নিজের ক্ষেতের সবজি নিয়ে এক কৃষক গেলেন বঙ্গবন্ধুর বাস ভবনে। বাড়ির কেয়ারটেকার মুহিত তাকে বসিয়ে সবজি গুলো নিয়ে গেলেন দোতলায়। বঙ্গবঙ্গবন্ধু টেলিফোনে কথা বলছিলেন। কথা বলা অবস্থায় কেয়ারটেকার মুহিত তাকে সবজির কথা বললেন। বঙ্গবন্ধু পাঞ্জাবীর পকেট থেকে ২০ টাকা বের করে দিলেন।
সিঁড়ি দিয়ে নামার সময় কেয়ারটেকার মুহিত ভাবলো সামান্য কিছু
সবজির জন্য ২০ টাকা দেয়ার কী দরকার। সে ১০ টাকা রেখে দিয়ে বাকী ১০ টাকা দিলো কৃষকের হাতে। টাকা পেয়ে কৃষক অবাক হলো এবং দৌড়ে দোতলায় উঠে গেলো। ততোক্ষণে টেলিফোন রাখলেন বঙ্গবন্ধু ।
সবজির জন্য ২০ টাকা দেয়ার কী দরকার। সে ১০ টাকা রেখে দিয়ে বাকী ১০ টাকা দিলো কৃষকের হাতে। টাকা পেয়ে কৃষক অবাক হলো এবং দৌড়ে দোতলায় উঠে গেলো। ততোক্ষণে টেলিফোন রাখলেন বঙ্গবন্ধু ।
কৃষক বঙ্গবন্ধুর কাছে ১০ টাকা ফেরত দিয়ে বললেন, " এ গুলো আমার ক্ষেতের সবজি,আমি আপনার জন্য এমনি এনেছি, টাকা লাগবেনা। "জবাবে বঙ্গবন্ধু বললেন, " কিন্তু আমি তো ২০ টাকা দিয়েছিলাম।" কৃষক জবাব দিলো, " উনি তো আমাকে ১০ টাকা দিলো।
এ কথা শুনে বঙ্গবন্ধু বললো, "
যে দেশে দোতলা থেকে নিচতলায় পোঁছতে ২০ টাকা ১০ টাকা হয়ে যায়
সে দেশে কত টাকার বাজেট প্রনয়ণ করলে তা জনগণের নিকট পোঁছবে ?"
যে দেশে দোতলা থেকে নিচতলায় পোঁছতে ২০ টাকা ১০ টাকা হয়ে যায়
সে দেশে কত টাকার বাজেট প্রনয়ণ করলে তা জনগণের নিকট পোঁছবে ?"
এমন সুদূর প্রসারী চিন্তার রাষ্ট্রপতি হলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান। আর বাড়ির কেয়ারটেকার হলেন বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার বাদী এম এ
মুহিত।
মুহিত।
এ টি এন বাংলাকে দেয়া একান্ত সাক্ষাতকারে এ ঘটনার বর্ণনা করতে গিয়ে কেঁদে ফেলেন এম এ মুহিত। হে জনক- তোমার কথাগুলো সব কালের জন্য ই প্রাসঙ্গিক।
No comments:
Post a Comment