Indrajeet Talukdar
বাবাসাহেব আম্বেদকর ও মহাপ্রাণ যোগেন্দ্র নাথ মন্ডল : ১৯৪৬ সালের ১৭ জুলাই, আজ থেকে ঠিক ৭০ বছর আগে, অবিভক্ত বাংলায় ইতিহাস রচনা হয়েছিল। ভারতভূমির অন্যতম উজ্জ্বল নক্ষত্র তথা মরাঠি সন্তান ডাঃ বি আর আম্বেদকর, নিজের এলাকা মহারাষ্ট্র(Bombay province)থেকে নয়, আমাদের বাংলা থেকে নির্বাচিত হয়ে ভারতের গণ পরিষদে প্রবেশাধিকার পেয়েছিলেন সেইদিন। তখন দেশ স্বাধীন হওয়ার পালা।চারিদিকে সাজো সাজো রব।সিদ্ধান্ত হল দেশের নির্বাচিত বিধায়ক দের ভোটে জিতে প্রার্থীরা গণপরিষদে যাবেন এবং রচনা করবেন দেশের যাবতীয় শাসন প্রণালী ও সংবিধান।
জাতীয় কংগ্রেসের নির্দেশে ডাঃ আম্বেদকরের যাওয়ার পথ বন্ধ করে দেওয়া হয় বোম্বাই থেকে। এই কঠিন সময়ে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেন বাংলার বিধায়ক তথা দলিত 'অস্পৃশ্য' মানুষের জননেতা যোগেন্দ্র নাথ মণ্ডল। কিন্তু আম্বেদকরকে কে ভোট দেবে?
বেশীরভাগ বাংলার দলিত বিধায়কেরা ছিলেন কংগ্রেস সমর্থিত। যোগেনবাবু দিবারাত্র পরিশ্রম শুরু করলেন।নিজের ছাড়াও যে আরো চারটে ভোট লাগবে! দিন যায়, হাতে সময় কম, চারিদিক অনিশ্চিত। যোগেন বাবুর পিছনে না ছিল অর্থ বল ও না ছিল শক্তিশালী প্রতিষ্ঠান, কি করেই বা সম্ভব তা দলিতদের কাছে? কিন্তু অটুট ছিল তাঁর মনের জোর। তিনি যে জনে জনে মানুষকে বুঝিয়ে চলেছেন, দরবার করছেন প্রতিনিয়ত।
অবশেষে এল সেই দিন, ১৭ জুলাই, ১৯৪৬ সাল,বুধবার ।
দুপুর ২ টা থেকে সন্ধ্যা ৭ টা অবধি ভোটদান চলল বাংলার অ্যাসেম্বলী ভবনে। অনেকে নির্বাচিত হলেন। সর্বাধিক ছয়টি ভোট পেয়ে ডাঃ আম্বেদকর নির্বাচিত হলেন বাংলা থেকে, রচিত হল ইতিহাস, এই যুগ সন্ধিক্ষণে। এই অসাধ্য জয় না এলে হয়ত বাবাসাহেবকে আমরা পেতাম না দেশের সংবিধান রচনা করতে।
যোগেন্দ্র নাথের কঠিন প্রয়াসে যে সকল বিধায়ক তাঁদের অমুল্য ভোট দিলেন ডাঃ আম্বেদকর কে, তাঁদের নাম দেওয়া হলো, ব্র্যাকেটে তাঁদের নির্বাচনী এলাকার নাম।
১. শ্রী যোগেন্দ্র নাথ মণ্ডল(বাখরগঞ্জ দক্ষিণ পশ্চিম)
২. শ্রী দ্বারিকানাথ বারুরী(ফরিদপুর)
৩.শ্রী গয়ানাথ বিশ্বাস(ময়মনসিংহ পশ্চিম)
৪. শ্রী ক্ষেত্রনাথ সিংহ (রংপুর)
৫. শ্রী নগেন্দ্র নারায়ণ রায়(রংপুর), এবং
৬.শ্রী মুকুন্দ বিহারী মল্লিক(খুলনা)।
যোগেনবাবুর এই অবদানে বহু মানুষজন খেটে ছিলেন। তাঁদের মধ্যে চারজন মহিলার নামও উল্লেখযোগ্য।
তাঁরাও তাঁদের নিজের সংসার সামলে যোগেনবাবু কে যোগ্য সহায়তা করেন।তৎকালীন সময়ের সেই মহিয়ষী নারীরা হলেন, সন্তোষকুমারী তালুকদার, স্বর্ণলতা হাজরা, সুষমা মৈত্র এবং বীণাপাণি সমাদ্দার। স্থানাভাবে সকলের নাম দিতে পারলাম না বলে মাফ চাইছি।
আম্বেদকর ভারতে আজীবন বাংলা ও যোগেন্দ্র নাথ চিরভাস্বর হয়ে থাকবেন।
বাবাসাহেব আম্বেদকর ও মহাপ্রাণ যোগেন্দ্র নাথ মন্ডল : ১৯৪৬ সালের ১৭ জুলাই, আজ থেকে ঠিক ৭০ বছর আগে, অবিভক্ত বাংলায় ইতিহাস রচনা হয়েছিল। ভারতভূমির অন্যতম উজ্জ্বল নক্ষত্র তথা মরাঠি সন্তান ডাঃ বি আর আম্বেদকর, নিজের এলাকা মহারাষ্ট্র(Bombay province)থেকে নয়, আমাদের বাংলা থেকে নির্বাচিত হয়ে ভারতের গণ পরিষদে প্রবেশাধিকার পেয়েছিলেন সেইদিন। তখন দেশ স্বাধীন হওয়ার পালা।চারিদিকে সাজো সাজো রব।সিদ্ধান্ত হল দেশের নির্বাচিত বিধায়ক দের ভোটে জিতে প্রার্থীরা গণপরিষদে যাবেন এবং রচনা করবেন দেশের যাবতীয় শাসন প্রণালী ও সংবিধান।
জাতীয় কংগ্রেসের নির্দেশে ডাঃ আম্বেদকরের যাওয়ার পথ বন্ধ করে দেওয়া হয় বোম্বাই থেকে। এই কঠিন সময়ে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেন বাংলার বিধায়ক তথা দলিত 'অস্পৃশ্য' মানুষের জননেতা যোগেন্দ্র নাথ মণ্ডল। কিন্তু আম্বেদকরকে কে ভোট দেবে?
বেশীরভাগ বাংলার দলিত বিধায়কেরা ছিলেন কংগ্রেস সমর্থিত। যোগেনবাবু দিবারাত্র পরিশ্রম শুরু করলেন।নিজের ছাড়াও যে আরো চারটে ভোট লাগবে! দিন যায়, হাতে সময় কম, চারিদিক অনিশ্চিত। যোগেন বাবুর পিছনে না ছিল অর্থ বল ও না ছিল শক্তিশালী প্রতিষ্ঠান, কি করেই বা সম্ভব তা দলিতদের কাছে? কিন্তু অটুট ছিল তাঁর মনের জোর। তিনি যে জনে জনে মানুষকে বুঝিয়ে চলেছেন, দরবার করছেন প্রতিনিয়ত।
অবশেষে এল সেই দিন, ১৭ জুলাই, ১৯৪৬ সাল,বুধবার ।
দুপুর ২ টা থেকে সন্ধ্যা ৭ টা অবধি ভোটদান চলল বাংলার অ্যাসেম্বলী ভবনে। অনেকে নির্বাচিত হলেন। সর্বাধিক ছয়টি ভোট পেয়ে ডাঃ আম্বেদকর নির্বাচিত হলেন বাংলা থেকে, রচিত হল ইতিহাস, এই যুগ সন্ধিক্ষণে। এই অসাধ্য জয় না এলে হয়ত বাবাসাহেবকে আমরা পেতাম না দেশের সংবিধান রচনা করতে।
যোগেন্দ্র নাথের কঠিন প্রয়াসে যে সকল বিধায়ক তাঁদের অমুল্য ভোট দিলেন ডাঃ আম্বেদকর কে, তাঁদের নাম দেওয়া হলো, ব্র্যাকেটে তাঁদের নির্বাচনী এলাকার নাম।
১. শ্রী যোগেন্দ্র নাথ মণ্ডল(বাখরগঞ্জ দক্ষিণ পশ্চিম)
২. শ্রী দ্বারিকানাথ বারুরী(ফরিদপুর)
৩.শ্রী গয়ানাথ বিশ্বাস(ময়মনসিংহ পশ্চিম)
৪. শ্রী ক্ষেত্রনাথ সিংহ (রংপুর)
৫. শ্রী নগেন্দ্র নারায়ণ রায়(রংপুর), এবং
৬.শ্রী মুকুন্দ বিহারী মল্লিক(খুলনা)।
যোগেনবাবুর এই অবদানে বহু মানুষজন খেটে ছিলেন। তাঁদের মধ্যে চারজন মহিলার নামও উল্লেখযোগ্য।
তাঁরাও তাঁদের নিজের সংসার সামলে যোগেনবাবু কে যোগ্য সহায়তা করেন।তৎকালীন সময়ের সেই মহিয়ষী নারীরা হলেন, সন্তোষকুমারী তালুকদার, স্বর্ণলতা হাজরা, সুষমা মৈত্র এবং বীণাপাণি সমাদ্দার। স্থানাভাবে সকলের নাম দিতে পারলাম না বলে মাফ চাইছি।
আম্বেদকর ভারতে আজীবন বাংলা ও যোগেন্দ্র নাথ চিরভাস্বর হয়ে থাকবেন।
No comments:
Post a Comment