বুকের ধন চুরি হয় রোজ রোজঃ
কিন্তু একটি সময় তারা বুঝতে পারল যে লোকসংস্কৃতি কব্জা না করতে পারলে তাদের প্রভাব বৃদ্ধি করা যাবে না। ফলে নানা কাহিনী তৈরি করে লোকাচারগুলিকে বিনোদনের পশরা বানিয়ে ফেলল। যে গান, যে নাচগুলি ছিল জনপুঞ্জের জীবনের সঙ্গে সম্পৃক্ত আর্যদের ছোঁয়ায় তা হয়ে উঠল বিনোদনের পশরা।
Saradindu Uddipan
ভারতীয় লোকসংস্কৃতির বিশাল ভান্ডারে আর্যদের কোন অবদান নেই, কিন্তু এই ভান্ডার থেকে অমূল্য ধনরাশি চুরি করে নতুন মোড়ক লাগিয়ে তাকে বানিজ্যের পশরা বানানোর ক্ষেত্রে আর্যদের জুড়ি মেলা ভার। একসময় ঋক বৈদিক আর্যরা ভারতীয় লোকসংস্কৃতির নানা আঙ্গিককে ম্লেচ্ছ সংস্কৃতি বলে ঘোষণা করেছিল (সূত্রঃ ঋক বেদোত্তর সঙ্গীত, ক্ষিতি মোহন সেন)। কেননা লোকসঙ্গীত, লোকনৃত্য নাকি ঋষিদের ব্রহ্মচর্য নষ্ট করত। নারীদের প্রতি আসক্ত করে তুলত। এগুলি ছিল সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।কিন্তু একটি সময় তারা বুঝতে পারল যে লোকসংস্কৃতি কব্জা না করতে পারলে তাদের প্রভাব বৃদ্ধি করা যাবে না। ফলে নানা কাহিনী তৈরি করে লোকাচারগুলিকে বিনোদনের পশরা বানিয়ে ফেলল। যে গান, যে নাচগুলি ছিল জনপুঞ্জের জীবনের সঙ্গে সম্পৃক্ত আর্যদের ছোঁয়ায় তা হয়ে উঠল বিনোদনের পশরা।
এই "ডান্ডিয়া" নাচটি ভারতীয় জনপুঞ্জের হো জনজাতির সমাজ ও জীবনের
অভিব্যক্তি। নাচটির মধ্যে শিকার ও সংগ্রহ যুগের আঙ্গিকটি এখনো বর্তমান। এই
নাচটিই এখন রাধা কৃষ্ণের অবৈধ প্রেম বিলি করার জন্য "গুজরাটি ডান্ডিয়া"
নামে বিশ্ব বানিজ্যে জায়গা করে নিয়েছে।
বুকের ধন এভাবে চুরি হয় রোজ রোজ
আমরা দেখেও দেখিনা।
বদ্ধ কানা যে!
শুনেও শুনিনা।
কেননা দুটো কানই কেটে ফেলেছি!
মুখ থাকতেও বলতে পারিনা।
কারণ আকন্ঠ গিলে বসে আছি।
অন্যদিকে নেপোয় দই মারছে।
আমরা বলছি মারুক, মারুক।
আমাদের শুধু এঁটো (প্রসাদ) দিলেই চলবে !!
বুকের ধন এভাবে চুরি হয় রোজ রোজ
আমরা দেখেও দেখিনা।
বদ্ধ কানা যে!
শুনেও শুনিনা।
কেননা দুটো কানই কেটে ফেলেছি!
মুখ থাকতেও বলতে পারিনা।
কারণ আকন্ঠ গিলে বসে আছি।
অন্যদিকে নেপোয় দই মারছে।
আমরা বলছি মারুক, মারুক।
আমাদের শুধু এঁটো (প্রসাদ) দিলেই চলবে !!
हो ट्राइब दांडिया
No comments:
Post a Comment