Suswagata Poria
আপ্পা রাও পরিচালিত এক্সিকিউটিভ কাউন্সিল সাসপেন্ড করেছে হায়দ্রাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক 'কে রত্নম' এবং অধ্যাপক 'তথাগত সেনগুপ্তকে'। এই আপ্পা রাও এর কমিটিই সাসপেন্ড করেছিল রোহিত ভেমুলা সহ ৪ জন গবেষক কে। শুধু সাসপেন্ড নয়, সামাজিক ভাবে বয়কট করতে বলেছিল রোহিত দের। রোহিতদের ওপর নির্দেশ ছিল যে তারা ডিপার্টমেন্টএ ঢুকতে পারবে না, লাইব্রেরিতে যেতে পারবে না, হোস্টেল এ থাকতে পারবে না, কোন রাজনৈতিক কার্যকলাপে অংশ নিতে পারবে না। বিশ্ববিদ্যালয়টাকে 'আপ্পা রাও'রা বাবার জমিদারি মনে করে।
জাত ভিত্তিক শোষণের আখড়া হায়দ্রাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়। অধ্যাপক রত্নম নিজে যখন ছাত্র ছিলেন অথবা অধ্যাপক হওয়ার আগে, কি বিপুল স্রোতের উল্টোদিকে লড়াই করতে হয়েছে, সেই গল্প আমি শুনেছি। আজো উনি লড়াই চালিয়ে যাচ্ছিলেন দলিতদের পক্ষ নিয়ে, ব্রাহ্মণ্যবাদী রাজনীতির উল্টোদিকে। রোহিতদের লড়াই এ যে কয়েকজন অধ্যাপক, ছাত্র ছাত্রী গবেষকদের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়েছেন তাদের মধ্যে উনি অন্যতম। আর ছিলেন অধ্যাপক তথাগত সেনগুপ্ত। তথাগতদার মুখ থেকে দুদিন আগেই শুনছিলাম, কিভাবে তিনি প্রত্যক্ষ করছেন জাত ভিত্তিক শোষণের উপস্থিতি। কেমন করে আপ্পা রাও দের মত লোকেরা অ্যাকাডেমিক্সে গ্যাং হয়ে ওঠে। লড়াই করছিলেন তথাগত দাও।
এই কঠিন সমাজে সঠিক শিক্ষকদের উপস্থিতির অভাব টের পাই। প্রচলিত সমাজের শোষণ ব্যবস্থাকে টিকিয়ে রাখার শিক্ষা যারা দেয় তারা 'আপ্পা রাও' দের গ্যাং এ থাকে। আর যারা চ্যালেঞ্জ ছোঁড়ে, প্রশ্ন করে, করতে শেখায়, তাদের কে করে দেয় সাসপেন্ড। অবিলম্বে এই সাস্পেনশন বাতিল করার দাবীতে রাস্তায় নামতে হবে। বাঁচিয়ে রাখতে হবে প্রশ্ন করার অধিকারকে। নাহলে একদিন সবাই 'আপ্পা রাও' হয়ে যাবে।
No comments:
Post a Comment