন্বয়ের পথেই আমাদের মুক্তি আসবে।
যদি সমস্ত দলিত সম্প্রদায় বিভক্ত হয়ে আলাদাপথে চলি,তাহলে সমস্যা ক্রমন্বয়ে জটিল হবে। ভারতের ছিন্নমূল সহোদর ভাইয়েদের বিভাজন ,সমস্যা নিরসনের পথের কাঁটা হতে পারে।
বাংলাদেশের সংখ্যালঘু ভায়েরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগবে।
সমব্যথায় ব্যথী,উদ্বাস্তুদের সঙ্গে সমন্বয় গড়ে তুলতে হবে।স্থানীয়দের সহমর্মিতা অর্জন করার মতো পরিবেশ গঠন করতে হবে।
অহংকার বর্জন করে ,যারা সাহায্যের হাত বাড়াতে চায়,তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ ও বন্ধুত্ব গড়ে তুলতে হবে। মান,অভিমান ভীরুতা ও হঠকারিকতার বেড়াজাল ভাঙ্গতে হবে।
নিজ নিজ সম্প্রদায়ের উন্নতির স্বার্থে ভ্রাতৃত্ব গড়ে তোলা ও উন্নয়ন মূলক কর্মসূচি গ্রহন করা প্রশংসনীয়। কিন্তু সম্পরদায়ের উন্নয়নের নেপথ্যে উগ্রতার বীজ বপণ সমাজের জন্য ভবিষতে বিপদের কারণ হতে পারে।এ আমার উপদেশ নয়,আমার ভাবনা মাত্র।
--
Pl see my blogs;
Feel free -- and I request you -- to forward this newsletter to your lists and friends!
No comments:
Post a Comment