Friday, June 17, 2016

CO ED Bengali medium schools! দিনদিন পশ্চিমবঙ্গের কো-এড বাংলা মিডীয়াম স্কুলগুলোর হালচাল দেখে জাস্ট ঘেন্না ধরে যাচ্ছে । ***মোরাল অফ দ্যা স্টোরি:-- সবার উপরে B.Ed সত্য। টিচারদের দোষেই পাপ ভুমিষ্ট। সাধে কি বলছি , কি কুক্ষণে টিচার হয়েছিলাম ! চাকরি নিয়ে ঘেন্না ধরে গেল । Sarita Ahmed

Let me introduce another shade of creativity most relevant with it social realism.
Sarita Ahmed is a teacher in Asansol and has the courage to scale the mountains and visit the remote distance and write in excellent fluency of prose with objectivity.

Sarita has just permitted to post her write ups as I insisted for it because her Bengali writing is more readable than the mainstream Bengali writers and it has better fluency than Taslima Nasrin.
Sarita sounds very reasonable and her urgumentative writing is objective all the way.

Her writing skips subjectivity and has got universal  human appeal.

I am posting her latest write up as a ground report on CO ED Bengali medium schools. 

Sarita paints a graphical portrait of a Co Ed Bengali Medium  school where no one wants to admit children,The Phobia and Phenomenon explained very well.
Palash Biswas

দিনদিন পশ্চিমবঙ্গের কো-এড বাংলা মিডীয়াম স্কুলগুলোর হালচাল দেখে জাস্ট ঘেন্না ধরে যাচ্ছে । 
***মোরাল অফ দ্যা স্টোরি:-- সবার উপরে B.Ed সত্য। টিচারদের দোষেই পাপ ভুমিষ্ট।
সাধে কি বলছি , কি কুক্ষণে টিচার হয়েছিলাম ! চাকরি নিয়ে ঘেন্না ধরে গেল ।
Sarita Ahmed's Profile Photo
ঘেন্না ধরে গেল ।
দিনদিন পশ্চিমবঙ্গের কো-এড বাংলা মিডীয়াম স্কুলগুলোর হালচাল দেখে জাস্ট ঘেন্না ধরে যাচ্ছে । শহুরে সরকারি স্কুল আর রামকৃষ্ণ মিশনের মত গুটিকয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছাড়া এই মুহুর্তে মফস্বলীয় বাংলা মিডীয়াম স্কুলে 'এলিট' ক্লাস বলে আর কিছু অবশিষ্ট নেই । হ্যাঁ, নাম্বার আছে অঢেল । আজকাল শিক্ষিত বাঙালি পরিবার ছেলে-মেয়েদের বাংলা মিডিয়াম স্কুলে ভর্তি করতে ভয় পান । লজ্জা আগের যুগে পেতেন । এখন ভয় ! সবাই এখন ইংলিশ মিডীয়ামমুখী বাধ্য হয়ে । আগের যুগ হলে 'কেতা মারতে' ভর্তি করতেন । এখন জাস্ট বাধ্য ।
#১ : এই সেদিন ড্রেস গ্রান্টের টাকা দিচ্ছি লাইন ধরে । ছাত্ররা সই করে টাকা নেবে । সই এর আগে সাদা কাগজে প্রাক্টিস সই রিহার্সাল দিয়ে তবে মূল খাতায় পেন ঠেকানোই 'নিয়ম ' । সেভেন এইটের ছাত্রদের কাছে নির্ভূল নামের বানান আশা করা চ্যাংড়ামো ছাড়া কি !
তো , সেরম এক ছাত্র, নাম 'বলরাম হাঁসদা' , প্রাক্টিস ফিল্ডে 'বলরাম হা...' থমকে যায়। কি ব্যাপার ?
- কি হল ? 'স' আর 'দা' -টা তাড়াতাড়ি লেখ বাপ আমার । পরের জন লাইনে দাঁড়িয়ে ।
ছেলে ফ্যালফ্যাল চোখে চেয়ে ব্যাগের দিকে দৌড়ে গিয়ে কি দেখেটেখে ফিরে এসে কোনোক্রমে 'হাসদা' লিখল । প্রক্সিতে হা- এর উপর চন্দ্রবিন্দু বসানোর দায় টিচারের ।
বুঝলাম ... তিন মাস 'ভোট উৎসবে' স্কুল বন্ধ ছিল । তাই ছেলে আমার 'স' এর চেহারা ভুলে গেছে । চিরকুট দেখে তবে লিখতে পেরেছে ।
যাক পেরেছে তো । জয় মা ! আমার চৌদ্দ গুষ্টি উদ্ধার ।
এখন প্রশ্ন, ছেলে 'স' এর চেহারা ভুলে গেছে কেন ?
টিচার নিশ্চয় ঘুমাচ্ছিল । নিশ্চয় ভাল করে মিড-ডে-মিল খেতে দেয় নি । নিশ্চয় শিক্ষাশ্রী ফর্ম ফিল আপ হয় নি ।
ঠিকমত পড়েছে কিনা সে প্রশ্ন তোলে কোন আবাল ? হতভাগা, ব্যাংকে টাকা না ঢুকলে , 'বিদ্যে' জোটে ?
***মোরাল অফ দ্যা স্টোরি:-- সবার উপরে B.Ed সত্য। টিচারদের দোষেই পাপ ভুমিষ্ট।
#২ : সরকার বাল্যবিবাহ রুখতে কন্যাশ্রী প্রকল্প খুলেছে । ১৮ বছর অবধি সব মেয়ে যাতে স্কুলে যায় , যাতে পড়াশুনা চালু রাখে , হুট করে বিয়ে করে সামাজিক জঞ্জাল না বাড়ায় তাই ক্লাস ৮ থেকে শিক্ষাশ্রী অ্যাকাউণ্ট খোলা হয় ,১৮ বছর অবধি অর্থাৎ ১২ ক্লাস অবধি কন্যারা নির্দিষ্ট অঙ্কের টাকা ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পাবে । যদি বিয়ে হয়ে যায় , টাকা বন্ধ । 'টাকা পাবি , স্কুলে আয় ' --- অফার ।
একই রকম ভাবে, ড্রপ আউট কমানোর জন্য এবং স্কুলে ছাত্র টানার জন্য মিড-ডে-মিল চালু হয়েছে । 'খেতে পাবি , স্কুলে আয় '--- অফার ।
উদ্দেশ্য সাধু , নিশ্চিত ভাবেই । কোন খাজা আঙ্গুল তোলে, বে ?
কিন্তু ভেতরের খবর তো ... দেবা নঃ জানন্তি / কুতঃ মমতা ।
নাইনে পড়া শাড়ি পরিহিতা মেয়ের দিকে বেশ কিছুদিন চোখ যাচ্ছিল । মেয়ে আগে পড়ায় ভাল ছিল । রোজ পড়া করে আসত । ফার্স্ট বেঞ্চে বসে উত্তর দিত । এখন তার গতি পেছনের বেঞ্চে । উদ্দেশ্য আড্ডা । রকমসকম , সাজপোষাক , চোখের কাজল ,চুলের স্টাইল দীপিকার কপি ক্যাট ।
কিঁউ ?
পাত্তা লাগাতে জানলুম, ডানা গজিয়েছে । উত্তরপত্র লেখার চেয়ে চিরকুট লিখতে আগ্রহী । কোন মোটরবাইকারের সাথে হি-হি-হা-হা যেতে আসতে । বাতাসে গন্ধ 'শিঘ্রি বিয়ে করার তাল খুঁজছে ,মিস ।'
তুরন্ত ফিল্ডে নামলাম ...
--- দ্যাখ বাবু , পড়াটা ঠিকমত কর । তুই তো খারাপ ছাত্রী নোস । আগে কত পড়া করতিস । এখন অন্য দিকে কেন মন দিচ্ছিস ? সব কিছুর একটা সময় আছে তো ,বল। সামনে মাধ্যমিক । ভাল রেজাল্ট হলে তুই তো অন্তত একটা টিউশান করেও নিজের খরচ তুলতে পারবি । কারুর উপর ডিপেন্ড করতে হবে না । দ্যাখ, লেখাপড়া করলে সংসার চালানো অনেক সহজ হয়ে যাবে , বাবার উপর চাপ কমবে । বিয়ের জন্য তোর বয়স হয় নি । অল্প বয়সে এসব করলে শারীরিক অনেক অসুবিধা হবে । ইত্যাদি ... প্রভৃতি...
পরদিন মেয়ে কামাই করল ।
তার পরদিনও বেপাত্তা ।
এক হপ্তা মিসিং ডায়রি চলার পরে জানলাম, মেয়ে ভেগে গেছে, বিয়ে করেছে ।
বেশ কিছুদিন পরে, তখন রিসেস টাইম । হঠাৎ পেছন থেকে মাথায় ঘোমটা দেওয়া কে একজন মোক্ষম প্রশ্ন ছুঁড়ল, " মিস , আমার ব্যাঙ্ক বই টো হ্যেইঞ্ছে ?"
বদনখানা চেয়ে দেখি সেই মেয়ে । সিঁথিতে মোটা সিঁদুর । ছাপা শাড়ি ।
-- তুই কোন ক্লাস ?
--- লাইনে পড়তুম আগে বার । এবারে বই খোলার জন্য তুমার কাছে ফরমটো ভারাইলুম না !
এখন বলুন দেখি , কোন টিচার এহেন বিবাহিত ছাত্রীর নাম 'শিক্ষাশ্রী প্রকল্প' থেকে কাটায় ? 'শিক্ষাশ্রী'র দিব্যি , আমি কাটাতে পারি নি । পাস বইটা চুপচাপ দিয়ে দিয়েছি । আঠারো অবধি তো মেয়েটার সেভিংস কিছু হোক ।
সাধে কি বলছি , কি কুক্ষণে টিচার হয়েছিলাম ! চাকরি নিয়ে ঘেন্না ধরে গেল ।
***মোরাল অফ দ্যা স্টোরি:-- সবার উপরে B.Ed সত্য। টিচারদের দোষেই পাপ ভুমিষ্ট।

No comments:

Post a Comment