Priyasmita Hokkolorob
Deje el mundo cambiarle y usted puede cambiar el mundo
Let the world change you and you can change the world.
ক্লাস 6 এ পড়তাম তখন, বইমেলায় "Motorcycle Diaries টা হাতে আসে। গোগ্রাসে গিলে ফেলি।
একটা ছেলে, বছর ২২-২৩ এর, বাইকে চেপে সাউথ আমেরিকা ঘুরতে বেরোল, দুনিয়া ঘুরে দেখবে বলে।ছেলেটা দারিদ্র দেখল, খেতে না পাওয়া দেখল, রোগে ভুগে বিনা চিকিতসায় মারা যাওয়া দেখল, কয়লা খনির শ্রমিকদের বঞ্চনা দেখল, ব্যবসার জন্য সব লুটে নিতে চাওয়া এই দুনিয়াটার সত্যিকারের চেহারা দেখল।
দুনিয়া দেখতে চাওয়ার শখ থেকে দুনিয়াটার কঠিন বাস্তবের কিছু ছবি দেখে ফেলল আর্নেস্টো।
ডাক্তারি ডিগ্রী নিয়েও ডাক্তারি পেশার সুখের জীবন ছেড়ে দিল। তারপর সেই গায়ে কাঁটা দেওয়া জার্নি, কুষ্ঠ রোগীদের নিরলস সেবা, তীব্র হাপানির তোয়াক্কা না করে বলিভিয়ার জংগলে জোঁকের মত পড়ে থাকা দিনরাত্রি, গোটা দক্ষিণ আমেরিকার মানুষের লড়াই এর পাশে গিয়ে হাত বাড়ানো।
১৯৬৭ তে CIA আর বলিভিয়ান সরকারের সেনাবাহিনীর বুলেটে এফোঁড় ওফোড় হয়ে যায় সেই ছেলেটা। কিন্তু দুনিয়া দেখার ইচ্ছেটা বড্ড ছোঁয়াচে, আর দুনিয়াকে একটু কাছ থেকে দেখলেই দুনিয়াটাকে পাল্টানোর ইচ্ছে মাথা চাড়া দেয়। চে-র গল্প থামেনি, ২০১৬ তেও।
আজ জন্মদিন, আর্নেস্টোর। পৃথিবীর যে কোণাতেই থাকো, আর্নেস্টো চে গেভারা নামটা মনে মনে একবার উচ্চারণ করো, আর দুনিয়াটাকে দেখতে বেরিয়ে পড়ো, দুনিয়া বদলে ফেলার স্বপ্ন দ্যাখো।
মগ,কফি কাপ,ঘড়ির কাঁচে নয়, আর্নেস্টো কে মগজে রাখো।
No comments:
Post a Comment