এই প্রতিবেদনকে সামনে রেখে আমরা পথে নামছি , আপনিও নিশ্চয়ই পথে নামছেন আমাদের সাথে ।
আগামী শনিবার, ১৬ জুলাই জমায়েত হচ্ছি কলেজ স্কোয়ারে ঠিক দুপুর ২টোয়, সেখানে গান কবিতা বক্তব্য রেখে মিছিলে পা মেলাবো ঠিক ৪টেয়। মিছিল ফিরবে আবার কলেজ স্কোয়ারের, তারপর প্রতিবাদী গান কবিতা আর নাটক। হ্যাঁ , বলতে ভুলে গেছি , সব শেষে থাকছে মশাল। প্রতিবাদী মশাল জ্বলে উঠবে কলেজ স্কোয়ারে।....... তুমি থাকছো তো আমাদের সাথে?
আগামী শনিবার, ১৬ জুলাই জমায়েত হচ্ছি কলেজ স্কোয়ারে ঠিক দুপুর ২টোয়, সেখানে গান কবিতা বক্তব্য রেখে মিছিলে পা মেলাবো ঠিক ৪টেয়। মিছিল ফিরবে আবার কলেজ স্কোয়ারের, তারপর প্রতিবাদী গান কবিতা আর নাটক। হ্যাঁ , বলতে ভুলে গেছি , সব শেষে থাকছে মশাল। প্রতিবাদী মশাল জ্বলে উঠবে কলেজ স্কোয়ারে।....... তুমি থাকছো তো আমাদের সাথে?
ধর্মের নামে সন্ত্রাস সৃষ্টি করছে যারা
বিশ্বমানবতার শত্রু তারা
বিশ্বমানবতার শত্রু তারা
২৮ জুন, ইস্তানবুল: নিহত ৪৫
২ জুলাই ২০১৬, ঢাকা: নিহত ২২
৩ জুলাই, বাগদাদ: নিহত ২১৩
৪ জুলাই, মদিনা: নিহত ৪
৭ জুলাই, কিশোরগঞ্জ: নিহত ৪
২ জুলাই ২০১৬, ঢাকা: নিহত ২২
৩ জুলাই, বাগদাদ: নিহত ২১৩
৪ জুলাই, মদিনা: নিহত ৪
৭ জুলাই, কিশোরগঞ্জ: নিহত ৪
একটানা রক্ত ঝরছে পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তের বিভিন্ন দেশে। তার মধ্যে বাংলাদেশ তো একেবারে আমাদের ঘরের পাশে। এই রক্তপাত চলছে ধর্মের জিগির তুলে। ‘ইসলামিক স্টেট’ (আই এস) নামে একটা দল, যারা পশ্চিম এশিয়ার সিরিয়া, লিবিয়া আর ইরাকের কিছু এলাকায় ঘাঁটি গেড়ে আছে, মূলত তারাই এইসব ‘মহান’ কাজের দায়িত্ব নিচ্ছে। এভাবে মানুষকে ভয় দেখিয়ে তারা নাকি সারা দুনিয়ায় ইসলামের শাসন কায়েম করতে চায়!
ধর্মের নামে এরা নির্বিচারে মানুষ মারছে। এবং যে ধর্মের নামে এরা কসম খাচ্ছে, সেই ধর্মের মানুষদের, মানে মুসলমানদেরই বেশি মারছে। আসলে ওরা চায় ক্ষমতা। ওদের কল্পনার ‘ইসলামিক স্টেট’ বা ‘ইসলামী রাষ্ট্র’ এমনই একটা রাষ্ট্র, যেখানে গুটিকয়েক লোক সমস্ত সাধারণ মানুষকে ভয় দেখিয়ে দাবিয়ে রাখবে আর তাদের মাথার ওপর ছড়ি ঘোরাবে।
ভারতকে যারা ‘হিন্দু রাষ্ট্র’ বানাতে চায়, বা আমেরিকাকে যারা ‘খ্রিষ্টান রাষ্ট্র’ বানাতে চায়, তারাও ঠিক একই রকম কথা বলে, একই রকম কাজ করে। জঙ্গী হিন্দুত্ববাদীরা ওড়িশায় পুড়িয়ে মেরেছে সন্তানসহ মিশনারি গ্রাহাম স্টেইনকে, বোমা ফাটিয়ে মানুষ মেরেছে সমঝোতা এক্সপ্রেসে, আজমের দরগায়, মালেগাঁওতে, হায়দরাবাদের মক্কা মসজিদে আর অন্যান্য জায়গায়।
যুক্তিবাদী সত্যি কথা বলার মত লোকেদের এরা কিছুতেই সহ্য করতে পারে না। তাই ভারতে হিন্দুত্ববাদীরা খুন করেছে নরেন্দ্র দাভোলকার, গোবিন্দ পানসারে আর এম এম কালবুর্গির মত চিন্তাশীল মানুষদের। একই ভাবে আমরা দেখেছি, বাংলাদেশে ইসলামী জঙ্গীরা হত্যা করেছে রাজীব হায়দার, অভিজিত রায়, অনন্তবিজয় দাস, নিলয় নীল সহ অন্তত ১০ জন মুক্তমনা লেখককে। পাকিস্তানে মানবাধিকার কর্মি খুররম জাকি আর সুফি গায়ক আমজাদ সাবরিকেও খুন করেছে তারা।
এইরকম ভাবে মানুষ মারতে মারতে তারা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। বাংলাদেশের আনাচেকানাচে এক এক করে বৌদ্ধ, হিন্দু আর খ্রিষ্টানদের মারার পর এবার তারা এক সঙ্গে অনেক মানুষকে খুন করছে, যাতে আরও বেশি করে ত্রাস ছড়ানো যায়।
এই মানুষ মারার খেলায় তাদের মদত দিয়েছে আমেরিকান সাম্রাজ্যবাদ আর তার দালালরা। হ্যাঁ, সাম্রাজ্যবাদীরাই সিরিয়া, লিবিয়া, ইরাকের মত পশ্চিম এশিয়ার দেশগুলোতে এইসব জঙ্গীবাহিনীকে অস্ত্র আর ট্রেনিং দিয়েছে সেখানকার শাসকদের উচ্ছেদ করার জন্য, যারা তাদের তেমন অনুগত ছিল না। যেমন এক সময় আফঘানিস্তানে তালিবানদের দিয়েছিল সোভিয়েত ইউনিয়নের বিরুদ্ধে লড়ার জন্য। আজ যখন জঙ্গী গোষ্ঠীগুলো ক্ষমতার স্বাদ বুঝে গিয়ে নিজেরাই দুনিয়া জুড়ে সর্দারী করতে চাইছে আর ভয়ের রাজত্ব কায়েম করতে এখানে-ওখানে ছোবল মারছে, তখন ওই সাম্রাজ্যবাদীরাই মরাকান্না জুড়েছে, “মুসলমানরা সভ্যতাটাকে শেষ করে দিল!” সারা পৃথিবীতে সন্ত্রাস ঠেকানোর নামে এই ইসলাম-ভীতি বা ‘ইসলামোফোবিয়া’ যত বাড়ছে, আমাদের দেশের হিন্দুত্ববাদীরাও তত আহ্লাদে গলা ফাটাচ্ছে।
গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের মাধ্যমে বন্ধ করলে, বিরোধী সংবাদ মাধ্যমকে নিষিদ্ধ করলে, মানবাধিকার পদদলিত করলে গণতন্ত্র সঙ্কুচিত হয়। এতে সন্ত্রাসীদেরই সুবিধে হয়। বাংলাদেশে তাই হয়েছে।
আর এই রাজ্যের সরকার কী করছে? মুখ্যমন্ত্রী বলছেন, “অচেনা লোকেদের ওপর কড়া নজর রাখুন। এলাকায় অচেনা লোক দেখলেই আমাদের জানান।” মনে করে দেখুন, ২০০২ সালে বামফ্রন্ট সরকারও ঠিক একই ফতোয়া জারি করেছিল। এতে কেবল মানুষের মধ্যে সন্দেহবাতিক বাড়বে এবং মুসলমানদের ওপর হিন্দুত্ববাদীদের আর রাজনৈতিক বিরোধীদের ওপর শাসক দলের জাতক্রোধ মেটানোর সুযোগ করে দেওয়া হবে। এভাবে সন্ত্রাসবাদকে আটকানো যাবে না।
একমাত্র সাধারণ মানুষের সংগ্রামী ঐক্যই পারে ধর্মের মুখোশ পরা সন্ত্রাসবাদকে প্রতিরোধ করতে। আমাদের পথ দেখাচ্ছে কুর্দিস্তান, আফঘানিস্তান, তুরস্ক, সিরিয়া, ইরাক, লেবানন, প্যালেস্তাইনের জনগণের মুক্তিযুদ্ধ, যারা লড়াই করছেন একই সঙ্গে সাম্রাজ্যবাদ ও তাদের দালালদের বিরুদ্ধে, অত্যাচারী শাসকদের বিরুদ্ধে এবং ইসলামী রাষ্ট্রের ভেকধারী ক্ষমতালোভীদের বিরুদ্ধে। এই সব কিছুর ওপর সেখানকার মেয়েরা সমানতালে লড়ছেন পুরুষ-প্রাধান্যের বিরুদ্ধে, সমান অধিকারের জন্য। আসুন, আমরা এইসব বীরত্বপূর্ণ লড়াইয়ের পাশে দাঁড়াই, তাদের মত লড়তে শিখি। হিন্দু মুসলিম কোনও ধর্মের নাম করে সন্ত্রাসবাদ এক ইঞ্চিও জায়গা পাবে না। আমরা জিতবই।
ধর্মের নামে এরা নির্বিচারে মানুষ মারছে। এবং যে ধর্মের নামে এরা কসম খাচ্ছে, সেই ধর্মের মানুষদের, মানে মুসলমানদেরই বেশি মারছে। আসলে ওরা চায় ক্ষমতা। ওদের কল্পনার ‘ইসলামিক স্টেট’ বা ‘ইসলামী রাষ্ট্র’ এমনই একটা রাষ্ট্র, যেখানে গুটিকয়েক লোক সমস্ত সাধারণ মানুষকে ভয় দেখিয়ে দাবিয়ে রাখবে আর তাদের মাথার ওপর ছড়ি ঘোরাবে।
ভারতকে যারা ‘হিন্দু রাষ্ট্র’ বানাতে চায়, বা আমেরিকাকে যারা ‘খ্রিষ্টান রাষ্ট্র’ বানাতে চায়, তারাও ঠিক একই রকম কথা বলে, একই রকম কাজ করে। জঙ্গী হিন্দুত্ববাদীরা ওড়িশায় পুড়িয়ে মেরেছে সন্তানসহ মিশনারি গ্রাহাম স্টেইনকে, বোমা ফাটিয়ে মানুষ মেরেছে সমঝোতা এক্সপ্রেসে, আজমের দরগায়, মালেগাঁওতে, হায়দরাবাদের মক্কা মসজিদে আর অন্যান্য জায়গায়।
যুক্তিবাদী সত্যি কথা বলার মত লোকেদের এরা কিছুতেই সহ্য করতে পারে না। তাই ভারতে হিন্দুত্ববাদীরা খুন করেছে নরেন্দ্র দাভোলকার, গোবিন্দ পানসারে আর এম এম কালবুর্গির মত চিন্তাশীল মানুষদের। একই ভাবে আমরা দেখেছি, বাংলাদেশে ইসলামী জঙ্গীরা হত্যা করেছে রাজীব হায়দার, অভিজিত রায়, অনন্তবিজয় দাস, নিলয় নীল সহ অন্তত ১০ জন মুক্তমনা লেখককে। পাকিস্তানে মানবাধিকার কর্মি খুররম জাকি আর সুফি গায়ক আমজাদ সাবরিকেও খুন করেছে তারা।
এইরকম ভাবে মানুষ মারতে মারতে তারা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। বাংলাদেশের আনাচেকানাচে এক এক করে বৌদ্ধ, হিন্দু আর খ্রিষ্টানদের মারার পর এবার তারা এক সঙ্গে অনেক মানুষকে খুন করছে, যাতে আরও বেশি করে ত্রাস ছড়ানো যায়।
এই মানুষ মারার খেলায় তাদের মদত দিয়েছে আমেরিকান সাম্রাজ্যবাদ আর তার দালালরা। হ্যাঁ, সাম্রাজ্যবাদীরাই সিরিয়া, লিবিয়া, ইরাকের মত পশ্চিম এশিয়ার দেশগুলোতে এইসব জঙ্গীবাহিনীকে অস্ত্র আর ট্রেনিং দিয়েছে সেখানকার শাসকদের উচ্ছেদ করার জন্য, যারা তাদের তেমন অনুগত ছিল না। যেমন এক সময় আফঘানিস্তানে তালিবানদের দিয়েছিল সোভিয়েত ইউনিয়নের বিরুদ্ধে লড়ার জন্য। আজ যখন জঙ্গী গোষ্ঠীগুলো ক্ষমতার স্বাদ বুঝে গিয়ে নিজেরাই দুনিয়া জুড়ে সর্দারী করতে চাইছে আর ভয়ের রাজত্ব কায়েম করতে এখানে-ওখানে ছোবল মারছে, তখন ওই সাম্রাজ্যবাদীরাই মরাকান্না জুড়েছে, “মুসলমানরা সভ্যতাটাকে শেষ করে দিল!” সারা পৃথিবীতে সন্ত্রাস ঠেকানোর নামে এই ইসলাম-ভীতি বা ‘ইসলামোফোবিয়া’ যত বাড়ছে, আমাদের দেশের হিন্দুত্ববাদীরাও তত আহ্লাদে গলা ফাটাচ্ছে।
গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের মাধ্যমে বন্ধ করলে, বিরোধী সংবাদ মাধ্যমকে নিষিদ্ধ করলে, মানবাধিকার পদদলিত করলে গণতন্ত্র সঙ্কুচিত হয়। এতে সন্ত্রাসীদেরই সুবিধে হয়। বাংলাদেশে তাই হয়েছে।
আর এই রাজ্যের সরকার কী করছে? মুখ্যমন্ত্রী বলছেন, “অচেনা লোকেদের ওপর কড়া নজর রাখুন। এলাকায় অচেনা লোক দেখলেই আমাদের জানান।” মনে করে দেখুন, ২০০২ সালে বামফ্রন্ট সরকারও ঠিক একই ফতোয়া জারি করেছিল। এতে কেবল মানুষের মধ্যে সন্দেহবাতিক বাড়বে এবং মুসলমানদের ওপর হিন্দুত্ববাদীদের আর রাজনৈতিক বিরোধীদের ওপর শাসক দলের জাতক্রোধ মেটানোর সুযোগ করে দেওয়া হবে। এভাবে সন্ত্রাসবাদকে আটকানো যাবে না।
একমাত্র সাধারণ মানুষের সংগ্রামী ঐক্যই পারে ধর্মের মুখোশ পরা সন্ত্রাসবাদকে প্রতিরোধ করতে। আমাদের পথ দেখাচ্ছে কুর্দিস্তান, আফঘানিস্তান, তুরস্ক, সিরিয়া, ইরাক, লেবানন, প্যালেস্তাইনের জনগণের মুক্তিযুদ্ধ, যারা লড়াই করছেন একই সঙ্গে সাম্রাজ্যবাদ ও তাদের দালালদের বিরুদ্ধে, অত্যাচারী শাসকদের বিরুদ্ধে এবং ইসলামী রাষ্ট্রের ভেকধারী ক্ষমতালোভীদের বিরুদ্ধে। এই সব কিছুর ওপর সেখানকার মেয়েরা সমানতালে লড়ছেন পুরুষ-প্রাধান্যের বিরুদ্ধে, সমান অধিকারের জন্য। আসুন, আমরা এইসব বীরত্বপূর্ণ লড়াইয়ের পাশে দাঁড়াই, তাদের মত লড়তে শিখি। হিন্দু মুসলিম কোনও ধর্মের নাম করে সন্ত্রাসবাদ এক ইঞ্চিও জায়গা পাবে না। আমরা জিতবই।
সাম্রাজ্যবাদ ও মৌলবাদের বিরুদ্ধে দেশে দেশে জনগণের সংগ্রাম জিন্দাবাদ
বিভিন্ন গণসংগঠনের পক্ষে সিতাংশুশেখর (৮৬৪২৮৫৯৪২৬) কর্তৃক ১৮ সূর্্যজ সেন স্ট্রীট, কলকাতা ৭০০০১২ থেকে প্রকাশিত। কলকাতা, ১৬ জুলাই ২০১৬।
No comments:
Post a Comment