Saturday, June 4, 2016

কিছু শান্তির খোঁজ রইল।মনুষ্যত্ব বলে আর কিছু বাকি নেই চারপাশে এটা জানা হয়ে গেছে এতদিনে। প্রশাসন কার শাসন করবে এটা ঠিক করতে করতে সাধারণ মানুষের শ্বাসরোধ হয়ে যাবে। Urmi অনেক শুভেচ্ছা আর সংগ্রামী অভিনন্দন, হাল না ছাড়ার জন্য,এই অমানুষী ব্যবস্থার উল্টোদিকে দাঁতে দাঁত চেপে,বেপরোয়া ভাবে রুখে দাঁড়ানোর জন্য!

কিছু শান্তির খোঁজ রইল।

Titir Chakraborty 
'সকালে ঘুম ভাঙতে দেখি
সমস্ত মাঠ বৃষ্টিধোয়া
মাঠের উপর দাঁড়িয়ে আছে
আধভাঙ্গা গাছ,আধভাঙ্গা ঘর
সবভাঙ্গা প্রেম
অপরাজিত!'

UG'র শেষ সেমেস্টারের শেষ পরীক্ষাটা কাল। এই তিন বছরে কতগুলো সমীকরণ ঘেঁটেছে,আর কোন অসমীকরণ জীবনের মোড় ঘুরিয়েছে,সেই হিসেব করতে মন হয়না। যাদবপুর আমার কাছে লুকোনো ঝাঁপি,আর তুলনামূলক সাহিত্য বিভাগ তার সবথেকে মনকেমন করা চিঠি। এই শেষবেলাতেও যেভাবে সম্পর্কগুলো নতুন নতুন রঙ খুলছে,তাতে অবাকই লাগে! অনেককটা মুখ নেই,তাও এই ছবিটা বড্ড প্রিয়। 

মনুষ্যত্ব বলে আর কিছু বাকি নেই চারপাশে এটা জানা হয়ে গেছে এতদিনে। প্রশাসন কার শাসন করবে এটা ঠিক করতে করতে সাধারণ মানুষের শ্বাসরোধ হয়ে যাবে। 
Urmi অনেক শুভেচ্ছা আর সংগ্রামী অভিনন্দন, হাল না ছাড়ার জন্য,এই অমানুষী ব্যবস্থার উল্টোদিকে দাঁতে দাঁত চেপে,বেপরোয়া ভাবে রুখে দাঁড়ানোর জন্য!

আমরা সবাই সবকিছু পারবোনা। পারার চেষ্টা করিনা তা বলে,এমন নয় কিন্তু। কিন্তু আমাদের বেড়ে ওঠা,আমাদের অতীতের নানা নির্মাণ দিয়ে আমাদের এমন কিছু প্রপার্টি তৈরি হয়,যা অনেক জায়গায় পারার সাধ্যটাকে সীমিত করে দেয়! আমরা বহুদিন হল স্থির হয়ে বসতে ভুলে গেছি। লোডশেডিং-রেনি ডে এইসব মূল্যবান অজুহাত হাতছাড়া হয়ে যাওয়ার পর থেকে,আমাদের ভাবতে বসার সাধ্য কমে গেছে অনেকখানি। এখন সময় পেলে (মানে,সারাদিন যত স্লট করা থাকে নানারকম দায় ও দায়িত্বের,তার বাইরে যে একচিলতে ফাঁকে ভাবনা-চিন্তা করা দরকার বলে ভেবে রাখি) আমরা যেগুলো নিয়ে ভাবি,সেগুলো আগে থেকেই আমাদের প্ল্যান করা। মানে,কারণ ছাড়া অমুক বাড়িটার তমুক পাঁচিলে কেন ইঁটে নোনা পড়েনি,বা এই জামাটার সেলাইয়ের কাজটাকে চিকণ কেন বলে-এইসব অদরকারি কথা আমরা ভাবিনা,বা বলা ভালো লোড নিইনা ভাবার। বরং তার বদলে দুটো ভার্চুয়াল সখ্যতা,চারটে শিডিউলড আউটিং করে নিলে ভালো। আসলে আমরা কোথাও বোধহয় নিজেদের এটা কনভিন্স করিয়ে নিচ্ছি যে এই দায়হীন(আপাতভাবে যদিও),তাৎক্ষনিক বয়ে চলাই জীবন। এই ঘোড়দৌড়ে অংশ নিতে না পারলে আর তোমার জীবন কই?
কিন্তু,ওই যে,সবাই পারেনা। দৌড়তে পারেনা। আজ যখন হুহু করে চারপাশটা ফেসবুক-হোয়াটসঅ্যাপ,AIB-TVF,ইন্টারেস্টিং ব্রেকিং নিউজের ছকে বাঁধা একটা কারখানা হয়ে উঠছে,তখন তো আমাদের মত কিছুজন,অন্ততঃ কিছুজন, sms'এ গোপন অভিমান লেখে,হঠাৎ ভোরবেলা পুরোনো চিঠির গন্ধ পায়। কোনো কোনোদিন অকারণে হেঁটে বেড়ায়,হয়তো একাই। একা হতে পারাটা কঠিন এখন,কিন্তু একা হয়ে যাওয়াটা বরাবরের জন্য কষ্টের। আরো কষ্টের,নিজের না পারাগুলো,স্বীকার করতে বাধ্য হওয়া। কারণ,ওই মুহূর্ত পর্যন্ত আমরা নিজেদের বিশ্বাস করাতে চাই,আজ না হোক,কাল-পরশু-আগামী বৃষ্টির দিন,কোনোভাবে আমরা পেরে যাবো। চেনা ছকের বাইরে বেরিয়ে,আপাত ইমোশনে না ভেসে,একবার পরস্পরের আঙুল ছুঁয়ে ক্ষত চিনতে শিখবো; স্থির হয়ে একটা রাত অন্যের কথা শুনবো। আমরা শুনতেও ভুলে গেছি!
অদ্ভুতভাবে,কোথাও-কোনোমতে যখন বিশ্বাস টিকছেনা,তখনো ছোটোবেলায় একলাফে রাস্তার জলজমা গর্ত পেরোতে পারার কনফিডেন্সে মনে হয়,একসময় পেরে যাবো। জানি,পা ফস্কালে বিপদ,তাও রিস্কটুকু নিতে ছাড়বোনা। সাধ এবং সাধ্যের মধ্যে একটা অসমীকরণ তো থাকবেই,তুমি-আমি কিছু ধ্রুবক মাত্র 
কিছু শান্তির খোঁজ রইল।

No comments:

Post a Comment