কাল বন্দনা তো মুক্তি পেয়েছে কিন্ত ঔ বাড়িতে আরো ঔ রকম তিনটে মেয়ে আছে, যাদের বয়স বন্দনার মতনই। তারাও যে মুক্তি চায়। আর ঔ বাড়ির মালিকগুলো যতদিন না শাস্তি পাচ্ছে আমারও চুপ থাকব না, ততদিন চলবে আমাদের লড়াই , বন্দনার লড়াই।
কাল থেকে অনেক কিছু বলব বলব করেও বলতে পারছি না। কি বলব? কাল যখন একটা ছোট মেয়েকে উদ্ধার করা হল যেখানে সে এক বন্দিনীর মতন করে জীবন কাটাচ্ছিল। বিনা খাবারে, বিনা পয়সায়। গরীব বলে ঔ বর্বর মালিকগুলো ঔ মেয়েটিকে চোর বলে অপবাদও দেয়। এবং সে যদি চুরির টাকা ফেরত না দিতে পারে তাহলে তাকে আজীবন কাজ করে যেতে হবে বিনা পারিশ্রমিকে । এখানেই শেষ নই, যখন সেই মেয়েটির বাড়ির লোকেরা আসে এই ঘটনাটি জানতে পারে তখনও তাদের সাথে অকথ্য ভাষায় গালাগালি দেওয়া হয় এবং তাদের গায়ে হাতও দেওয়া হয়। এই পুরো ঘটনাটি ঘটেছে আমাদের বাড়ির খুবই কাছে, দমদম ফাঁড়িতে। আর ছোট বাচ্চাটির নাম বন্দনা।কতই বা বয়স পনেরো বা ষোলো। মেদিনীপুরে বাড়ি তাদের, আর বন্দনাার দিদি পুজা থাকে উল্টোডাঙায়। গরীব বাড়ির গরীব মেয়ে, বাবা মা ভেবেছিলেন কাজ করে দুটো পয়সা রোজগার করে খাবে। কিন্তু তার ভবিতব্য যে অন্য ছিল। কাল বন্দনা তো মুক্তি পেয়েছে কিন্ত ঔ বাড়িতে আরো ঔ রকম তিনটে মেয়ে আছে, যাদের বয়স বন্দনার মতনই। তারাও যে মুক্তি চায়। আর ঔ বাড়ির মালিকগুলো যতদিন না শাস্তি পাচ্ছে আমারও চুপ থাকব না, ততদিন চলবে আমাদের লড়াই , বন্দনার লড়াই।
No comments:
Post a Comment